ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্রের মঞ্চে ইমামি-ইস্টবেঙ্গল কর্তাদের হাম সাথ সাথ হ্যায় বার্তা। অনুষ্ঠান দেখতে আসা সমর্থকদের চিৎকারে ফেটে পড়ছে ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্র।
Image Credit source: নিজস্ব চিত্র
কলকাতা: মঙ্গলবার যদি সিনেমা রিলিজ করে, সোমবার তার ট্রেলার দেখে নিল লাল-হলুদ সমর্থকরা। ইস্টবেঙ্গল দিবসে (East Bengal Day) মঞ্চ আলো করে থাকলেন বিনিয়োগকারী সংস্থার কর্তারা। ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্রের মঞ্চে ইমামি-ইস্টবেঙ্গল কর্তাদের হাম সাথ সাথ হ্যায় বার্তা। অনুষ্ঠান দেখতে আসা সমর্থকদের চিৎকারে ফেটে পড়ছে ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্র। ব্যাকগ্রাউন্ডে বাজছে অরিজিৎ সিংয়ের গাওয়া থিম সং। ইস্টবেঙ্গল দিবসে এর চেয়ে ভালো পাওনা সমর্থকদের কাছে আর কিই বা হতে পারে! অনুষ্ঠান শেষ হওয়া পর্যন্ত মঞ্চে থাকলেন ইনভেস্টর কর্তারা। এর আগে কোয়েস এসেছে, এসেছে শ্রী সিমেন্টও। কিন্তু ইস্টবেঙ্গল দিবসে কখনও বিনিয়োগকারী সংস্থার কর্তাদের দেখা যায়নি। যদিও শ্রী সিমেন্টের বেলায় কোভিডের জন্য ২ বছর অনুষ্ঠান হয়নি। কোয়েসের বেলায় দেখা গিয়েছিল তৎকালীন কোচ, ফুটবলারদের। ছিলেন সিইও। কখনও কর্তাদের দেখা যায়নি। ইস্টবেঙ্গল দিবসে ইমামি ইস্টবেঙ্গল (East Bengal) কর্তাদের একসঙ্গে দেখে দীর্ঘ পথ চলার আশা দেখতে পারেন সমর্থকরা।
ইমামি গ্রুপের দুই ডিরেক্টর মণীশ গোয়েঙ্কা আর আদিত্য আগারওয়াল হাজির ছিলেন অনুষ্ঠানে। মঞ্চ থেকে ইমামি কর্তার বার্তা, ‘সবাইকে ইমামি ইস্টবেঙ্গলের তরফ থেকে নমস্কার জানাচ্ছি। মঞ্চে লাল-হলুদ উত্তরীয় পরে আছি। এর চেয়ে আমাদের কাছে গর্বের আর কিছু হতে পারে না। দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি নিয়েই আমরা এগোচ্ছি। আপনাদের জন্যই আমরা মঞ্চে আছি। অনেক ভয়, অনেক শঙ্কা দূর করে আজ আমরা এই জায়গায়। এই পথটা সহজ ছিল না। আপনাদের সমর্থনের জন্যই এটা সম্ভব হয়েছে। এই ভাবে সাপোর্ট করতে থাকুন আমাদের। অনেক ভালো টিম হবে আমাদের। ধৈর্য্য রাখুন। সাফল্য আসবে। আমরা জিতবই। আপনাদের সঙ্গে আবার দেখা হবে ট্রফি জেতার পর।’ ইস্টবেঙ্গল দিবসের অনুষ্ঠানে ম্যান অব দ্য ম্যাচ ইমামি। সমর্রকদের মন জয় করে নিলেন ইনভেস্টর কর্তারা।
ইমামি ইস্টবেঙ্গল ফুটবল ক্লাব প্রাইভেট লিমিটেড নামে কোম্পানি তৈরি হয়েছে। ফুটবলের ৭৭ শতাংশ থাকবে বিনিয়োগকারী সংস্থার হাতে। বাকি ২৩ শতাংশ থাকছে ক্লাবের। বোর্ডে ইমামি গ্রুপের ৭জন কর্তা থাকবেন। ক্লাবের তরফ থেকে থাকবেন ৩ কর্তা।
সমর্থকদের আবেগের বিস্ফোরণ দেখতে পেলেন ইমামির কর্তারা। ভারতগৌরব সম্মান পেলেন লিয়েন্ডার পেজ আর ঝুলন গোস্বামী। দুই তারকাই এই সম্মান পেয়ে গর্বিত। ঝুলন তো বলেই দিলেন, ‘আমি ইস্টবেঙ্গলকে ভালোবাসি। বড় ম্যাচ থাকলেই টেনশন হয়। খেলার মধ্যে থাকলেও ইস্টবেঙ্গলের রেজাল্ট জানার চেষ্টা করি।’ আদ্যন্ত মোহনবাগান সমর্থক লিয়েন্ডার বললেন, ‘ইস্টবেঙ্গল আর মোহনবাগান দুই ক্লাবই আমার হৃদয়ে।’ জীবনকৃতি সম্মান দেওয়া হল গৌতম সরকার আর স্বপন সেনগুপ্তকে। মোহনবাগান, মহমেডান স্পোর্টিং, সিএবির তরফ থেকেও শুভেচ্ছা জানানো হয় ইস্টবেঙ্গলকে। তবে সব ছাপিয়ে ইমামির কর্তারাই সমর্রকদের হৃদয় জিতে নিলেন। দীর্ঘ অন্ধকার পেরিয়ে ভোরের আলো ফুটতে শুরু করেছে লেসলি ক্লডিয়াস সরণিতে। ফুটবল দলের সাফল্যই সেই আলোকে আরও উজ্জ্বল আর দীর্ঘায়িত করতে পারে।