প্রাথমিক পাঠেই জোর দিতে চান বাংলার কোচ এবং ব্যাটিং পরামর্শদাতা।
Image Credit source: CAB
কলকাতা : ডাবল সেঞ্চুরি করার পর কি সব লড়াই শেষ হয়ে যায়? পরের ম্যাচে নামার আগে সেই তাঁকেই কিন্তু ফিরতে হয় নেটে। ড্রাইভ, কাট, পুল— ভালোবাসার অস্ত্রে দিতে হয় শান। শুধু কী তাই, প্লেয়ার জিমে তৈরি হয় না। তৈরি হয় রোদ্দুরে। এমনটাই বার্তা বাংলা (Bengal Cricket) সিনিয়র দলের কোচ লক্ষ্মীরতন শুক্লার (Laxmi Ratan Shukla)। এ মরসুমে বাংলার প্রাক্তন অধিনায়ক লক্ষ্মীরতনকে সিনিয়র দলের কোচ এবং ব্যাটিং পরামর্শদাতা করা হয়েছে ডব্লিউভি রামনকে (WV Raman)। গত কয়েক দিন প্রাথমিক দল নিয়ে প্রস্তুতিও শুরু করে দিয়েছেন তাঁরা। গত কয়েক বছর রঞ্জি ট্রফির ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে, বাংলা সেমিফাইনাল, ফাইনাল অবধি পৌঁছচ্ছে। ট্রফি আসছে না তবুও। এর থেকে বেরনোর উপায়! প্রাথমিক বিষয়ে মনযোগ দেওয়া। ব্যাটিং পরামর্শদাতা রামন এবং কোচ লক্ষ্মীরতন।
গত দু বছর বাংলার ক্ষেত্রে মূল সমস্যা দেখা যাচ্ছে ব্যাটিংয়ে। বোলাররা নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট নিচ্ছেন। ব্যাটাররা ধারাবাহিকতা দেখাতে পারছেন না। নিয়মিত ভাবে ৩০০-৩৫০ রান করতে পারছে না। যেটা বড় সমস্যা হয়ে দেখা দিচ্ছে। বাংলা দলের ব্যাটিং পরামর্শদাতা ডব্লিউভি রামন বলছেন, ‘আমি কখনোই অতীত ভেবে কাজ শুরু করি না। এটাই আমার ধরন। আমি দেখি আজ এবং আগামিকাল কী করতে হবে। কোভিড, লক ডাউনের জন্য ছেলেরা প্রস্তুতির জন্য পর্যাপ্ত সময় পায়নি। একটা মরসুমের দিক থেকেও ম্যাচ কম ছিল। রঞ্জি ট্রফি জেতার জন্য অনেক ফ্যাক্টর কাজ করে। গত পাঁচ-ছ দিন ইন্ডোরে ফলপ্রসূ অনুশীলন হয়েছে। আমার মনে হয়েছে, ওরা ভালো কিছুই করবে। লম্বা মরসুম। প্রচুর ম্যাচ খেলতে হবে। ফিটনেসের দিক থেকে সেরা জায়গায় থাকতে হবে।’
নতুন মরসুম প্রসঙ্গে বাংলার কোচ লক্ষ্মীরতন বলছেন, ‘বাংলার কোচ হয়েই বলেছিলাম, অতীতে যারা কোচ ছিলেন, তাঁদের প্রতি আমার সম্মান রয়েছে। তাঁরা খুবই ভালো কাজ করেছে। রামন স্যরও যা বললেন, আমিও সেই ধারনাতেই বিশ্বাসী। অতীত খুবই সুন্দর। বর্তমানকে আরও সুন্দর বানাতে হবে। আমার কোচ পাশেই রয়েছে। রামন স্যরের থেকে একটা জিনিস শিখেছি, ছ-দিন পর কী হবে, সেটা নিয়ে ভাবতে চাই না। বর্তমানে থাকতে হবে। প্রাথমিক দিক গুলোয় জোর দিতে হবে। কেউ যদি একশোটা প্রথম শ্রেণির ম্যাচও খেলে থাকে তাকেও প্রাথমিক বিষয়টা ভুললে চলবে না। আমাদের বিশ্বাস রয়েছে, সবকিছুই সম্ভব।’ বাংলা থেকে সদ্য জাতীয় দলে সুযোগ পেয়েছেন বাঁ হাতি স্পিন বোলিং অলরাউন্ডার শাহবাজ আহমেদ। ঋদ্ধিমান সাহা, মহম্মদ সামি ছাড়া আর কেউই সাম্প্রতিক সময়ে জাতীয় দলের হয়ে নিয়মিত খেলার সুযোগ পাননি। বাংলার ভবিষ্যতের জন্য কী করবেন…। কোচ লক্ষ্মীরতন শুক্লার বার্তা, ‘একটা বিষয় আমি নিশ্চিত করতে পারি, আমরা যারা কোচ, সাপোর্ট স্টাফ রয়েছি, বসে থাকবো না। আট ঘণ্টা অনুশীলন হলে আমরাও প্লেয়ারদের সঙ্গেই থাকব। বাচ্চাদের সঙ্গে আমরাও পরিশ্রম করব।’