সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স দেখলে আরও বেশি লড়াইয়ের প্রত্যাশা ছিল জিম্বাবোয়ের থেকে। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ওয়ান ডে সিরিজ জিতেছে তারা।
Image Credit source: PTI
হারারে : ওয়ান ডে ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনার অন্ত নেই। শিখর ধাওয়ান-শুভমন গিল এই ফরম্যাট খুব ভালো উপভোগ করছেন বলাই যায়। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ এবং জিম্বাবোয়ের (India vs Zimbabwe) বিরুদ্ধে প্রথম ওয়ান ডে। শেষ চার ইনিংসে তিন বার শতরানের জুটি। প্রথম ওয়ান ডে তে ১৯২ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে ম্যাচ জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন। ধাওয়ান অপরাজিত ৮১ রান, শুভমন ৮২। বোলারদের দাপটের পর এই জুটির সৌজন্যে ১০ উইকেটের বড় জয় ভারতের। সিরিজে ১-০ এগিয়ে ভারত (Team India)। শনিবার দ্বিতীয় ওয়ান ডে। ম্যাচ জিতে সিরিজ নিশ্চিত করাতেই নজর ভারতের। শিখর ধাওয়ান (Shikhar Dhawan) এই ফরম্যাট কতটা পছন্দ করেন, তাঁর মন্তব্যেই পরিষ্কার। ধাওয়ান বলেছিলেন, ‘এই ফরম্যাট দারুণ ভারসাম্যের। কখন আক্রমণ করতে হবে, কখন ডিফেন্স, বুঝতে সুবিধা হয়। ব্যাটারদের ক্ষেত্রেও যেমন, বোলারদের জন্যও।’ ধাওয়ান-শুভমন জুটির জন্য মিডল অর্ডারের পরীক্ষা হয়নি।
প্রথম ম্যাচে ভারতের ব্যাটিংই শুধু অনবদ্য হয়েছে তা নয়। ভিত গড়ে দিয়েছেন বোলাররাই। বিশেষত দীপক চাহার। নতুন বলে তিন উইকেট নিয়ে জিম্বাবোয়ে টপ অর্ডারে ধস নামিয়েছিলেন। সেখান থেকে আর বড় ইনিংস গড়া সম্ভব ছিল না। লোয়ার অর্ডারের বড় অবদানে তবু ১৮৯ রান অবধি পৌঁছেছে তারা। শেষ উইকেটে ৭০ রানের জুটি হয়েছে। দীপক চাহার ছাড়াও ভারতীয় বোলারদের মধ্যে অনবদ্য ছিলেন অক্ষর প্যাটেল, প্রসিধ কৃষ্ণা। তারাও তিনটি করে উইকেট নিয়েছেন। ধাওয়ানের সঙ্গে শুভমন ওপেন করায় লোকেশ রাহুলের এশিয়া কাপের প্রস্তুতি অধরা রয়ে গিয়েছে। একই কথা প্রযোজ্য দীপক হুডার ক্ষেত্রেও। এই দু’জনই এশিয়া কাপের স্কোয়াডে রয়েছেন। প্রথমে ব্যাটিং করার সুযোগ পেলে হয়তো রাহুল, হুডাদের ব্যাটিং পরীক্ষা হতে পারে।
সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স দেখলে আরও বেশি লড়াইয়ের প্রত্যাশা ছিল জিম্বাবোয়ের থেকে। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ওয়ান ডে সিরিজ জিতেছে তারা। পরপর দু ম্যাচে প্রায় ৩০০ রান করেছে। সিকান্দার রাজা তিন ম্যাচের মধ্যে দুটিতে শতরান করেছেন। ভারতের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচে সেই পারফরম্যান্সের কিছুটাও দেখাতে পারেননি। গত কয়েক বছর ধরে জিম্বাবোয়ে ব্যাটিংয়ের মেরুদন্ড শন উইলিয়াম। প্রথম ম্যাচে ব্যর্থ তিনিও। বোর্ডে মাত্র ১৮৯ রান নিয়ে বোলারদের বিশেষ কিছু করার ছিল না। জিম্বাবোয়ে ফিল্ডিংয়ের দিক থেকেও অনেকটা পিছিয়ে ছিল। দ্বিতীয় ম্যাচে আরও একটু ভারসাম্য দেখা যেতে পারে। সবটাই নির্ভর করছে জিম্বাবোয়ের টপ অর্ডার কেমন পারফর্ম করে তার উপর। নতুন বলে দীপক চাহার-মহম্মদ সিরাজদের সামলে দিতে পারলে, বড় রান করতেই পারে জিম্বাবোয়ে।