কদিকে যেমন ধর্মীয় ভাবাবেগের বিষয় মাথায় রাখতে হচ্ছে, তেমনই বাণিজ্যিক দিকও।
দোহা: পানীয়ে চুমুক দিতে দিতে ফুটবল উপভোগ। কাতার (Qatar2022) বিশ্বকাপে এতটুকু নিশ্চিত। পানীয়ে অ্যালকোহল থাকবে কী না, তা অবশ্য নিশ্চিত নয়। কাতার বিশ্বকাপে (FIFA World Cup) স্টেডিয়ামে অ্যালকোহল বিক্রির সম্ভাবনা প্রবল। ফুটবল সমর্থকরা অ্যালকোহল থাকা পানীয় নিয়ে সিটে বসে উপভোগ করতে পারবেন কী না, সেটাই আলোচনায়। অন্য কিছু না হলেও অন্তত স্টেডিয়ামে বিয়ার বিক্রি হবে। তবে সম্ভবত, অ্যালকোহল মুক্ত পানীয় নিয়েই গ্যালারিতে প্রবেশ করার অনুমতি মিলবে। বিশ্ব ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থা (FIFA) এবং কাতার বিশ্বকাপের স্থানীয় আয়োজক কমিটি পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। খুব তাড়াতাড়িই এই ধোঁয়াশার সুরাহা হবে, আশাবাদী ফিফা এবং স্থানীয় আয়োজক কমিটি। নভেম্বরে কাতারে ফুটবল বিশ্বকাপ। আটটি ভেন্য়ুতে হবে ম্য়াচগুলি। মুসলিম সম্প্রদায়ের আধিক্যের কারণেই সবদিকই ভাবতে হচ্ছে ফিফা এবং আয়োজক কমিটির। একদিকে যেমন ধর্মীয় ভাবাবেগের বিষয় মাথায় রাখতে হচ্ছে, তেমনই বাণিজ্যিক দিকও। ২০২১’র ফেব্রুয়ারি থেকেই স্টেডিয়ামে ‘প্রিমিয়াম বেভারেজ’ প্যাকেজ বিক্রি শুরু হয়ে দিয়েছে ফিফা। বিশ্বকাপের দীর্ঘদিনের স্পনসর পানীয় প্রস্তুতকারী সংস্থা ‘বাডবাইজার’-র সঙ্গে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছতে পারেনি ফিফা।
এখনও অবধি যা পরিস্থিতি, সবচেয়ে বেশি সম্ভাবনা রয়েছে, ম্যাচের আগে এবং পরে অ্যালকোহল যুক্ত বিয়ার পানের সুযোগ থাকতে পারে। এবং গ্য়ালারিতে পানের জন্য জিরো অ্যালকোহল পানীয় নিয়ে মাঠে ঢোকার অনুমতি দেওয়া হতে পারে। ফিফার তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ‘আপাতত সবটাই আলোচনার পর্যায়ে। দ্রুতই সরকারীভাবে ঘোষণা করা হবে।’ পানীয়র কন্টেনারের মাধ্য়মে বিজ্ঞাপনী প্রচারেরও বিষয় রয়েছে। তাই বিশ্বকাপের জন্য বিশেষ ডিজাইনও করা হচ্ছে বলেও জানানো হয়েছে। বিশ্বকাপের ৯২ বছরের ইতিহাসে এবারই প্রথম কোনও মুসলিম দেশে প্রতিযোগিতার আয়োজন হচ্ছে। দেশের সংস্কৃতি, ধর্মীয় ভাবাবেগ সমস্ত দিক বিচার করেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার পক্ষে ফিফা। তবে প্রশ্ন উঠছে, ১০ বছর আগে কাতারকে বিশ্বকাপ আয়োজনের দায়িত্ব দেওয়া হলেও, ফিফা এই বিষয়গুলো এতদিনেও সমাধান বের করতে পারেনি কেন!
স্থানীয় আয়োজকরা প্রাথমিকভাবে সমস্তরকম অ্যালকোহল স্টেডিয়ামে বিক্রির বিরোধিতাই করেছিল। তবে সারা বিশ্বের ফুটবল সমর্থকরও আসবেন বিশ্বকাপ ফুটবল উপলক্ষ্যে। সকলের কথা ভেবে নিজেদের অবস্থান থেকে অনেকটাই সরেছে তারা। সেই ভাবেই পরিকল্পনা তৈরি হচ্ছে, যাতে দেশের ভাবমূর্তি বিশ্বের দরবারে ক্ষুন্ন না হয়, আবার আম্ভন্তরীণ জটিলতাও না থাকে।