ফিফার নির্বাসনের হুমকির মধ্যেই সতীর্থদের বিশেষ বার্তা দিলেন সুনীল ছেত্রী। তাঁর মতে, এসব মাথায় না রেখে শুধু খেলাটা নিয়ে ভাবনাচিন্তা করা হোক।
Image Credit source: Twitter
নয়াদিল্লি: টালমাটাল পরিস্থিতি ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের অন্দরে। এআইএফএফ (AIFF) সভাপতি পদ এখনও শূন্য। সঠিক সময়ে নির্বাচন না হলে এবং থার্ড পার্টির হস্তক্ষেপের কারণে ক্ষুব্ধ বিশ্ব ফুটবলের নিয়ামক সংস্থা (FIFA)। চলতি মাসের প্রথম দিকে সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের উপর নিষধাজ্ঞা চাপানোর পাশাপাশি ব অনূর্ধ্ব ১৭ মহিলা বিশ্বকাপের আয়োজনের দায়িত্ব কেড়ে নেওয়ার হুমকি দিয়ে রেখেছে ফিফা। এই পরিস্থিতিতে ভারতীয় ফুটবলের আগাম ভবিষ্যৎ কী? কেউ জানে না। নির্বাসন আতঙ্কের মাঝেই মুখ খুললেন ভারতীয় ফুটবলের পোস্টার বয় সুনীল ছেত্রী (Sunil Chettri)। রবিবার, ৭৫তম স্বাধীনতার দিবসের প্রাক্কালে দিলেন সতীর্থ বিশেষ বার্তা।
বেঙ্গালুরু এফসি আয়োজিত ভার্চুয়াল সাংবাদিক বৈঠকে সুনীল বলেন, “আমি দলের ছেলেদের সঙ্গে কথা বলেছি। যেটা আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই তা নিয়ে বেশি ভাবতে বারণ করেছি। এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত মানুষেরা যথাসাধ্য চেষ্টা করছেন যাতে এই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসা যায়। আমাদের খেলোয়াড় হিসেবে সেরাটা দিতে হবে। যখনই নিজের ক্লাব অথবা দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ পাবে নিজেকে উজাড় করে দিতে হবে।” প্রসঙ্গত, দুর্নীতি মুক্ত করে স্বচ্ছভাবে নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরু করার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালত নিয়োজিত সিওএ কোর্টের নির্দেশমতো নির্বাচনী প্রক্রিয়া শুরু করেছে। ২৮ অগাস্ট নির্বাচন হওয়ার কথা। তবে তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপে রেগে কাঁই ফিফা। নিষোধাজ্ঞার খাঁড়ার মাঝে নির্ধারিত সময়ে সুষ্ঠভাবে নির্বাচন সম্পন্ন করে ফিফার রোষ থেকে বাঁচার উপায় খুঁজছে ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন।
FOCUSED ?
Sunil Chhetri always has his eyes on the W. Yes, even in training. ?#WeAreBFC pic.twitter.com/qBBfyGFVBp— Bengaluru FC (@bengalurufc) August 14, 2022
অন্যদিকে বেঙ্গালুরু এফসির ক্যাবিনেটে জাতীয় স্তরের সবকটি মেজর ট্রফি থাকলেও ডুরান্ড কাপ জেতা হয়নি। ২০১৩ সালে প্রতিষ্ঠিত নীল জার্সিধারীরা ক্লাবের হয়ে ডুরান্ড কাপ জিততে মরিয়া। এশিয়া সবচেয়ে প্রাচীন ফুটবল টুর্নামেন্ট কখনও জেতেননি সুনীল নিজেও। ডুরান্ডের ১৩১তম সংস্করণের ট্রফি জিতে এই শূন্যস্থানটাও পূরণ করে দিতে চাইছেন সুনীল। তাঁর কথায়, “আমার ব্যক্তিগতভাবে এবং বেঙ্গালুরু এফসি-র কখনও ডুরান্ড জেতা হয়নি। তাই এই টুর্নামেন্টে আমার কাছে বাড়তি অনুপ্রেরণার। নিজেদের সেরাটা উজাড় করে দেব।” এই প্রথম আইএসএলের ১১টি দল ডুরান্ড কাপে অংশ নিয়েছে।