ATK Mohun Bagan:নৌসেনার গোলকিপার বিষ্ণু বেশ কয়েকটি দুরন্ত সেভ করে মোহনবাগানের আশা বাঁচিয়ে রাখেন। রাজস্থানের মার্টিন চাভেজের শট ক্রসপিসেও লাগে। একটা নিশ্চিত গোল বাঁচান বিষ্ণু। তবে রাজস্থানের ঘনঘন আক্রমণে নাভিশ্বাস উঠে যায় নৌ সেনার।
Image Credit source: DURAND CUP
কলকাতা: রাজস্থান-নেভি ম্যাচের দিকেই চোখ রেখেছিল সবুজ-মেরুন জনতা। কিশোরভারতীতে নৌ সেনার সঙ্গে রাজস্থান পয়েন্ট নষ্ট করলেই একমাত্র শেষ আটে ওঠার সম্ভাবনা ছিল এটিকে মোহনবাগানের। সবুজ-মেরুন সমর্থকদের প্রার্থনা অবশ্য কাজে এল না। নৌ সেনাকে ২-০ গোলে উড়িয়ে ডুরান্ড কাপের শেষ আটে পৌঁছে গেল রাজস্থান ইউনাইটেড এফসি। ইস্টবেঙ্গল আর নৌ সেনাকে হারিয়েও টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে গেল এটিকে মোহনবাগান। ৭৩ মিনিট পর্যন্ত রাজস্থান ইউনাইটেড এফসিকে আটকে রেখেছিল নৌ সেনা। বিশেষ করে নৌ সেনার গোলকিপার বিষ্ণু বেশ কয়েকটি দুরন্ত সেভ করে মোহনবাগানের আশা বাঁচিয়ে রাখেন। রাজস্থানের মার্টিন চাভেজের শট ক্রসপিসেও লাগে। একটা নিশ্চিত গোল বাঁচান বিষ্ণু। তবে রাজস্থানের ঘনঘন আক্রমণে নাভিশ্বাস উঠে যায় নৌ সেনার। ৭৩ মিনিটে ইউসুফের গোলই শেষ আটের ঠিকানায় পৌঁছে দেয় রাজস্থানকে। ৮৮ মিনিটে নৌ সেনার কফিনে শেষ পেরেকটি পুঁতে দেন সের্জিও বার্বোসা।
ডুরান্ড কাপের অভিযানেই রাজস্থানের কাছে ২-৩ গোলে হেরে যায় এটিকে মোহনবাগান। দু’বার এগিয়ে গিয়েও সেই ম্যাচে শেষরক্ষা করতে পারেননি কাউকো, বোমাসরা। ওই ম্যাচই শেষ পর্যন্ত গলার কাঁটা হয়ে বিঁধল ফেরান্দোর। রাজস্থানের কাছে হারের পর মুম্বই সিটি এফসির সঙ্গে ১-১ ড্র করে এটিকে মোহনবাগান। বড় ম্যাচে ইস্টবেঙ্গলকে হারিয়ে ডুরান্ডের টেবিল জমিয়ে দিয়েছিলেন কার্ল ম্যাকহিউরা। এরপর নৌ সেনাকেও ২-০ হারায় ফেরান্দোর ছেলেরা। ৪ ম্যাচে ৭ পয়েন্টে শেষ করে মোহনবাগান। নৌ সেনাকে হারিয়েও রাজস্থানও ৪ ম্যাচে ৭ পয়েন্টে শেষ করল। কিন্তু হেড টু হেডের নিয়মে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিল মোহনবাগান।
ডুরান্ডে ইস্ট-মোহনের গ্রুপ থেকে মুম্বই সিটি এফসিও ৪ ম্যাচে ৭ পয়েন্ট সংগ্রহ করে। মুম্বই, রাজস্থান, মোহনবাগান- তিনটে দলের পয়েন্টই দাঁড়ায় ৭। হেড টু হেডের বিচারে মুম্বইয়ের পয়েন্ট দাঁড়ায় ৪ (মোহনবাগানের সঙ্গে ড্র, রাজস্থানের সঙ্গে জয়)। অন্যদিকে রাজস্থান ইউনাইটেড এফসির পয়েন্ট দাঁড়ায় ৩ (মোহনবাগানের সঙ্গে জয়, মুম্বইয়ের কাছে হার)। সেখানে এটিকে মোহনবাগানের পয়েন্ট দাঁড়ায় ১ (রাজস্থানের কাছে হার, মুম্বইয়ের সঙ্গে ড্র)। মোহনবাগানের কাছে হারের পরই টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে যায় ইস্টবেঙ্গল। ফলে ঐতিহ্যশালী ডুরান্ড কাপের গ্রুপ পর্ব থেকেই দুই প্রধান বিদায় নেওয়ায় টুর্নামেন্টের জৌলুস কিছুটা হলেও কমল। বাংলার অপর প্রধান মহমেডান স্পোর্টিংই এখন একমাত্র আশা জাগিয়ে রাখল।