Virat Kohli: অনুষ্কা না থাকলে সেঞ্চুরির মঞ্চে ওঠা হত না, বললেন বিরাট!


King Kohli: এর পর কেটে গিয়েছে ১০২০ দিন। অবশেষে শতরানের খরা কাটল বিরাটের ব্যাটে।

দুবাই : সেঞ্চুরির পর হাসছিলেন তিনি। তৃপ্তির এই হাসিটাই কি এতদিন খুঁজে বেড়াচ্ছিলেন ভারতের সর্বকালের অন্যতম সেরা ব্যাটার? হ্যাঁ, তা-ই! ব্যর্থতার দীর্ঘ সময় পার করে আবার যেন সুখের উপত্যকায় পা দিলেন বিরাট কোহলি। ১০২০ দিন পর সেঞ্চুরি দেখা গেল তাঁর ব্যাটে। আর সেই সেঞ্চুরির পর এক অচেনা বিরাটের দেখা মিলল। টি-শার্টের ভেতর থেকে বের করলেন সেই লকেটটা। যা আসলে ম্যারেজ রিং। তাই বের করে তৃপ্তির দীর্ঘ চুম্বন দিলেন দিলেন বিরাট। সত্যিই তো, কতদিন পর আবার বিরাট ফিরলেন বিরাটে! আড়াই বছর দীর্ঘ সময়। বিরাট কোহলি নিজেকে যে উচ্চতায় নিয়েছিলেন, তাঁর ব্যাটে শতরান ছাড়া যত রান ইকরুন না কেন, তাতে যেন মন ভরে না। অবশেষে শতরানের খরা কাটল বিরাটের ব্যাটে। আন্তর্জাতিক টি ২০-তে প্রথম শতরান। কেরিয়ারের ৭১ তম আন্তর্জাতিক শতরানের পর বিরাট কোহলি কি বলা উচিত ছিল? ‘জবাব এভাবেই দিতে হয়!’ নাহ, তিনি তেমন কিছু বলেননি। বরং সাফল্যের শিখরে উঠে আবার বিনয়ী হয়ে গিয়েছেন তিনি।

কী বললেন বিরাট? কেরিয়ারের সবচেয়ে কঠিন সময় পার করে এসেছেন, তিনিও ভালো করে জানেন। সময় যখন খুব কঠিন হয়, তখন অপেক্ষা করতে হয়। অন্ধকার পেরিয়ে আলোয় ফেরার জন্য। বিরাট সেটাই করেছিলেন। সেঞ্চুরির পর বলে গেলেন, ‘এক মাস পরেই আমি ৩৪-এ পা দেব। গত আড়াইটা বছর আমাকে অনেক কিছু শিখিয়েছে। সেই কারণেই রাগী সেলিব্রেশন এখন অতীত।’ ভুল বলেননি বিরাট। ঠান্ডা-ঠান্ডা কুল-কুল সেলিব্রেশনের মধ্য়ে দিয়ে এক নতুন বিরাটের জন্ম দেখল ক্রিকেট বিশ্ব।

মাঠের বাইরে যে তাঁকে নিয়ে প্রচুর কথা চলছিল, ভালো করেই জানেন বিরাট। সেঞ্চুরির পর তা বলতেও ভুল করেননি, ‘আমি খুব ভালো করে জানি, মাঠের বাইরে আমাকে নিয়ে অনেক কথা চলছিল। অনেক কিছুর সমন্বয়ের মধ্যে দিয়ে এই সেঞ্চুরিটা এসেছে। তাই সেঞ্চুরির পর ম্যারেজ রিংয়ে চুমু খেয়েছিলাম। আজ এই যে মঞ্চে দাঁড়িয়ে আছি, সেটা সম্ভব হয়েছে একজনের জন্য। সেটা অনুষ্কা ছাড়া আর কেউ নয়। এই সেঞ্চুরিটা ওকে উপহার দিলাম। উপহার দিলাম আমার ছোট্ট মেয়ে ভামিকাকেও।’

অনুষ্কা ভালো-খারাপ সব সময় পাশে থেকেছেন বিরাটের। প্রায় তিনটে বছর সেই অর্থে সাফল্য পাননি। বারবার প্রশ্ন উঠেছে বিরাটের ফর্ম নিয়ে। সমালোচনার ঝড়ের পড়েও বিরাট নীরবই থেকে গিয়েছিলেন। তার একটা বড় কারণ ছিলেন অনুষ্কা। স্ত্রীর জন্য অনেকটা পাল্টেছেন বিরাট, তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। বিরাট বলছেনও, ‘যখন কেউ আপনার পাশে থাকে, যে কোনও পরিস্থিতিতে আপনার সঙ্গে কথা বলে, তখন সব কিছু গুছিয়ে নেওয়া যায়। আমার কাছে অনুষ্কা ঠিক এই রকমই।’

ইংল্যান্ড সফরের পর ক্রিকেট থেকে সাময়িক ছুটি নিয়েছিলেন বিরাট। সেটা যে কাজে লেগেছে, তা নিয়ে সন্দেহ নেই। বিরাটের কথায়, ‘প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেট থেকে ছুটি নেওয়া সম্ভব হয় না। কিন্তু যে ছুটিটা আমি পেয়েছিলাম, সেটা পুরোপুরি উপভোগ করেছি। আর সেই কারণেই খেলাটাকে নতুন করে উপভোগ করতে পারছি।’

Leave a Reply