আসন্ন বিশ্বকাপের জন্য যে গান গাইতে চলেছে বিটিএস, তা নিশ্চিত। সেই গানই কি বিশ্বকাপের থিমসং?
কাতার বিশ্বকাপের অফিসিয়াল থিম সং গাইবে বিটিএস?
আসাদ মল্লিক
শুধু কোরিয়ান মিউজিক নয়, বিশ্ব সঙ্গীতের জগতে এখন অন্যতম পরিচিত নাম বিটিএস (BTS)। বিশ্বের দরবারে কে-পপকে (K-Pop) জনপ্রিয়তার শীর্ষে পৌঁছে দিয়েছে এই কোরিয়ান ব্যান্ড। বিটিএস শুরুর দিক থেকেই একের পর এক নতুন অ্যালবাম প্রকাশ করেছে, যা তছনছ করে দিয়েছে বিলবোর্ডের যাবতীয় হিসেব। সঙ্গীত বিশেষজ্ঞদের মতে, দক্ষিণ কোরিয়ার কে-পপ, হিপ-হপ (Hip Hop) এবং ইডিএম (EDM) ধারার সংমিশ্রণ ঘটায় এই ব্যান্ড। সঙ্গীতের জগতে বাংতান বয়েজ নামেও পরিচিত বিটিএস। শুক্রবার রাতে একটি টুইট করেছে ফিফা, যেখানে দেখা যাচ্ছে বিশ্বকাপের জন্য নতুন গান নিয়ে হাজির হচ্ছে বিটিএস। তবে কি কাতার বিশ্বকাপের থিম সং লেখা ও গাওয়া, দুইয়েরই দায়িত্ব নিতে চলেছে এই কোরিয়ান ব্যান্ড?
আসন্ন বিশ্বকাপের জন্য যে গান গাইতে চলেছে বিটিএস, তা নিশ্চিত। সেই গানই কি বিশ্বকাপের থিমসং? তা স্পষ্ট হয়েছে ভিডিয়োতেই। কোরিয়ার খ্যাতনামা অটোমোবাইল নির্মাতা হুন্ডাইয়ের হয়ে একটি প্রচারে নেমেছে বিটিএস সদস্যরা। ফিফা বিশ্বকাপের ক্ষেত্রেও পৃষ্ঠপোষক ছিল হুন্ডাই। গাড়ি প্রস্তুতকারক সংস্থার তরফে এই ভিডিয়ো নির্মাণ করা হবে বলে খবর। #HyundaiGOTCpledge হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে এই ক্যাম্পেইনে অংশগ্রহণ করেছে বিটিএস।
ফিফার ভিডিয়োতে স্পষ্ট, হুন্ডাইয়ের আন্তর্জাতিক ক্যাম্পেনের জন্য ২০২২ ফুটবল বিশ্বকাপের নতুন গান রিলিজ করবে বিটিএস। উক্ত ক্যাম্পেনের নাম হল ‘গোল অব দ্য সেঞ্চুরি’। সেখানে বিটিএসের পাশাপাশি দেখা যাবে ইংলিশ ফুটবলার স্টিভন জেরার্ড, কোরিয়ার ফুটবল দলের অধিনায়ক পার্ক জি সং, ইউনেস্কো অ্যাম্বাসাডর নাদিয়া নাদিম, পোশাক নির্মাতা জেরেমি স্কট এবং ভাস্কর লরেঞ্জো কুইনকে।
ফিফার পোস্ট করা ভিডিয়ো দেখে ইতিমধ্যেই উচ্ছ্বসিত বিটিএস ফ্যানমহল। জানা যাচ্ছে, আগামী ২৯ জুলাই – ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলা এই ক্যাম্পেইনে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে থেকে বেছে নেওয়া হবে ১১ জনকে। এই ভাগ্যবানরা সরাসরি কাতারের মাঠে বসেই খেলা উপভোগ করার সুযোগ পাবেন। সুগা, জে-হোপ, জ্যাংকুক, জিমিন, আরএম, জিন, ভি – ৭ সদস্যের প্রত্যেককেই দেখা গেছে ফিফার এই অফিসিয়াল ভিডিয়োয়। খেলা দেখার পাশাপাশি বিটিএসের সদস্যদের দেখাও যে পাওয়া যেতে পারে, সে সম্ভাবনা তো আছেই। আর তাই ক্রমশ এই ক্যাম্পেইন ঘিরে বাড়ছে চর্চা, বাড়ছে উন্মাদনা।