বহুদিন পর ময়দান শুনছে ‘দাদা একটা হবে?’। এমন ছবিই তো দেখতে অভ্যস্ত ময়দান। ইস্টবেঙ্গল বনাম মোহনবাগান (East Bengal vs Mohun Bagan) বলে কথা, উত্তাপ থাকবে না হয় নাকি!
ডার্বির আগে বৃষ্টিতে ধুয়ে গেল ইস্টবেঙ্গলের অনুশীলন
কৌস্তভ গঙ্গোপাধ্যায়
প্রায় তিন বছর পর যুবভারতী কার দখলে থাকবে? রবিবার বিকেলে সারা শহর এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে ছুটবে সল্টলেক স্টেডিয়ামে। করোনা পর্ব মিটিয়ে বহুদিন পর ময়দান যেন সেই আগের মতো টানটান উত্তেজনায় ভরা। বাগযুদ্ধ রয়েছে। রয়েছে চোখরাঙানি। রয়েছে ‘দেখে নেব’-র হুমকি। এসব হারিয়ে যাওয়া অনুভূতি আবার ফিরেছে সমর্থকদের মুখে। ডুরান্ড কাপের (Durand Cup) গ্রুপ লিগের ডার্বি (Derby) মেগা ইভেন্ট হতে চলেছে সুপার সানডে-তে। গত কয়েকদিন ধরেই সমর্থকরা সেই আগের মতো ক্লাবমুখী। বটতলায় সেই জমজমাট আড্ডা। আর, টিকিটের হাহাকার। বহুদিন পর ময়দান শুনছে ‘দাদা একটা হবে?’। এমন ছবিই তো দেখতে অভ্যস্ত ময়দান। ইস্টবেঙ্গল বনাম মোহনবাগান (East Bengal vs Mohun Bagan) বলে কথা, উত্তাপ থাকবে না হয় নাকি!
মরসুমের একেবারে শুরুতে ডার্বি হলে তা নিয়ে উত্তেজনা তুঙ্গে উঠবেই। সেই রোমাঞ্চে বেশ খানিকটা জল ঢেলে দিল বৃষ্টি। শনিবারের শহর দুপুর থেকেই মেঘের কবলে। বৃষ্টিও সমানতালে কোথাও কোথাও পড়ছে। সেই আঞ্চলিক বৃষ্টি যে ময়দান ভাসিয়ে দেবে, কে জানত! তুমুল বৃষ্টিতে প্র্যাক্টিস বাতিল হয়ে গেল ইস্টবেঙ্গলের। লাল-হলুদ কোচ স্টিফেন কন্সন্ট্যান্টাইন শনিবার দুপুর আড়াইটে থেকে রেখেছিলেন প্র্যাক্টিস। বৃষ্টির দাপটে তা বাতিল করে দিতে হল। ইংরেজ কোচ আসলে ঝুঁকি নিলেন না।
সকাল থেকেই ইস্টবেঙ্গল তাঁবুতে ভিড় ছিল সমর্থকদের। শেষ বেলায় একটা টিকিট জোগাড় করার জন্য হামলে পড়েছে লাল-হলুদ জনতা। তবে এই ভিড় তাবু বা টিকিট কাউন্টারের সামনে। কারণ, কোচ স্টিফেন চেয়েছিলেন ক্লোজড ডোর অনুশীলন। সেই মতো গ্যালারির ধারে কাছে যেতে পারেননি সমর্থকরা। দুপুর থেকে যখন আকাশ ভাঙল, সমর্থকরা ওই বৃষ্টি মাথায় নিয়েই অপেক্ষা করছিলেন টিম বাসের। সৌভিক চক্রবর্তী, কিরিয়াকুদের সঙ্গে দেখা করার জন্য। ওই বৃষ্টি উপেক্ষা করেই ফুটবলারদের সঙ্গে হাত মেলালেন তারা। আবদার করলেন গোলের। মরসুমের প্রথম ডার্বি ম্যাচে যেন টিম জেতে। সবই হল, শুধু প্র্যাক্টিসটাই যা হল না।