‘টিকিট চাই, টিকিট দাও’, দুই প্রধানেই এক ছবি


অনলাইনেই অধিকাংশ টিকিট বিক্রি হয়ে যায়। বাকি টিকিট বিক্রি হয় অফলাইনে। ২২ হাজার টিকিট কমপ্লিমেন্টারি।

Image Credit source: FACEBOOK

কৌস্তভ গঙ্গোপাধ্যায়

সকালে চড়া রোদ, দুপুরে তুমুল বৃষ্টি। এটিকে মোহনবাগানে (ATK Mohun Bagan) ক্লোজড ডোর অনুশীলন। বড় ম্যাচের আগে প্রিয় দলের অনুশীলন দেখার সেই চেনা সুযোগ ছিল না। তাতেও কুছ পরোয়া নেহি। বাইরে রোদ্দুরেই ঠায় দাঁড়িয়ে রইলেন সমর্থকরা। কাউকো, ম্যাকহিউদের একটু ছোঁয়ার সুযোগ। ডার্বি জয়ের আবদার সমর্থকদের। বড় ম্যাচ মানেই সম্মানের ম্যাচ, মর্যাদার লড়াই। সমর্থকরা তো এই ম্যাচের দিকেই মুখিয়ে থাকেন। অন্যদিকে ইস্টবেঙ্গলের (Emami East Bengal) সমর্থকরা ভিজলেন বৃষ্টিতে। দুপুরে অনুশীলন করার কথা ছিল লাল-হলুদের। তুমুল বৃষ্টিতে মাঠে দলই নামাতে পারলেন না স্টিফেন কন্সন্ট্যান্টাইন। বড় পরীক্ষার আগে শেষ প্রস্তুতিই সারতে পারল না ইস্টবেঙ্গল। যার অর্থ হল, রবিবার সুপার সানডে-তে অনুশীলন ছাড়াই ডার্বিতে (Kolkata Derby) নামতে চলেছে লাল-হলুদ শিবির। সেই নিরিখে মোহনবাগান কি একটু এগিয়ে থেকে নামবে ডার্বিতে?

ময়দান জুড়ে এখন একটাই স্লোগান, ‘টিকিট চাই, টিকিট দাও।’ সারা ময়দান চষে ফেললেও টিকিট মেলা ভার। টিকিট পাচ্ছেন যিনি, তিনি যেন লটারি পাচ্ছেন। টিকিট পেলেই হাসি চওড়া হচ্ছে। না হলে, আকাশের মতোই মুখ ভার। সদস্য সমর্থকদের যথাসাধ্য টিকিট দেওয়ার চেষ্টা করেছেন কর্তারা। ইস্টবেঙ্গলের শীর্ষ কর্তা দেবব্রত সরকার বললেন, ‘আড়াই বছর পর ডার্বি। মানুষের মধ্যে উন্মাদনা তো থাকবেই। এটাই বড় ম্যাচ, এটাই ভারতীয় ফুটবলের চিরাচরিত ছবি।’

একই সুর শোনা গেল মোহনবাগানেও। সচিব দেবাশিস দত্ত বললেন, ‘৬০ হাজার টিকিট, ৬ লক্ষ মানুষের চাহিদা। এটা তো হওয়ারই ছিল। মোহনবাগান-ইস্টবেঙ্গল ডুয়েল দেখতেই তো সমর্থকরা মুখিয়ে থাকে।’

বড় ম্যাচের জন্য ৬০ হাজার টিকিট ছাড়া হয়েছে। তার মধ্যে ৩৮ হাজার বিক্রি করা হয়েছে। অনলাইনেই অধিকাংশ টিকিট বিক্রি হয়ে যায়। বাকি টিকিট বিক্রি হয় অফলাইনে। ২২ হাজার টিকিট কমপ্লিমেন্টারি। ওখান থেকে কিছু টিকিট দেওয়া হয়েছে দুই প্রধানকে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্তা বলেন, ‘সেনাবাহিনীর টুর্নামেন্ট। তাই অনেকটা টিকিট তারাই নিয়ে নিয়েছে। এরপর রাজ্য সরকার, পুলিশের কাছেও কিছু সংখ্যক টিকিট গিয়েছে। তাই সাধারণের জন্য এত টিকিটের চাহিদা পূরণ করা সত্যিই কঠিন।’

রবিবারের হাইভোল্টেজ ডার্বি হাউসফুল থাকতে চলেছে। এটা লিখেই দেওয়া যায়। আড়াই বছর পর সব পথ মিশছে যুবভারতীতে। লাল-হলুদ, সবুজ-মেরুন পতাকায় মুড়ছে তিলোত্তমা।

Leave a Reply