কুয়ালালামপুর সিটি-৩ মোহনবাগান-১
(পাওলো, ফাকরুল, রোমেল) (ফারদিন)
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এএফসি কাপের ইন্টার জোনাল সেমিফাইনালে হার মানল মোহনবাগান। বুধবার যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে কুয়ালালামপুর সিটি এফসি ৩-১ গোলে হারাল সবুজ-মেরুন ব্রিগেডকে। ডুরান্ড কাপে আগেই ছিটকে গিয়েছিল জুয়ান ফেরান্দোর দলের। স্পেনীয় কোচ পাখির চোখ করছিলেন এএফসি কাপকে। সেই ম্যাচে ব্রাজিলীয় পাওলো হোসুয়ার দূরপাল্লার দূরন্ত শট, ফাকরুলের হেড এবং রোমেলের ঠান্ডা মাথায় প্লেস ছিটকে দিল মোহনবাগানকে।
এই ম্যাচের আগে মোহনবাগানের একসময়ের প্রাণভোমরা সনি নর্ডি বলেছিলেন, কুয়ালালামপুর সিটিকে হারানো কঠিন হবে মোহনবাগানের কাছে। আলাদা করে পাওলো ও রোমেল মোরালেসের কথা বলেছিলেন সনি। পাওলো হোসুয়া কুয়ালালামপুরের অধিনায়ক। প্রায় পাঁচ বছরের কাছাকাছি তিনি খেলছেন এই দলে। এদিন ৬০ মিনিটে পাওলো গোল করেন। মোহনবাগান সমতা ফেরায় ৯০ মিনিটে। এর কিছুক্ষণ পরেই ফ্রি কিক থেকে হেডে গোল করে ফাকরুল ২-১ করে যান। আর শেষ মুহূর্তে রোমেল সবুজ-মেরুন ডিফেন্সের মহাভুলে ৩-১ করে ম্যাচ নিয়ে যান নিজের ক্যাম্পে।
যদিও প্রথমার্ধে ফেরান্দোর দলের নিয়ন্ত্রণেই ছিল বল পজেশন। কিন্তু কুয়ালালামপুরের গোলমুখে একাধিকবার আক্রমণ তুলে এনেছিলেন লিস্টন কোলাসোরা। কিন্তু গোল করার খেলোয়াড়ের অভাব এই মোহনবাগান দলে। তাঁর অভাব অনুভূত হল। সদ্য শহরে এসেছেন অস্ট্রেলিয়ার দিমিত্রস। এদিন তাঁকে নামাননি ফেরান্দো।
খেলা চলাকালীন মালয়েশিয়া থেকে সনি বলছিলেন, কুয়ালালামপুর শক্তিশালী দল হলেও প্রথম তিনটে ক্লাবের মধ্যে নেই। মালয়েশিয়ান লিগে যে দলগুলো খেলে সেগুলো প্রত্যেকটাই দারুণ প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ। সনি বলছিলেন, কুয়ালালামপুর সিটির কোচ বোজান গতবার সেরা কোচ হয়েছিলেন। অতীতে ইস্টবেঙ্গলকেও হারান তিনি। তখন অবশ্য অন্য দলে ছিলেন বোজান। এদিন কুয়ালালামপুর কোচ হারালেন কলকাতার আরেক প্রধান মোহনবাগানকেও।