AFC Cup: এএফসি কাপে বিদায় এটিকে মোহনবাগানের


শেষ মুহূর্তে সমতা ফিরিয়ে আশার বাতি দপ করে জ্বালিয়ে দিয়েছিলেন মহম্মদ ফারদিন আলি মোল্লা। কিন্তু ধারে ভারে এগিয়ে থাকা মালয়েশিয়ার ক্লাবটি জোড়া গোল করে ম্যাচ বের করে নিয়ে গেল।

Image Credit source: Twitter

কলকাতা: ডুরান্ড কাপ থেকে বিদায়ে হতাশ হলেও সমর্থকরা একবুক আশা নিয়ে এএফসি কাপের (AFC Cup) ইন্টারজোনাল সেমিফাইনালে ম্যাচে প্রিয় দলকে সমর্থনের জন্য যুবভারতীতে ভিড় জমিয়েছিলেন। কিন্তু হাসিমুখে ফিরতে পারলেন না তাঁরা। কুয়ালালামপুর এফসির বিরুদ্ধে এএফসি কাপের ইন্টারজোনাল সেমিফাইনালে হেরে বিদায় নিল এটিকে মোহনবাগান (ATK Mohun Bagan)। শেষ মুহূর্তে সমতা ফিরিয়ে আশার বাতি দপ করে জ্বালিয়ে দিয়েছিলেন মহম্মদ ফারদিন আলি মোল্লা। কিন্তু ধারে ভারে এগিয়ে থাকা মালয়েশিয়ার ক্লাবটি জোড়া গোল করে ম্যাচ বের করে নিয়ে গেল। ভুলে ভরা ডিফেন্স, গোল করার লোকের অভাব প্রকট হয়ে উঠল। সবুজ মেরুন হারল ১-৩ গোলে।

ম্যাচের প্রথম থেকে কলকাতার দলটি আধিপত্য থাকলেও প্রধমার্ধে গোলের মুখ খুলতে পারেনি কোনও দলই। গোলশূন্য অবস্থায় বিরতিতে যায় দুটি দল। দ্বিতীয়ার্ধের ৬০ মিনিটে পাওলো জোসুর গোলে এগিয়ে যায় বিপক্ষ টিম। ম্যাচের শেষ পর্যায়ে গোল করে সমতা ফেরান মহম্মদ ফারদিন আলি মোল্লা। যুবভারতীতে ভিড় করা সমর্থকদের আশার আলো যেন দপ করে জ্বলে উঠেছিল। মিনিট দুয়েকের মধ্যে ব্যবধান বাড়ান কুয়ালালামপুরের মহম্মদ ফকরুল আইমান বিন সাদিদ। সবুজ মেরুনের কফিনে শেষ পেরেক পোঁতেন কুয়ালালামপুরের সাত নম্বর জার্সির রোমেল মোরালেস। শুভাশিসের ভুলে বল পান মোরালেস, এটিকের জালে বল জড়াতে বেশি সময় নেননি তিনি। এএফসি কাপে এবারের মতো এটিকে মোহনবাগানের পথচলা এখানেই শেষ।

এএফসি কাপের গ্রুপ পর্বের প্রথম ম্যাচে গোকুলামের কাছে ২-৪ ব্যবধানে হেরে গিয়েছিল এটিকে মোহনবাগান। পরের দুটি ম্যাচ বাংলাদেশের ক্লাব বসুন্ধরা কিংসকে ৪-০ এবং মালদ্বীপের টিম মাজিয়ার বিরুদ্ধে ৫-২ গোলে হারিয়ে ইন্টার জোনাল সেমিফাইনালে ওঠে এটিকে মোহনবাগান। যদিও গতবারের এএফসি কাপের ইন্টারজোনাল সেমিফাইনালে উজবেকিস্তানের ক্লাবের বিরুদ্ধে ০-৬ গোলের বড়সড় ব্যবধানে হারের অভিজ্ঞতাও ছিল। সেবারের মতো বড় ব্যবধানে হার হজম করতে না হলেও মালয়েশিয়ার দল কুয়ালামপুর এফসি-র বিরুদ্ধে হার হজম করতে হল ১-৩ গোলে।



Leave a Reply