ব়্যাকেট ছুড়েই মাথায় হাত! কী বলছেন বার্মিংহ্যামে সোনাজয়ী লক্ষ্য সেন?


কমনওয়েলথ গেমসে সোনা জয়ের পর লক্ষ্যর লক্ষ্য এবার বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ।

বার্মিংহ্যাম গেমসে সোনার ম্যাচ জিতে লক্ষ্য সেন।

Image Credit source: PTI

কলকাতা : মালয়েশিয়ার জে ইয়ংয়ের বিরুদ্ধে প্রথম গেম হেরে পিছিয়ে ছিলেন। কমনওয়েলথ গেমসে সোনার পদকের ম্যাচ। এত কাছ থেকে ফিরবেন লক্ষ্য সেন (Lakshya Sen)! হাল ছাড়েননি ভারতের এই তরুণ ব্যাডমিন্টন তারকা। দ্বিতীয় গেমে সমতা ফেরানো। তৃতীয় গেম জিতে সোনার পদক (Gold Medal) লক্ষ্যর। এরপরই কাণ্ড ঘটান লক্ষ্য। ব়্যাকেট ছুড়ে মারেন স্ট্যান্ডে। গতি বেশি হয়ে গেল! মাথায় হাত দেখে এমন অনেক কিছুই আন্দাজ করা যেতে পারে। শুধু মাত্র ব়্যাকেট ( Racket) ছোড়াতেই বিরত থাকেননি। রিস্ট ব্যান্ড ছোড়েন স্ট্যান্ডের আরেক দিকে। খুলে ফেলেন জার্সিও! কিন্তু কোন দিকে ছুড়বেন। যে দিকের স্ট্যান্ডে আওয়াজ বেশি। কান পেতে বোঝার চেষ্টা করলেন। তারপরই যতটা দূরত্বে ছোড়া যায়, সোনা জয়ের ম্যাচে পরা সেই জার্সি ছুড়ে দিলেন স্ট্যান্ডে। ব়্যাকেট ছোড়া নিয়ে লক্ষ্যও আতঙ্কে ছিলেন! নিউজ নাইনকে সাক্ষাৎকারে পুরো বিষয়টিই খোলসা করলেন লক্ষ্য।

ফাইনালের প্রসঙ্গে বললেন, ‘মালয়েশিয়ার প্রতিপক্ষ যে ফর্মে ছিল, কঠিন ম্যাচই অপেক্ষা করছিলাম। আমিও সেমিফাইনালে খুব ভালো খেলে এসেছি। সে কারণেই চাপ কম ছিল। প্রথম গেম হারায় পরিকল্পনা বদলাতে হয়। দ্বিতীয়, তৃতীয় গেমে লম্বা ব়্যালিতে নজর দিই। শারীরীক কসরত বেশি হওয়ায় সুবিধা করেছি।’ আর ব়্যাকেট ছোড়া! সে সময় চিন্তায় থাকলেও, ঘটনার এত গুলো ঘণ্টা পেরিয়ে যাওয়ায় হাসি ঢাকতে পারলেন না। জানালেন, ‘কীভাবে সেলিব্রেট করব, কোনও পরিকল্পনাই ছিল না। যা মনে হয়েছে করে ফেলেছি। ব়্যাকেট জোরে ছোড়ায় আমারও একটু দ্বিধা ছিল। সত্যিই যদি কারও লেগে যেত! কারও লাগুক সেটা কখনোই চাইনি। মুহূর্তে সেটা ঘটে গিয়েছিল। একজন সেটা লুফে নেওয়ায় স্বস্তি পেয়েছেলাম। আসলে ওটা সমর্থকদের উপহার দিতে চেয়েছিলাম। ওখানে ভারতীয় সমর্থকরা পুরো টুর্নামেন্টে পাশে ছিলেন।’

একটা বছরে জুনিয়র থেকে সিনিয়র পর্যায়ে উঠে এসেছেন লক্ষ্য। ধারাবাহিকতা একই রয়েছে। কমনওয়েলথ গেমসে সোনা জয়ের পর লক্ষ্যর লক্ষ্য এবার বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ। ২১ অগস্ট শুরু হচ্ছে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ। গত এক বছরের সফর নিয়ে লক্ষ্য বলছেন, ‘সত্যিই স্বপ্নের সফর। আমার আশেপাশে সেরা ব্যক্তিরা রয়েছেন। যারা আমাকে প্রতিটা টুর্নামেন্টের জন্য প্রস্তুত রাখেন। প্রয়োজনের অতিরিক্ত যাতে অনুশীলন না করে ফেলি, সেদিকেও খেয়াল রাখেন। কোন প্রতিযোগিতায় খেলব, কোনটায় বিশ্রাম নেব, এগুলো বলে দেন। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ দিক। বাছাই করা টুর্নামেন্টে খেলে বড় মঞ্চের জন্য নিজেকে প্রস্তুত রাখা যায়।’

Leave a Reply