শুভমনের প্রথম আন্তর্জাতিক শতরান, শেষ ম্যাচে লড়াই জিম্বাবোয়ের…


সিকান্দার রাজার শতরানে শেষ ওভার অবধি লড়াই করল জিম্বাবোয়ে।

শতরানের পর শুভমন, জয়ের আনন্দে ভারতীয় শিবির।

Image Credit source: PTI, Twitter

হারারে : রাজকীয় ইনিংস। হেরেও সিকান্দার বনলেন রাজা (Sikandar Raza)। ওয়ান ডে সিরিজে জিম্বাবোয়েকে (India vs Zimbabwe) ক্লিন সুইপ করল ভারত। শেষ ওয়ান ডে কষ্টার্জিত জয় ভারতের। সিকান্দার রাজার শতরানে দুর্দান্ত লড়াই জিম্বাবোয়ের। ২৮৯ রান তাড়া করতে নেমে ২৭৬ রানে থামল জিম্বাবোয়ে ইনিংস। ভারতীয় শিবিরে ব্য়াট হাতে নজর কাড়লেন তরুণ ক্রিকেটার শুভমন গিল (Shubman Gill)। শুধু ওয়ান ডে তেই নয়, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কেরিয়ারের প্রথম শতরান করলেন শুভমন। টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন ভারত অধিনায়ক লোকেশ রাহুল। প্রথম দু’ম্যাচে টস জিতলেও ফিল্ডিং নিয়েছিলেন। বোলারদের দাপটে প্রথম দু ম্যাচে মাত্র ১৮৯ এবং ১৬১ রানে অলআউট হয় জিম্বাবোয়ে। প্রথম ম্যাচে ১০ উইকেট, দ্বিতীয় ওয়ান ডে তে পাঁচ উইকেটে জেতে ভারত। এদিন ১৩ রানে জিতল ভারত।

ম্যাচ হারলেও জিম্বাবোয়ের লড়াই নজরকাড়ার মতোই। ব্যাট হাতে যেমন সিকান্দার রাজা, বোলিংয়ে তেমনই ব্র্যাড ইভান্স। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সিরিজ জিতে আত্মবিশ্বাসী ছিল জিম্বাবোয়ে। ভারতের বিরুদ্ধে ছন্দ পেতে সময় লাগল। সিকান্দার অনবদ্য ব্যাটিং করেছেন। কেরিয়ারের তৃতীয় শতরান রাজার। শেষ দশ ওভারে ৯৫ রান প্রয়োজন ছিল জিম্বাবোয়ের। হাতে মাত্র তিন উইকেট। একার হাতেই প্রায় জিতিয়ে দিচ্ছিলেন রাজা। নবম উইকেটে ব্র্যাড ইভান্সের সঙ্গে মাত্র ৭৭ বলে ১০৪ রান যোগ করেন রাজা। তাঁর সৌজন্যেই শেষ ওভারে ১৫ রানের লক্ষ্য দাঁড়ায় জিম্বাবোয়ের। হাতে উইকেট ৪৯ তম ওভারে ফেরেন রাজা। তিনি থাকলে এই রানটা তোলা হয়তো অসম্ভব হত না। ৯৫ বলে ১১৫ রানের ঝকঝকে ইনিংস রাজার। ব্র্যাড ইভান্স বল হাতে ৫ উইকেট নেন। তেমনই ২৮ রানের অবদান।

প্রথম আন্তর্জাতিক শতরানের জন্য হয়তো এতদিন অপেক্ষা করতে হত না শুভমন গিলকে। এর আগের সফর অর্থাৎ ওয়েস্ট ইন্ডিজেই তিন অঙ্কের ঘরে পৌঁছতে পারতেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ৯৮ রানে ব্যাট করছিলেন। এমন সময় ফের একবার বৃষ্টি নামায় ভারতীয় ইনিংস সমাপ্তি ঘোষণা হয়। প্রকৃতির উপর কারও নিয়ন্ত্রণ নেই। অবশেষে আন্তর্জাতিক শতরান। দলও জিতল। ম্যাচ এবং সিরিজ সেরার পুরস্কার শুভমনকেই। শুধু এই ম্যাচেই শতরান নয়, সবমিলিয়ে সিরিজে ২৪৫ রান। শুভমন বলছেন, ‘চেষ্টা করছিলাম ডট বল যাতে না হয়। জোরে শট না খেলে টাইমিংয়ে নজর দিয়েছি। রাজা, ইভান্স খুব ভালো বোলিং করছিল। ওদের অ্যাটাক করা জরুরি হয়ে পড়েছিল। অর্ধশতরানের পরই ব্যাট বদল করি। এর আগে তিনবার ৯০-র ঘর অবধি পৌঁছেছি। অবশেষে শতরান পেয়ে ভালো লাগছে।’

Leave a Reply