ম্যাচে চোট পান অঙ্কিত মুখোপাধ্যায় আর ভিপি সুহের।
Image Credit source: FACEBOOK
কলকাতা: ডুরান্ড কাপে (Durand Cup) ২ ম্যাচে ২ পয়েন্ট। বড় ম্যাচের আগেও জয় অধরা ইস্টবেঙ্গলের (Emami East Bengal)। অনেক আশা নিয়ে কিশোরভারতী স্টেডিয়াম ভরিয়েছিলেন সমর্থকরা। যাদবপুর, বাঘাযতীন, গড়িয়া, কসবা, টালিগঞ্জের একাধিক লাল-হলুদ সমর্থকরা প্রিয় দলের খেলায় এলাকার মাঠে ভিড় জমিয়েছিলেন। ম্যাচের আগে থেকেই স্টেডিয়াম সংলগ্ন সন্তোষপুর চত্বর লাল-হলুদ পতাকা, জার্সিতে ছেয়ে গিয়েছিল। তবে খেলা শেষে হতাশ মুখেই স্টেডিয়াম ছাড়লেন সমর্থকরা। দুটো ম্যাচেই গোলের দেখা পেল না ইস্টবেঙ্গল। কমলজিতের দৌলতে শূন্য হাতে ফিরতে হয়নি। রাজস্থানের ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড সের্জিও বার্বোসার পেনাল্টি বাঁচান ইস্টবেঙ্গল গোলরক্ষক।
বড় ম্যাচ রবিবার। তার আগে প্রিয় দলের খেলা দেখে উদ্বেগ নিংসন্দেহে বাড়ল সমর্থকদের। ম্যাচের পর ইস্টবেঙ্গল কোচ স্টিফেন কনস্ট্যান্টাইন বললেন, ‘সমর্থকদের আবেগ বুঝি। সবাই ডার্বি জিততে চায়। রবিবার জিতলেও তিন পয়েন্টই পাব। ডার্বি হারলেও সব কিছু শেষ হয়ে যাবে না। সমর্থকদেরও বুঝতে হবে আমরা কোথায় দাঁড়িয়ে আছি। ৩ সপ্তাহ আগেও আমার হাতে ১২ জন ফুটবলার ছিল। তার পরের সপ্তাহে ১জন বিদেশি আর ১৫ জন ফুটবলারকে হাতে পাই। কয়েকদিন আগে সবাইকে হাতে পেয়েছি। আমি দল তৈরি করার কাজে হাত লাগিয়েছি। আমি এই ম্যাচের গুরুত্ব বুঝি। তবে ডার্বি হারলেও আমাদের ভবিষ্যৎ শেষ হয়ে যাবে না। আমরা যদি ৫-০ ও জিতি তাও সব বদলে যাবে না।’
নৌ সেনার মতো রাজস্থান ম্যাচে সুযোগ পেয়ে কাজে লাগাতে পারলেন না সুহের, সুমিতরা। কনস্ট্যান্টাইন বললেন, ‘অল্প সময়ে দলটা হাতে পেয়েছি। বোঝাপড়া গড়ে উঠতে সময় লাগবে। এক-দু’জন ছাড়া গত বছরের কোনও ফুটবলারই এই দলে নেই। দ্বিতীয়ার্ধে অনেক মিস পাস হয়েছে। তবে ছেলেরা পরিশ্রম করছে। আমাদের সব জায়গাতেই উন্নতি করতে হবে। তার জন্য প্রাক মরসুম প্রস্তুতি দরকার ছিল। আমরা ভালো খেলি বা খারাপ দু’দিনের মধ্যে বড় ম্যাচ খেলতে হবে। সেই মতো প্রস্তুতি নিতে হবে।’
দ্বিতীয়ার্ধে ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকার এলিয়ান্দ্রোকে মাঠে নামান স্টিফেন কনস্ট্যান্টাইন। লাল-হলুদ জার্সিতে প্রথম ম্যাচে আহামরি না খেললেও বল কন্ট্রোল দেখে কিছুটা আশ্বস্ত হতে পারেন সমর্থকরা। বড় ম্যাচে পোগবা, ম্যাকহিউদের সামনে লড়াইটা বেশ কঠিনই হবে। লাল-হলুদ জার্সিতে নিজের প্রথম ম্যাচে রক্ষণকে ভরসা দিলেন ইভান গঞ্জালেজ। দ্বিতীয়ার্ধে একটা দুরন্ত হেডে বল ক্লিয়ার করলেন। অপর বিদেশি ডিফেন্ডার কিরিয়াকু সে ভাবে পরীক্ষার সামনে পড়েননি।
এ দিকে কিশোর ভারতী স্টেডিয়ামে মাঠ দেখে মোটেও খুশি নন ইস্টবেঙ্গল কোচ। ডুরান্ড কাপের আরও একটা গ্রুপ পর্বের ম্যাচ এই মাঠে খেলবে ইস্টবেঙ্গল। এ দিন ম্যাচে চোট পান অঙ্কিত মুখোপাধ্যায় আর ভিপি সুহের। হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট পান অঙ্কিত। বড় ম্যাচে অঙ্কিতের খেলা নিয়ে তৈরি হল সংশয়। সুহেরের লিগামেন্টে টান ধরে। গোড়ালির চোট সারিয়ে ধীরে ধীরে সুস্থ হচ্ছেন নাওরেম মহেশ। প্রাক মরসুম প্রস্তুতি না করেই মাঠে নেমেছে ইস্টবেঙ্গল। তাই চোট আঘাতের সংখ্যাও বাড়ছে। আরেক বিদেশি স্ট্রাইকার ক্লেইটন সিলভাকে স্কোয়াডে রাখেননি স্টিফেন। ডার্বির জন্যই হয়তো ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকারকে তৈরি রাখছেন লাল-হলুদ কোচ।