ATK Mohunbagan : পোগবা, ম্যাকহিউ, হ্যামিল তিন বিদেশি ডিফেন্ডারও ঘর সামলাতে পারলেন না। হ্যামিলকে চোখেই পড়ল না। পোগবার পারফরম্যান্সও ক্রমশ চিন্তা বাড়াচ্ছে।
Image Credit source: TWITTER
কলকাতা: লাইন আপ দেখেই ম্যাচের ভবিষ্যৎ কিছুটা পরিষ্কার হয়ে গিয়েছিল। যে কোচ মুখে আক্রমণের কথা শোনান, সেই কোচই কি না দল সাজালেন রক্ষণাত্মক মানসিকতা নিয়ে! এএফসি (AFC Cup) কাপের স্কোয়াডে ৪ জনের বেশি বিদেশি রাখার নিয়ম নেই। তার মধ্যে একজন এশিয়ান কোটার ফুটবলার বাধ্যতামূলক। অজি স্ট্রাইকার দিমিত্রি পেত্রাতোসকে (Dimitri Petratos) না দেখে অবাকই হয়েছিলেন কুয়ালা লামপুরের ক্রোট কোচ বোজান হোডাক। ফেরান্দোর রক্ষণশীল মানসিকতারই সুযোগ নিয়ে গেল মালয়েশিয়ার দল। যদিও বাগান কোচ সেটা মানতে চাইলেন না। তবে এএফসি কাপের এই হার আইএসএলের আগেই হুয়ান ফেরান্দোকে (Juan Ferrando) হলুদ কার্ড দেখিয়ে রাখল।
এএফসি কাপে দলের ম্যাচ দেখতে এসেছিলেন এটিকে মোহনবাগানের অন্যতম ডিরেক্টর সঞ্জীব গোয়েঙ্কা। ১ নম্বর জার্সি পরে এসেছিলেন। হতাশ হয়েই মাঠ ছাড়লেন তিনি। ফেরান্দোর স্ট্র্যাটেজি নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। এএফসি কাপের মতো টুর্নামেন্টেও বিদেশিহীন স্ট্রাইকার নিয়ে দল সাজালেন। আর সেটাই বিপদ ডেকে আনল। দিমিত্রিকে না রাখা নিয়ে ফেরান্দোর সাফাই, ‘কয়েকদিন আগে ও দলের সঙ্গে যোগ দিয়েছে। কার্ল আর জনি দুজনেই দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। জনি কাউকোকে খেলানোটা আমার কাছে জরুরি ছিল। পোগবা আর হ্যামিল একসঙ্গে দলের সাথে অনেক অনুশীলন করেছে। তাই ওদেরকে রাখি।’ ফেরান্দো যতই সাফাই দিন, রয় কৃষ্ণা আর ডেভিড উইলিয়ামসকে ছাড়াটা যে কত বড় ভুল তা টের পাচ্ছেন। যদিও সাংবাদিক সম্মেলনে এই প্রশ্ন করা হলে নিজের আলাদা যুক্তি খাড়া করলেন ফেরান্দো।
কলকাতার গরমে নাজেহাল হয়ে গিয়েছিল মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুর এফসি। তাই প্রথমার্ধটা কোনও রকমে কাটিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন পাওলোরা। অধিকাংশ সময় বল নিজেদের দখলে রেখেও সেই সুযোগটা কাজে লাগাতে পারলেন না লিস্টন কোলাসোরা। ২১ শতাংশ বল পজেশন নিয়েও জোনাল ফাইনালে পৌঁছে গেল কুয়ালালামপুর এফসি। উজবেকিস্তানের এফসি নাসাফের কাছে গত বছর জোনাল সেমিফাইনালে হেরেছিলেন কাউকোরা। মালয়েশিয়া ভারতের চেয়ে ফিফা ক্রমতালিকায় কনেক পিছনে। ঘরের মাঠে খেলা। সেই সুযোগটাও কাজে লাগাতে ব্যর্থ এটিকে মোহনবাগান। ৬০ মিনিটে পাওলোর দুরন্ত গোলে কুয়ালা লামপুর এগিয়ে গিয়েও, ৯০ মিনিটে ফারদিনের গোলে সমতায় ফেরে মোহনবাগান। সংযুক্ত সময়ে রক্ষণের ভুলেই গোল হজম। আর ওখানেই ম্যাচ শেষ। এএফসি কাপে ইস্টবেঙ্গল, বেঙ্গালুরুকে হারানোর পর এ বার মোহনবাগানকেও হারালেন বোজান। ম্যাচ শেষে ক্রোট কোচ বলে গেলেন, ‘যখনই কোনও দল গোল করে তখন সেই দল আত্মতুষ্টিতে ভোগে। ছেলেদের বলেছিলাম ওই সুযোগটাই কাজে লাগাতে। ২ মিনিটের মধ্যেই গোল পরিশোধ। শেষ মিনিটে আরও এক গোল। লক্ষ্য পূরণ হওয়ায় অবশ্যই ভালো লাগছে।’
পোগবা, ম্যাকহিউ, হ্যামিল তিন বিদেশি ডিফেন্ডারও ঘর সামলাতে পারলেন না। হ্যামিলকে চোখেই পড়ল না। পোগবার পারফরম্যান্সও ক্রমশ চিন্তা বাড়াচ্ছে। এএফসির জন্যই আগে থেকে প্রস্তুত হয়েছিল মোহনবাগান। আর সেই টুর্নামেন্ট থেকেই জলদি বিদায় নিতে হল। ফেরান্দোর স্ট্র্যাটেজি আর পোগবাদের ফর্ম দুশ্চিন্তা ক্রমশ বাড়াচ্ছে সবুজ মেরুন সমর্থকদের।