প্ল্যান এ, প্ল্যান বি- সব রকম পরিকল্পনা নিয়েই এগোচ্ছে ইমামি ইস্টবেঙ্গল। কলকাতা লিগ আর ডুরান্ডের জন্য একটি দল। আইএসএলের জন্য থাকছে আরেকটি দল।
Image Credit source: OWN Photograph, TWITTER,
কলকাতা: গত কয়েক বছর ইনভেস্টরদের সঙ্গে ইস্টবেঙ্গল (East Bengal) ক্লাবের সম্পর্কটা ভালো যায়নি। নতুন ইনভেস্টর ইমামির (Emami) সঙ্গে ইস্টবেঙ্গলের সম্পর্ক কতটা দীর্ঘ হবে তা সময় বলবে। তবে, সকাল দেখলে বোঝা যায়, দিনটা কেমন যাবে। ঠিক তেমনই, লগ্নিকারী সংস্থা ইমামির সদিচ্ছা দেখে আশায় বুক বাঁধতে পারেন লাল- হলুদ সমর্থকরা। ক্লাব কর্তারা গড়ের মাঠকে হাতের তালুর মতো চেনেন। এর সঙ্গে দরকার কর্পোরেটের মিশ্রণ। যত ভালো ম্যানেজমেন্ট, তত ভালো দল। আগের দুই ইনভেস্টর কোয়েস আর শ্রী সিমেন্ট ক্লাব কর্তাদের এড়িয়েই দল গঠন করেছে। তার প্রভাব দেখা যায় দলের পারফরম্যান্সে। তবে ইমামি কর্তারা ক্লাবের পরামর্শ মেনেই দল গঠনে জোর দিয়েছে। হয়তো সে কারণেই ডার্বির ছাব্বিশ দিন আগেও বেশ কনফিডেন্ট দেখাচ্ছে দুই গোষ্ঠীর কর্তাদেরই।
প্ল্যান এ, প্ল্যান বি- সব রকম পরিকল্পনা নিয়েই এগোচ্ছে ইমামি ইস্টবেঙ্গল। কলকাতা লিগ আর ডুরান্ডের জন্য একটি দল। আইএসএলের জন্য থাকছে আরেকটি দল। স্টিফেন কনস্ট্যানটাইন (Stephen Constantine) শহরে এলেই বিনো জর্জের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন। তারপরই ঠিক হবে রিজার্ভ দল। দেশিয় ফুটবলারদের স্কোয়াড একরকম তৈরি। বিদেশি বাছাইয়ের কাজ করছেন কনস্ট্যানটাইন। ভিসা পেলেই চলে আসবেন ইস্টবেঙ্গল কোচ। এই সপ্তাহেই শহরে এসে যেতে পারেন। স্টিফেন একা শহরে আসছেন না। পুরো দল নিয়েই শহরে আসতে চলেছেন। সাপোর্ট স্টাফদের সঙ্গে নিয়ে আসছেন কনস্ট্যানটাইন। তার মধ্যে থাকছেন গোলকিপার কোচ, সহকারী কোচ আর ফিজিক্যাল ট্রেনার।
কলকাতা লিগ আর ডুরান্ডের জন্য আলাদা বিদেশি বাছাইয়ের কাজও চলছে। একই সময় দুটো দল দুটো আলাদা জায়গায় অনুশীলন করতে পারে। কলকাতা লিগ আর ডুরান্ডের দল অনুশীলন করতে পারে ক্লাবের মাঠে। অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার পর কোচের সঙ্গে আলোচনায় বসেন কর্তারা। চলতি সপ্তাহেই অনুশীলন শুরু করে দিতে চাইছে ইমামি ইস্টবেঙ্গল। বাংলার সন্তোষ ট্রফি দলের ৫ ফুটবলারকে দলে নিয়েছে ইস্টবেঙ্গল। সন্তোষ ট্রফি চ্যাম্পিয়ন দলের ২ সদস্য জিজো জোসেফ আর টিএন জেসিনও লাল-হলুদে আসছেন। ফুটবলার রিক্রুট করতে কর্তাদের একটা তালিকাও দিয়েছেন বিনো জর্জ। সেখানে বিদেশি ফুটবলারের নামও আছে।
ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধার পরই ঢেলে অ্যাকাডেমি সাজানোর পরিকল্পনা ইমামির। তৃণমূল স্তর থেকে ফুটবলার তুলে আনার সাপ্লাই লাইন মজবুত করতে চায় বিনিয়োগকারী সংস্থা। ইমামি কর্তাও বলছিলেন, ‘হঠাৎ করে তো সব হয় না। একটু সময় লাগবে। তবে পরিকাঠামো উন্নয়নের পাশাপাশি অত্যাধুনিক অ্যাকাডেমি তৈরিতেও আমাদের নজর অবশ্যই আছে।’