Image Credit source: Twitter
বেকারের এই ভদ্রস্থ চাকরি পাওয়া কিন্তু অনেকেই ভালো চোখে দেখছেন না।
লন্ডন: জেলে আর ‘বেকার’ নন বরিস! অবশেষে চাকরি খুঁজে পেলেন! যে সে চাকরি নয়, একেবারে শিক্ষকের (Teacher) ভূমিকায়। তবে এই শিক্ষকতা অনেকটাই শারীর শিক্ষার সঙ্গে জড়িয়ে। আরও ভালো করে বললে, ফিটনেস সংক্রান্ত শিক্ষাই তিনি দিচ্ছেন হান্টারকম্ব জেলে বন্দিদের। নিয়মিত শরীরচর্চা করলে কী লাভ হয়, নির্দিষ্ট ডায়েট মেনে চললে কীভাবে লাভবান হওয়া যেতে পারে, ক্লাসরুম অ্যাসিস্টেন্ট হিসেবে তাই তুলে ধরছেন নিয়মিত। তছরুপ, জালিয়াতি, সম্পত্তি গোপন করার দায়ে অভিযুক্ত হয়ে প্রায় আড়াই বছরের জন্য জেল হয়েছে জার্মান টেনিস তারকা বরিস বেকারের (Boris Becker)। জেল-জীবন যে কঠিন হতে পারে, তা ভালো করেই জানতেন তিনি। সেই কারণে জিম ইন্সট্রাক্টর হতে চেয়েছিলেন। তা হতে না পারলেও যে কাজ পেয়েছেন, জেলে তা কম সুখের নয় বলেই মনে করছেন অনেকে।
বেকারের এই ভদ্রস্থ চাকরি পাওয়া কিন্তু অনেকেই ভালো চোখে দেখছেন না। জেলেরই একটি সূত্র জানাচ্ছে, ‘জেলে কেউ এসেই ক্লাসরুম সহকারীর চাকরি পেয়ে যাচ্ছে, এটা সচরাচর দেখা যায় না। এই চাকরি অনেকটা বাড়তি সুবিধা পাওয়ার মতো। জেলে পা দেওয়ার সপ্তাহখানেকের মধ্যেই উনি কিন্তু চাকরিটা পেয়েছেন। এটা কেউ কেউ যে ভালো চোখ দেখছে না, তা নিয়ে কোনও সন্দেহই নেই। জেল বন্দিদের পরিবারের তরফ থেকে এ নিয়ে অভিযোগও জমা পড়েছে।’
তিন বারের উইম্বলডন চ্যাম্পিয়ন বেকার বছর কয়েক আগে নিজেকে দেউলিয়া ঘোষণা করেছিলেন। সেই সময় ব্যাঙ্ককে যে তথ্য পেশ করেছিলেন, তা সঠিক ছিল না। তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হতেই প্রকাশ্যে এসে গিয়েছিল সত্যিটা। আড়াই বছরের জেল হয় তাঁর। সি ক্যাটেগরি জেলে পাঠানো হয়েছে। তখন থেকেই একটা ব্যাপার বলা হচ্ছিল, জেলের জীবন যে কঠিন, তা বুঝতে দেরি হবে না বেকারের। কিন্তু তিনি সেলিব্রিটি বলে, টেনিস দুনিয়ার কিংবদন্তি বলে তাঁকে বাড়তি সুবিধে পাইয়ে দেবে না তো জেল কর্তৃপক্ষ? সেটাই কার্যত সত্যি হতে চলেছে। তবে জিম ইন্সট্রাক্টর হতে গেলে একটা নির্দিষ্ট সময় জেলে কাটাতে হয়। তা তিনি কাটাননি। যে কারণে ক্লাসরুম অ্যাসিস্টেন্টের চাকরি পেয়েছেন। জেলের ওই সূত্র বলছে, ‘জেলের জীবনে স্বাচ্ছন্দ থাকে না, এটা ঠিক। বাইরের জীবনের সঙ্গে এর তুলনা করা যায় না। কিন্তু অন্যান্য বন্দিদের থেকে ভালো জীবনযাপনের সুযোগ যে ওঁকে পাইয়ে দেওয়া হয়েছে, তা নিয়ে কিন্তু বিতর্ক নেই।’
জেলে থাকলেও উইম্বলডন দেখতে কোনও অসুবিধা হয়নি বেকারের। নোভাক জকোভিচকে গ্র্য়ান্ড স্লামের কোর্টে ফিরতে দেখে খুবই উচ্ছ্বসিত হয়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত তাঁর ছাত্রের হাতেই উঠেছে ট্রফি। এমন সুযোগও যে জেলের বন্দিরা পান, তাও নয়।