ফ্রান্সের দ্বিতীয় ডিভিশন ক্লাব সোশাউক্সে খেলতেন। এত দল থাকতে হঠাৎ মোহনবাগানে কেন?
নানা মেজাজে পোগবা। (ছবি : নিজস্ব)
কৌস্তভ গঙ্গোপাধ্যায়
কলকাতা: এক ঝলক দেখলে মনে হবে অবিকল পল পোগবা (Paul Pogba)। একই রকম চাউনি, হাঁটা চলা, একই রকম হাসি, একই রকম গাম্ভীর্য। ফ্লোরেন্টিন পোগবা (Florentine Pogba)। সম্পর্কে পল পোগবার দাদা। রবিবার শহরে এসেই মাঠে নেমে পড়লেন ফ্লোরেন্টিন পোগবা। রবিবার বিকেলে মোহনবাগানের (ATK Mohunbagan) অনুশীলন দেখতে ভিড় জমিয়েছিলেন প্রায় ২০০ সমর্থক। সবার নজর একজনের দিকেই। তিনি ফ্লোরেন্টিন পোগবা। ড্রেসিংরুম থেকে মাঠে ঢোকার মুহূর্তে বাড়িয়ে দিলেন দুই হাত। পোগবাকে একটু ছোঁয়ার আকুতি তখন সমর্থকদের মধ্যে।
শহরে এসে প্রথম দিনই মাঠে নেমে পড়লেন ফ্লোরেন্টিন পোগবা। জেট ল্যাগ থাকায় দলের সঙ্গে অনুশীলন করেননি। আলাদাই প্র্যাকটিস করলেন। শুরুতে কয়েক পাক দৌড়লেন। তারপর বল নিয়ে একা একাই একটু স্কিল দেখালেন। গ্যালারি জুড়ে তখন পোগবা… পোগবা চিৎকার। স্ট্রেচিং করার পর মাঠে দাঁড়িয়েই দেখলেন বাকিদের অনুশীলন। সতীর্থদের খেলা মন দিয়ে দেখে নিলেন পোগবা। সোমবার থেকেই দলের সঙ্গে পুরোদমে অনুশীলন করবেন ফ্লোরেন্টিন।
ফ্রান্সের দ্বিতীয় ডিভিশন ক্লাব সোশাউক্সে খেলতেন। এত দল থাকতে হঠাৎ মোহনবাগানে কেন? পোগবার উত্তর, ‘যখন আমার কাছে অফার আসে, তখন একটু ভেবে নিই। তারপর ভাবলাম, নতুন একটা দেশ, নতুন মানুষ। সেখানকার ফুটবলকে একটু যাচাই করাই যেতে পারে। তাই ভারতে খেলতে আসার সিদ্ধান্ত নিলাম।’ ৬ ফুটের উপর উচ্চতার দীর্ঘকায় এই ফুটবলার বাগানের রক্ষণ সামলাবেন। তবে ফ্লোরেন্টিন বললেন, ‘আমি শুরুতে স্ট্রাইকারে খেলতাম। দশ নম্বর জার্সি পরতাম। উইংয়েও খেলতাম। এরপর মিডফিল্ডে খেলি। ওটাই আমার পছন্দের জায়গা। মাঝমাঠে খেলার পাশাপাশি রক্ষণেও খেলতে পারি। মোহনবাগানে তিরি লিগামেন্টে চোট পাওয়ায় আমার কাছে এখানে ডিফেন্সে খেলার প্রস্তাব আসে। আমি সেই প্রস্তাবে সাড়া দিই। ইউরোপে রক্ষণে বেশ কয়েকটা ম্যাচ খেলেওছি।’
মোহনবাগানে আসার আগে খেলার মধ্যেই ছিলেন। মহমেডানের নতুন সেনেগালের ফুটবলার ঔসমানকে চেনেন। এ ছাড়া আসার সতীর্থ হুগো বোমাসের সঙ্গেও আগে বেশ কয়েকবার কথা হয়েছে। প্রিয় ফুটবলার লিওনেল মেসি। পোগবার স্ত্রীও ভারতে আসতে মুখিয়ে। নতুন দেশ দেখার নেশা তাঁর স্ত্রীর। ফরাসি বিশ্বকাপার নিকোলাস আনেলকা খেলে গিয়েছেন আইএসএলে। সে কথা শুনেছেন।
বড় ম্যাচ সম্পর্কে অবশ্য খুব একটা ধারণা ছিল না। তবে মোহনবাগানে সই করে বুঝেছেন ডার্বির গুরুত্ব। অনেকের কাছে শুনেওছেন। ডুরান্ডের সূচি পাল্টে গিয়েছে তা জানতেন না। ভেবেছিলেন ডার্বি দিয়েই শুরু করবেন। তবে বড় ম্যাচে মাঠে নামতে মুখিয়ে ফ্লোরেন্টিন পোগবা। ভাই পল পোগবাকে কি ভারতে আসতে বলবেন? ফ্লোরেন্টিনের উত্তর, ‘ওর ব্যস্ত সূচি। ক্লাবের ম্যাচ ছাড়াও দেশের খেলা থাকে। সামনে বিশ্বকাপ। তবে এখানকার অভিজ্ঞতা ওর সঙ্গে শেয়ার করব।’