খেলার শেষ বাঁশি বাজতেই উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন মোহনবাগান সমর্থকরা। শেষ চারটে ডার্বি জয় গোয়ার মাটিতে হয়েছে। এবার শহরে বসেই বড় ম্যাচ জয়ের আনন্দ ভাগ করে নিলেন সবুজ- মেরুন সমর্থকরা।
Image Credit source: DURAND CUP
কৌস্তভ গঙ্গোপাধ্যায়
বড় ম্যাচের আগে বেশ চাপেই ছিলেন এটিকে মোহনবাগান কোচ হুয়ান ফেরান্দো (Juan Ferrando)। ডার্বি অভিযানে একটা হার, একটা ড্রয়ের পর টেবিলের নীচের দিকেই ছিল সবুজ-মেরুন। অবশেষে ডুরান্ড কাপে (Durand Cup) প্রথম জয়ের দেখা পেল মোহনবাগান (ATK Mohunbagan)। তাও চিরশত্রুকে হারিয়েই এল এই জয়। টানা ৬টা ডার্বি জয় সবুজ-মেরুনের। আগের দুটো ম্যাচেই প্রথমে এগিয়ে গিয়েও গোল হজম করতে হয়েছিল মোহনবাগানকে। ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে প্রথমার্ধের শেষ লগ্নে এগিয়ে যাওয়ার পর তাই পোগবা, প্রীতমদের কাছে ম্যাচটা আরও চ্যালেঞ্জিং হয়ে যায়।
খেলার শেষ বাঁশি বাজতেই উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন মোহনবাগান সমর্থকরা। শেষ চারটে ডার্বি জয় গোয়ার মাটিতে হয়েছে। এবার শহরে বসেই বড় ম্যাচ জয়ের আনন্দ ভাগ করে নিলেন সবুজ- মেরুন সমর্থকরা। একইসঙ্গে ডুরান্ড কাপেও ভেসে রইল এটিকে মোহনবাগান।
বাগান কোচ হুয়ান ফেরান্দো অবশ্য জয়ের আনন্দে গা ভাসাতে নারাজ। নির্লিপ্ত ফেরান্দো বললেন, ‘আমরা একটা প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। বড় ম্যাচ জিতে নিঃসন্দেহে ভালো লাগছে। এই জয়টা আমাদের দরকার ছিল। আগামিকাল থেকে আবার একটা নতুন দিন। আমরা আমাদের কাজ করে যেতে থাকব। দল জেতায় সমর্থকরা খুশি হয়েছে। আমরা পরবর্তী ম্যাচে ফোকাস করছি।’
ফেরান্দো আরও বলেন, ‘আজ কলকাতার ফুটবল জিতেছে। কোভিডের পর আবার দুই দল যুবভারতীতে মুখোমুখি হল। সত্যিই খুব ভালো লাগছে সমর্থকদের এ ভাবে মাঠে দেখতে পেয়ে।’ ম্যাচে গোলের ব্যবধান বাড়তেই পারত। আশিকদের গোল মিস নিয়ে অবশ্য কাউকে দোষারোপ করলেন না ফেরান্দো। বাগান কোচের ভাবনায় এখন নৌ সেনা ম্যাচ। তা নিয়েই প্রস্তুতি শুরু করতে চান। একই সঙ্গে এএফসি কাপে ইন্টারজোনাল সেমিফাইনাল ম্যাচও মাথায় রাখতে হবে ফেরান্দোকে।