Image Credit source: BCCI
মামরে বলেন, ছোট একটা বিরতির পর ওডিআই ক্রিকেটে খেললে…। প্রশ্ন শেষ করার আগেই হাসিতে লুটিয়ে পড়া অবস্থা সামির।
লন্ডন : ওভালে প্রথম একদিনের ম্যাচে ১০ উইকেটে জিতেছে ভারত। একঝাঁক রেকর্ড হয়েছে ম্যাচে। মহম্মদ সামি (Mohammed Shami) ওডিআইতে ভারতীয়দের মধ্যে দ্রুততম ১৫০ উইকেটের মাইলফলক পেরিয়েছেন। জসপ্রীত বুমরা (Jasprit Bumrah) কেরিয়ার সেরা বোলিং করেছেন। মাত্র ১৯ রানে ৬ উইকেট নিয়েছেন বুমরা। ভারত প্রথমবার ইংল্যান্ডকে ১০ উইকেটের ব্যবধানে হারিয়েছে। রোহিত শর্মা-শিখর ধাওয়ান ১৮তম বার ওডিআইতে শতরানের জুটি গড়েছেন। সবকিছুর মধ্যে আরও একটি পরিসংখ্যান রয়েছে, যা সামিকেও চমকে দিয়েছে। বোলিং কোচ পারশ মামরে সামিকে সেই রেকর্ডের কথা জানাতেই, সামি অবাক। এটা তাঁর জানা ছিল না।
ওভালে ৬ উইকেট নিয়েছেন জসপ্রীত বুমরা। ৩ উইকেট সামির। বাকি ১ উইকেট নিয়েছেন প্রসিধ কৃষ্ণা। বোর্ডের পক্ষ থেকে একটি ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানের পারশ মামরে সামিকে জানান, প্রথমবার, ভারত টসে জিতে বোলিং করে যেখানে পেসাররা প্রতিপক্ষের সব উইকেট নিয়েছে। সামি অবাক হয়ে বলেন, ‘এটা জানা ছিল না। যেমন বোলিং হচ্ছিল, প্রয়োজনই পড়েনি পরিবর্তন করার। বোলিং কম্বিনেশন যেমন সেট হয়েছিল, সব ঠিকঠাকই চলছিল। রেকর্ড কখনও সখনও হয়। এটা শুনে খুবই ভালো লাগছে। স্মৃতি হয়ে থাকবে।’
আরও একটি প্রশ্নে মজার অভিব্যক্তি সামির। মামরে বলেন, ছোট একটা বিরতির পর ওডিআই ক্রিকেটে খেললে…। প্রশ্ন শেষ করার আগেই হাসিতে লুটিয়ে পড়া অবস্থা সামির। বললেন, ‘একটু ব্রেক কোথায়! তিন বছরের ব্রেক ছিল।’ সঙ্গে যোগ করেন, ‘তবে ভেতরে কিছুই চলছিল না। কেন না, দলের সঙ্গে সম্পর্কটাই এমন। এক সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে খেলছি। সবাই নিজের দায়িত্ব, ভূমিকা জানে। যদি একটুও দ্বিধা থেকে, সেটা সমস্য়া তৈরি হতে পারে। মানসিক ভাবে পরিষ্কার থাকা জরুরি।’
বুমরার সঙ্গে বোলিংয়ে জুটি নিয়ে সামি জানালেন, ‘শুরু থেকে সিম হচ্ছিল, সুইং হচ্ছিল। সে সময় লাইন লেন্থ নিয়ন্ত্রণে রাখা খুব জরুরি ছিল। আমার মতে, সকলেই সেরাটা দিয়েছে। সিরিজের শুরুটা সব সময় ভালো হওয়া উচিত। এটাই উদাহরণ এভাবেই শুরু করা উচিত। বুমরার সঙ্গে এত সময় ধরে খেলছি, দুটো শব্দ বললেই বুঝে যায়, ওকে কী বলতে চাইছি। আমি প্রথম ওভার করেছি, ও বুঝেছে উল্টোদিক থেকেও সুইং পাবে। বুমরাও সেই লেন্থই চেষ্টা করে। পরপর উইকেটও নিয়েছে। এমন শুরু হলে পরিবর্ত বোলারের জন্য়ও কাজটা সহজ হয়ে যায়।’