কলকাতা লিগ আর ডুরান্ডে ইস্টবেঙ্গলের আগে ইমামির নাম থাকলেও ইন্ডিয়ান সুপার লিগে নিজের নামেই খেলবে ইস্টবেঙ্গল।
Image Credit source: নিজস্ব চিত্র
কলকাতা: প্রতিষ্ঠা দিবসেই দারুণ খবর লাল-হলুদ সমর্থকদের জন্য। আইএসএলে নিজেদের নামেই খেলবে ইস্টবেঙ্গল। সোমবারই ছিল ইস্টবেঙ্গল দিবস। সেই অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে ক্লাব তাঁবুতে হাজির ছিলেন ইমামির দুই কর্তা আদিত্য আগরওয়াল ও মণীশ গোয়েঙ্কা। আগামিকাল অর্থাৎ ২ অগস্ট ইমামি ও ইস্টবেঙ্গল নতুন চুক্তিতে সই করবে। তার আগে এই খবর নিশ্চিত ভাবেই খানিকটা স্বস্তি দিয়ে গেল সমর্থকদের। গত কয়েক বছর ধরে ইনভেস্টর বনাম ক্লাব কর্তাদের মনোমালিন্য তুঙ্গে। ইমামি আসার পরও যার ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছিল। তবে সে সব মিটিয়ে দু’পক্ষ চুক্তিতে সই করতে সম্মত হয়েছে। ইস্টবেঙ্গল এবং ইমামির শুরুটা যে বেশ ভালো ভাবেই হতে চলেছে, তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই।
দু’ঘণ্টারও বেশি সময় ক্লাব তাঁবুতে ছিলেন ইমামির দুই কর্তা। তাঁদের ঘিরে সমর্থকদের মধ্যে কাড়াকাড়ি পড়ে গিয়েছিল। অনেকেই সেলফি তোলার আব্দার রাখেন। যা পূরণও করেছেন কর্তারা। তারই মধ্যে আবার ভালো টিম করার আবেদনও রেখেছেন সমর্থকরা। ইমামির অন্যতম মালিক আদিত্য বলেন, ‘নিঃসন্দেহে আমরা একটা ভালো টিম বানাব। সমর্থকদের আশ্বস্ত করছি, চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্যই ইস্টবেঙ্গল মাঠে নামবে।’ সেই সঙ্গে তিনি জোড়েন, ‘ইস্টবেঙ্গল দিবসে এসে খুব ভালো লাগল। এমন সুন্দর একটা অনুষ্ঠানে হাজির থাকতে পেরে ভালো লাগছে।’
আইএসএলে ইস্টবেঙ্গলের নামের সঙ্গে ইনভেস্টরের নাম না জড়ানোর মধ্যে অবশ্য কোনও অভিনবত্ব নেই। কলকাতা লিগ ও ডুরান্ডে ইমামি-ইস্টবেঙ্গল নামে খেলবে ক্লাবের ফুটবল টিম। কিন্তু আইএসএলের নিয়মই হল, ইনভেস্টরের নাম ক্লাবের আগে বা পরে জোড়া যাবে না। গত দুই মরসুমে কিন্তু পরিস্থিতি অন্য রকম ছিল। এসসি ইস্টবেঙ্গল নামে আইএসএল খেলেছিল ক্লাব। শ্রী সিমেন্টের নাম আগে বসেছিল কিনা, তা নিয়ে অবশ্য জল্পনা ছিল। অনেক ক্ষেত্রেই বলা হয়েছিল, আসলে স্পোর্টিং ক্লাব ইস্টবেঙ্গল নামে আইএসএল খেলেছে লাল-হলুদ। সে জটিলতা এ বার কাটিয়ে উঠছে লাল-হলুদ।
চুক্তিতে সই হওয়ার অনেক আগে থেকেই টিম গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। বেশ কিছু ফুটবলারকে ইতিমধ্যে সইও করিয়ে ফেলেছেন কর্তারা। কোচ হিসেবে স্টিফেন কনস্ট্যান্টাইনকেও নেওয়া হয়েছে। সন্তোষ ট্রফিজয়ী কেরলের কোচ বিনু জর্জকেও নেওয়া হয়েছে তাঁর সহকারী হিসেবে। গত কয়েক মরসুম ধরে আইএসএলে টানা ব্যর্থতা থেকে যে কর্তারা বেরিয়ে আসতে চেয়েছেন, তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। একই সঙ্গে ইমামিও চেয়েছে প্রত্যাশা মতো টিম বানানোর।