Tennis: রাফায়েল নাদাল এ বছর স্বপ্নের ফর্মে ছিলেন। চোট থেকে ফিরেই বছরের প্রথম গ্র্যান্ড স্লাম অস্ট্রেলিয়ান ওপেন জেতেন। ফরাসি ওপেনে তাঁর না জেতাই আশ্চর্যের হতো। উইম্বলডনে হয়তো তৃতীয় গ্র্যান্ড স্লামও জিততে। চোটের কারণে ওয়াকওভার দিতে হয়। য়ুক্তরাষ্ট্র ওপেনে কেরিয়ারের ২৩ নম্বর গ্র্যান্ড স্লাম জয়ের লক্ষ্যে নেমেছিলেন নাদাল।
Image Credit source: TWITTER
নিউ ইয়র্ক : সেরেনা উইলিয়ামসের (Serena Williams) অবসর…রাফায়েল নাদালের হার (Rafael Nadal), নোভাক জকোভিচ এবং রজার ফেডেরারের (Roger Federer) অনুপস্থিতি। এই চার খেলোয়াড় ছাড়াই শুরু হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র ওপেনের কোয়ার্টার ফাইনাল। এক যুগ ধরে টেনিসে দাপট এই চার মূর্তির। সব মিলিয়ে ৮৬টি সিঙ্গলস গ্র্যান্ড স্লাম। প্রত্যের কমপক্ষে ২০টি। আর ফ্লাশিং মিডোয় এই চারজনকে ছাড়াই কোয়ার্টার ফাইনাল! তাহলে কি বলা যায়, একটা যুগের ইতি হল?
যুক্তরাষ্ট্র ওপেন শুরুর অনেক আগেই সেরেনা উইলিয়ামস ঘোষণা করেছিলেন, এই টুর্নামেন্টেই ইতি টানবেন। তৃতীয় রাউন্ডে অস্ট্রেলিয়ার আজলা তমজানোভিচের কাছে হেরেছেন সেরেনা। তিনটি ম্যাচেই গ্যালারিতে দর্শক উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। কোনটা তাঁর শেষ ম্যাচ হবে, আগে থেকে বলা কঠিন। তৃতীয় রাউন্ডে…। ডাবলসে প্রথম রাউন্ডেই হার সেরেনা-ভেনাস উইলিয়ামস জুটির।
রাফায়েল নাদাল এ বছর স্বপ্নের ফর্মে ছিলেন। চোট থেকে ফিরেই বছরের প্রথম গ্র্যান্ড স্লাম অস্ট্রেলিয়ান ওপেন জেতেন। ফরাসি ওপেনে তাঁর না জেতাই আশ্চর্যের হতো। উইম্বলডনে হয়তো তৃতীয় গ্র্যান্ড স্লামও জিততে। চোটের কারণে ওয়াকওভার দিতে হয়। য়ুক্তরাষ্ট্র ওপেনে কেরিয়ারের ২৩ নম্বর গ্র্যান্ড স্লাম জয়ের লক্ষ্যে নেমেছিলেন নাদাল। কোভিড টিকা না নেওয়ায় যুক্তরাষ্ট্র ওপেনে অংশ নিতে পারেননি নোভাক জকোভিচ। রজার ফেডেরার দীর্ঘদিন কোর্টের বাইরে। ফ্লাশিং মিডোয় ফেভারিট ছিলেন নাদালই। মার্কিন তরুণ ফ্রান্সেস তিয়াফোর কাছে হারের পর রাফায়েল নাদালের দার্শনিক জবাব, ‘কেউ যাবে, অন্য়রা আসবে, পৃথিবী থেমে থাকবে না। এটাই প্রকৃতির নিয়ম।’ রাফায়েল নাদাল এরপর কবে কোর্টে ফিরবেন? নিশ্চিত নয়। রাফা নিজেই জানিয়েছেন, স্ত্রী অন্তসত্ত্বা, প্রথম সন্তানের অপেক্ষা, কোর্টে কবে ফেরা, তিনিও নিশ্চিত নন। সঙ্গে যোগ করলেন, ‘এতদিন একই প্লেয়ার ঘুরিয়ে ফিরিয়ে বহু বছর দাপট দেখিয়েছেন। নতুনরা আসবে, আমরা যাব, এটাই যুক্তিসঙ্গত।’
টেনিস বিশ্বে কার কিংবা কাদের দাপট দেখা যাবে আগামী দিনে? এই প্রশ্নের উত্তর এখনই পাওয়া কঠিন। মহিলাদের টেনিসে সেরেনা ছাড়া ধারাবাহিক কাউকে দেখা যায়নি। একটা দুটো গ্র্যান্ড স্লাম জিতে অনেকেই হারিয়ে গিয়েছেন। পোল্যান্ডের ইগা স্বোয়াতেক মহিলাদের টেনিসে এক নম্বর। বয়স মাত্র ২১। এর মধ্যেই দুটি গ্র্যান্ড স্লাম জিতেছেন। দুটিই ফরাসি ওপেনে। যুক্তরাষ্ট্র টেনিস সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, পেশাদার টেনিস যুগে অর্থাৎ ১৯৬৮ থেকে এবারই প্রথম টুর্নামেন্টে সবচেয়ে কম মেজর জয়ী অংশ নিয়েছিলেন। রাফায়েল নাদালকে হারিয়ে ফ্রান্সেস তিয়াফো যেমন বলেছেন, ‘একটা নতুন যুগ দেখছি, ভালো লাগছে।’ গত ২০ বছরে এমন হয়নি। পুরুষদের কোয়ার্টার ফাইনালে এমন কেউ নেই যিনি আগে মেজর জিতেছেন। ২০০৩ সালে শেষ বার উইম্বলডনে এমনটা দেখা গিয়েছিল। সে বার কে জিতেছিলেন? রজার ফেডেরার। কেরিয়ারের ২০টি গ্র্যান্ড স্লামের প্রথম। এবারও নতুন কাকে দেখা যাবে এবং আগামীতে ফেডেরারের মতো হয়ে উঠবেন কী না, এমন অনেক প্রশ্ন ঘোরাফেরা করছে। টেনিস নতুন যুগে প্রবেশ করছে, এমনটা হয়তো বলাই যায়…।