Arshdeep Singh: বোলিংয়ে যেমন দক্ষ, ছেলে বেলা থেকে তাঁর পছন্দের আরও দুটি বিষয় রয়েছে। পাবজি খেলা এবং কবিতা লেখা। খেলা এবং লেখার কম্বিনেশন ভালোভাবেই সামলেছেন এই বাঁ হাতি পেসার।
নয়াদিল্লি : ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ থেকে জাতীয় দল। ঠাণ্ডা মাথার বাঁ হাতি পেসার নজর কাড়ছেন। স্লগ ওভার বিশেষজ্ঞ হিসেবেই দেখা হয় এই তরুণ পেসারকে। আইপিএলে নজর কেড়েছেন। বিশেষত স্লগ ওভারে তাঁর নিখুঁত ইয়র্কার। নামি দামী ব্য়াটসম্যানদেরও ধন্দে ফেলে। আইপিএল থেকে জাতীয় দলে (Indian Cricket) জায়গা করে নিয়েছেন। স্নায়ুর চাপে ভুগতে দেখা যায়নি এখনও অবধি। অধিনায়ক যে দায়িত্ব দিয়েছেন, পালন করেছেন অর্শদীপ সিং (Arshdeep Singh)। এশিয়া কাপে পাকিস্তানের (India vs Pakistan) বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করল ভারত। হাই ভোল্টেজ ম্যাচে সুযোগ দেওয়া হল তরুণ পেসার অর্শদীপকেও। ভুবনেশ্বর কুমার, হার্দিক পান্ডিয়ার মতো অভিজ্ঞদের পাশে নজর কাড়লেন অর্শদীপও।
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা। পাকিস্তানকে মাত্র ১৪৭ রানে অলআউট করে ভারত। বোলিং বিভাগকে নেতৃত্ব দিলেন অভিজ্ঞ ভুবনেশ্বর কুমার। ২৬ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিলেন ভুবি। হার্দিক নিলেন ৩ উইকেট। সিনিয়রদের পাশাপাশি নজর কাড়লেন অর্শদীপও। পেস নিয়ে খুব বেশি মাথা ঘামান না অর্শদীপ। সুইং এবং ইয়র্কারই তাঁর সেরা অস্ত্র।৩.৫ ওভারে ৩৩ রান দিয়ে ২ উইকেট নিলেন তিনি। ১৩টি ডট বল। ভারতের জয়ে হার্দিক, জাডেজা, ভুবনেশ্বর, বিরাটদের পাশে বড় ভূমিকা নিলেন অর্শদীপও। পাকিস্তানকে এত কম রানে আটকে রাখার ফলেই ব্যাটসম্য়ানরা চাপমুক্ত খেলতে পারলেন।
বোলিংয়ে যেমন দক্ষ, ছেলে বেলা থেকে তাঁর পছন্দের আরও দুটি বিষয় রয়েছে। পাবজি খেলা এবং কবিতা লেখা। খেলা এবং লেখার কম্বিনেশন ভালোভাবেই সামলেছেন অর্শদীপ। ক্রিকেট খেলার সূত্রে দেশের বিভিন্ন জায়গায় যেতে হত। ক্রিকেট কিটের সঙ্গে থাকত খাতা-কলম। একটি সাক্ষাৎকারে জীবন দর্শন প্রসঙ্গে অর্শদীপ বলেছিলেন, ‘আমি সবকিছু সহজ রাখার চেষ্টা করি। অতিরিক্ত ভাবি না। বেশি ভাবলে সামনের অনেক কিছু ঝাঁপসা হয়ে যাবে। আমি আমার ভাবনা পরিষ্কার রাখতে চাই। পর্যাপ্ত ঘুম এবং ম্যাচের আগে পাবজি খেলাও আমাকে সাহায্য করে।’ নিজের লেখা সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ারও করেছিলেন অর্শদীপ। খেলা-লেখার প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমি যেখানেই যাই, সঙ্গে ডায়েরি এবং কলম থাকে। ভাবনায় কিছু এলে দ্রুত সেটা লিখে রাখার চেষ্টা করি। মাঝে মাঝে খেলা থেকে মানসিক বিরতিও প্রয়োজন। লেখা আমাকে সেই কাজেই সাহায্য করে।’