বার্মিংহ্যাম কমনওয়েলথ গেমস থেকে চারটি পদক নিয়ে ঘরে ফিরেছেন টেবল টেনিস তারকা শরথ কমল। এই সাফল্য আগামী দিনের জন্য তাঁকে আরও উজ্জ্বীবিত করছে।
Image Credit source: Twitter
চেন্নাই: চল্লিশের কোঠায় পৌঁছেও বার্মিংহ্যাম কমনওয়েলথ গেমস (Birmingham Commonwealth Games) থেকে চারটি পদক নিয়ে ঘরে ফিরেছেন দেশের টেবল টেনিস তারকা শরথ কমল (Sharath Kamal)। তার মধ্যে তিনটি পদক সোনার। হাঁটুর বয়সী ছেলেমেয়েদের সঙ্গে জুটি বেঁধে অথবা তাদের বিপক্ষে লড়ে সোনা জিতেছেন শরথ। চল্লিশের শরথের কীর্তিতে হতবাক নেটিজেনরা। শুভেচ্ছায় ভেসে গিয়েছেন। কমনওয়েলথের সাফল্যে অকপট শরথ বলেছেন, ৪০ বছরে এসে কেরিয়ারের সেরা সময় কাটাচ্ছেন তিনি। গোটা কেরিয়ার জুড়ে এত সাফল্য পেয়েছেন যে এই বয়সে এতটা তাগিদ না দেখালেও কেউ অভিযোগ জানাতে আসত না। শরথ তো অন্য ধাতুর গড়া। সহজে লড়াইয়ের ময়দান ছেড়ে যাওয়ার বান্দা তিনি নন।
তিনটে সোনার পদকের মধ্যে একটি ছেলেদের সিঙ্গলস বিভাগের। যা তিনি ১৬ বছর আগে কমনওয়েলথ অভিষেকে জিতেছিলেন। চেন্নাইয়ের প্যাডলারের কাছে এই সাফল্য খুশি এবং স্বস্তি বয়ে এনেছে। চারটি পদকের জন্য তিনদিনে মোট ১২টি ম্যাচ খেলতে হয়েছে শরথকে। এখানেই থামতে নারাজ তিনি। কমনওয়েলথের সাফল্যকে পুঁজি করে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে চান শরথ কমল। আগামীর লক্ষ্য ২০১৪ প্যারিস অলিম্পিক গেমস। ছকে নিয়েছেন চেন্নাইয়ের প্যাডলার। কেরিয়ারের সায়াহ্নে এসে বিশ্বের সেরা ক্রীড়া মঞ্চে নিজেকে সফল দেখার লোভ সামলাতে পারছেন না তিনি।
বৃহস্পতিবার চেন্নাইয়ে পৌঁছে শরথ বললেন, “কমনওয়েলথ গেমসে এতগুলো পদক পাব বলে নিয়ে নিশ্চিত ছিলাম না। তিনটে সোনার পদক আমাকে আরও অনুপ্রেরণা জোগাচ্ছে। ২০২৪ সালের প্যারিস অলিম্পিক গেমস আমার পরবর্তী লক্ষ্য। সেই লক্ষ্যে ঝাঁপিয়ে পড়ব।” অথচ ২০২০ সালের করোনা প্যানডেমিকের সময় শরথের কেরিয়ার অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ে গিয়েছিল। শরথের কথায়, “ওই সময়টা ভীষণ কঠিন ছিল। ৩৭ বছর বয়স তখন। বুঝতে পারছিলাম না পরবর্তী লক্ষ্য কী হতে পারে। অন্ধকারের মধ্যে গাড়ি চালানোর মতো অবস্থা। শরীরের থেকে মানসিক যন্ত্রণা অনেক বেশি। সেইসময় যাঁদের পাশে পেয়েছিলাম তাঁদের অসংখ্য ধন্যবাদ। তাঁদের সাহায্য ছাড়া আজকের এই সাফল্য সম্ভব ছিল না।”