এবারের কমনওয়েলথ গেমস শুধু ভিনেশ বা সাক্ষীর জন্য নয়, কুস্তিগীর বজরং পুনিয়ার কাছেও ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ।
Image Credit source: Twitter
নয়াদিল্লি: কমনওয়েলথ গেমস (Commonwealth games), মাল্টি স্পোর্টস ইভেন্টের এই আসরে শুধুমাত্র ৫৪ সদস্যবিশিষ্ট কমনওয়েলথভুক্ত দেশসহ ৭২টি দেশ অংশ নেয়। ইউরোপের তাবড় তাবড় অ্যাথলিটরা অংশ নিতে পারেন না। তাই অলিম্পিকস বা বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের থেকে কমনওয়েলথে প্রতিযোগিতা অপেক্ষাকৃত কম। এই ফাঁকে সাক্ষী মালিক, ভিনেশ ফোগট, বজরং পুনিয়ার মতো কয়েকজন ভারতীয় কুস্তিগীর এই অপেক্ষাকৃত দুর্বল প্রতিযোগিতার আসরকে বেছে নিচ্ছেন তাঁদের হারানো আত্মবিশ্বাস খুঁজে পেতে।
টোকিয়ো অলিম্পিকের আগে হাঁটুর চোটে ভুগছিলেন বজরং। এতে তাঁর আত্মবিশ্বাসও টাল খায়। গতবছর টোকিয়ো অলিম্পিক থেকে খালি হাতে ফিরেছিলেন। সম্প্রতি কয়েকটি শারীরিক পরীক্ষা করিয়েছেন বজরং পুনিয়া। পরীক্ষার ফলাফল তাঁর বিশ্বাস ফিরিয়ে দিয়েছে যে সামান্য ধাক্কা খেলেও শরীর ভেঙে পড়ার আশঙ্কা নেই। ফলে কমনওয়েলথ গেমসে অনায়াসে ঝাঁপিয়ে পড়তে পারেন বজরং। কারণ ইরান, রাশিয়া, জাপান এবং কাজাখস্তানের মতো রেসলিং পাওয়ারহাউসগুলি এই আসরে প্রতিন্দ্বন্দ্বিতা করে না। শুধুমাত্র কানাডিয়ান এবং নাইজেরিয়ান কুস্তিগীররাই ভারতীয়দের কিছুটা চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিতে পারে। যারা এই ইভেন্টে বছরের পর বছর ধরে আধিপত্য ছড়িয়েছে।
টোকিয়ো অলিম্পিকসে পদক জয়ের অন্যতম দাবিদার ছিলেন কুস্তিগীর ভিনেশ ফোগট। এশিয়ান গেমসের সাফল্যের পর অলিম্পিক পদকের জন্য মুখিয়ে ছিলেন ভিনেশ। তবে ফেভারিট হিসেবে প্রতিযোগিতায় নেমেও হতাশা ছাড়া আর কিছু নিয়ে ফিরতে পারেননি। আত্মবিশ্বাস ও একইসঙ্গে ছন্দ ফিরে পেতে কমনওয়েলথ ভিনেশের জন্য দারুণ প্ল্যাটফর্ম। এই আসরে পদক জয় তাঁকে মানসিকভাবে চাঙ্গা করবে। ফিরে আসবে হারানো বিশ্বাস। ২০২৪ প্যারিস অলিম্পিকে বেশি দেরী নেই। সেই সময়ের মধ্যে ভিনেশ তাঁর যোগ্যতা উপলব্ধি করতে পারলে তাঁর কেরিয়ারের জন্য মঙ্গল।
একইভাবে রিও অলিম্পিকে পদক জয়ী কুস্তিগীর সাক্ষী মালিকের ক্ষেত্রেও একই জিনিস খাটে। অলিম্পিক পদক জেতার পর থেকে লাগাতার ফর্ম নিয়ে যুঝছেন সাক্ষী। হারিয়েছিলেন আত্মবিশ্বাস। মনোরোগ বিশেষজ্ঞর সাহায্যে কিছুটা হলেও কনফিডেন্স ফিরে পেয়েছেন। কমনওয়েলথের ট্রায়ালের সেমিফাইনালে সোনম মালিককে কোনওক্রমে হারাতে পেরেছিলেন। ৬২ কেজি বিভাগে হারিয়ে দেন মনিষাকে। রক্ষণাত্মকভাব অনেকটা কেটেছে। বাউটে নেমে প্রতিপক্ষকে চাপে রাখছেন, পয়েন্ট তুলছেন এবং বাউট খুব দ্রুত শেষ করছেন। এগুলি ভালো লক্ষণ। তবে রিও অলিম্পিকে পর কোনও বড় ইভেন্টে সাক্ষীর পদক নেই। সেক্ষেত্রে বার্মিংহ্যাম কমনওয়েলথ গেমস হতে পারে সাক্ষী মালিকের কামব্যাকের মঞ্চ।