ছবি: টুইটার
Image Credit source: TWITTER
ওমিদ সিংয়ের বকেয়া টাকা মেটাতে পারেনি শ্রী সিমেন্ট। কারণ, ওমিদের দেশ ইরানে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের টাকা জমা করা যায় না। ওমিদের বিষয়টা গড়িয়েছে ফিফা ক্যাশ (CAS) পর্যন্ত। ফলে এখানে ফেডারেশনও কোনও হস্তক্ষেপ করতে পারছে না। সূত্রের খবর, বকেয়া মেটানোর জন্য বিকল্প একটা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট দিয়েছেন ওমিদ।
কলকাতা: চুক্তি জট কেটে গিয়েছে। সামনের সপ্তাহেই হয়তো ইমামির সঙ্গে ইস্টবেঙ্গলের (East Bengal) চূড়ান্ত চুক্তি সম্পন্ন হতে পারে। ইতিমধ্যেই নতুন কোম্পানি তৈরির জন্য আবেদনও করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার লগ্নিকারী সংস্থার কর্তাদের সঙ্গে একদফা বৈঠকও করেন লাল-হলুদ কর্তারা। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে ইস্টবেঙ্গলের ট্রান্সফার ব্যান কবে উঠবে? ফুটবলারদের বকেয়া টাকা ইতিমধ্যেই মিটিয়ে দিয়েছে শ্রী সিমেন্ট। বাকি রয়েছে ওমিদ সিংয়ের বকেয়া টাকা। ফুটবলার রিক্রুটের প্রক্রিয়া ইস্টবেঙ্গল যতই জারি রাখুক, ট্রান্সফার ব্যান না উঠলে কাউকেই সই করাতে পারবে না। সেক্ষেত্রে ডুরান্ড কাপ হোক, কিংবা কলকাতা লিগ, মাঠে দল নামাতে সমস্যায় পড়ে যাবে ইস্টবেঙ্গল। ফুটবলারদের বকেয়া যতই প্রাক্তন লগ্নিকারী সংস্থা মিটিয়েই দেয়, তাহলে ট্রান্সফার ব্যান উঠছে না কেন? সমস্যা ঠিক কোথায়?
খোঁজ নিয়ে জানা গেল, ফুটবলারদের বকেয়া মিটিয়ে দেওয়া হলেও এখনও অধিকাংশের জিএসটি মেটানো হয়নি। ধীরে ধীরে সেই টাকা মিটিয়ে দিচ্ছে শ্রী সিমেন্ট। আসলে, এসসি ইস্টবেঙ্গলে খেলা ফুটবলারদের ক্ষেত্রে আগে ফুটবলারদের নিজেদের জিএসটি-র টাকা জমা করতে হত। এরপর তাঁরা সেই বিল এসসি ইস্টবেঙ্গল ফাউন্ডেশনের কাছে জমা দিতেন। ওয়েবসাইটে গিয়ে সব কিছু দেখার পরই এরপর সেই জিএসটি-র টাকা মিটিয়ে দিত এসসি ইস্টবেঙ্গল। গত দু’বছর লাল-হলুদে খেলা ফুটবলারদের কাছে এই বিষয়টা অবগত হলেও, যাঁরা খেলেননি তাঁরা এই প্রক্রিয়া সম্পর্কে অবগত নন। তাই সেই সমস্ত ফুটবলারদের বকেয়া মিটিয়ে দিলেও এখনও জিএসটি-র টাকা ঝুলে রয়েছে। ফেডারেশনের প্লেয়ারস স্ট্যাটাস কমিটির দেওয়া বকেয়া অনুযায়ীই টাকা মিটিয়েছে এসসি ইস্টবেঙ্গল। পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন না হওয়ায় ট্রান্সফার ব্যান এখনও ওঠেনি।
এখানেই শেষ নয়। ওমিদ সিংয়ের বকেয়া টাকা মেটাতে পারেনি শ্রী সিমেন্ট। কারণ, ওমিদের দেশ ইরানে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের টাকা জমা করা যায় না। ওমিদের বিষয়টা গড়িয়েছে ফিফা ক্যাশ (CAS) পর্যন্ত। ফলে এখানে ফেডারেশনও কোনও হস্তক্ষেপ করতে পারছে না। সূত্রের খবর, বকেয়া মেটানোর জন্য বিকল্প একটা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট দিয়েছেন ওমিদ। সেই অ্যাকাউন্টে বকেয়া জমা পড়লেই ফিফা ট্রান্সফার ব্যান উঠবে ইস্টবেঙ্গল থেকে।
এদিকে, ক্লাব লাইসেন্সিংয়ের জন্য এখনও প্রায় ৭ লক্ষ টাকা বাকি আছে ইস্টবেঙ্গলের। প্রায় ২২ লাখ টাকার মধ্যে ১৫ লাখ টাকা মেটানো হয়েছে। ক্লাবের দাবি, এই পুরো বকেয়াটাই পূর্বতন ইনভেস্টর কোয়েসের। সূত্রের খবর, ফেডারেশন শুক্রবার চিঠি পাঠিয়ে ক্লাবকে জানিয়ে দেয়, তখন ক্লাব লাইসেন্সিং ফেরত নেওয়ার সময় ইস্টবেঙ্গল জানিয়েছিল সব দায়ভার ক্লাবের। সেই মর্মে হলফনামায় সইও করেছিল ক্লাব। তাই এই বকেয়া ক্লাবকেই মেটাতে হবে।