Virat Kohli: ঝুঁকে কুর্নিশ বেদীর, বিরাট সেঞ্চুরিতে শুভেচ্ছায় বানভাসি নেটমাধ্যম


খারাপ সময়ে কেউ পাশে ছিল না। সাংবাদিক বৈঠকে অভিমানে কথাগুলো বলেছিলেন। তাঁরা কারা তা স্পষ্ট করেননি। তাঁরা যেই হোন না কেন, সুখের দিনে শুভেচ্ছায় ভাসাতে কার্পণ্য করলেন না বর্তমান, প্রাক্তন ক্রিকেটার থেকে সমর্থকরা।

Image Credit source: Twitter

দুবাই: বহু প্রতিক্ষীত এই মুহূর্তটা। সীমান্তের বেড়াজাল পেরিয়ে প্রতিটি ক্রিকেটপ্রেমীর মনে রাখার মতো দিন। বিরাট ভক্তদের উৎসবে মাতোয়ারা হওয়ার মতো দিন ২০২২ সালের ৮ সেপ্টেম্বর। ফরিদ আহমেদের বলে মারা পুল শটটা ডিপ মিড উইকেটের উপর দিয়ে সীমানার বাইরে আছড়ে পড়তেই বিরাট চটপট খুলে ফেললেন হেলমেট। আনন্দ, দুঃখ, আবেগ কোনও কালেই লুকোতে জানেন না। হাসতে হাসতে একটু নিচের দিকে ঝুঁকলেন, ফের সোজা হয়ে বারবার ব্যাট ছুড়ে দিলেন সামনে দিকে। কতটা স্বস্তি পেলেন তা ভাষায় প্রকাশ করার প্রয়োজন আর পড়ে না। গুনে গুনে ১ হাজার ২০ দিন পর তিন অঙ্কের ঘরে পৌঁছাল বিরাট কোহলির ব্যাটে রান। তখনই বাঁই করে সম্প্রচারকারী চ্যানেলের ক্যামেরা ঘুরে গেল মাথায় পাগড়ি পরিহিত, কাঁচাপাকা দাড়ির এক বৃদ্ধের দিকে। ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক বিষেণ সিং বেদী। হাত তুলে ঈষৎ ঝুঁকে কুর্নিশ জানালেন। সম্মান যে পাওয়া যায় না, আদায় করে নিতে হয়, বিরাটের প্রতি অগ্রজের হাবেভাবে তা প্রমাণিত হল আরও একবার।

টি-২০ বিশ্বকাপের আগে এশিয়া কাপ বিরাটের কাছে ছিল অ্যাসিড টেস্ট। ৭০টি সেঞ্চুরির মালিকের কাছে এই টুর্নামেন্ট ছিল নতুন করে শুরু করার মতো। তাঁর ব্যাট এশিয়া কাপের ট্রফি এনে দিতে পারেনি ঠিকই। টুর্নামেন্টের শেষ ম্যাচে সেই দুঃখ এক লহমায় ভুলিয়ে দিলেন বিরাট কোহলি। একে নিয়মরক্ষার ম্যাচ, তাও আবার প্রতিপক্ষ আফগানিস্তান। এমন ম্যাচ নিয়ে আগ্রহ ছিল খুব কম মানুষেরই। প্রায় ফাঁকা দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম থেকেই শুরু হল বিরাট কোহলির ক্রিকেট কেরিয়ারের দ্বিতীয় অধ্যায়। টি-২০ ফরম্যাটে প্রথম শতরান। কেরিয়ারের ৭১তম সেঞ্চুরি। যুগ্মভাবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সর্বাধিক সেঞ্চুরির মালিক।

খারাপ সময়ে কেউ পাশে ছিল না। সাংবাদিক বৈঠকে অভিমানে কথাগুলো বলেছিলেন। তাঁরা কারা তা স্পষ্ট করেননি। তাঁরা যেই হোন না কেন, সুখের দিনে শুভেচ্ছায় ভাসাতে কার্পণ্য করলেন না বর্তমান, প্রাক্তন ক্রিকেটার থেকে সমর্থকরা। সীমান্তের বেড়াজাল পার করে শুভেচ্ছা এল ওয়াঘার ওপার থেকেও।

এবি ডিভিলিয়ার্স: তাঁদের বন্ধুত্বের কথা অজানা নয়। প্রথম টুইটে দক্ষিণ আফ্রিকার কিংবদন্তি লিখলেন, “গতকালই কথা হচ্ছিল ওর সঙ্গে। তখনই বুঝেছিলাম কিছু একটা ঘটতে চলেছে। দারুণ খেলেছ বন্ধু।” পরক্ষণেই দ্বিতীয় টুইট, “ফের বিরাট কোহলির নাচ শুরু। কী যে ভালো লাগছে দেখতে।”

হরভজন সিং: ওয়েল ডান চ্যাম্পিয়ন কোহলি। তোমাকে সেঞ্চুরি করতে দেখে দারুণ লাগল।

ইরফান পাঠান: শেষ হল অপেক্ষা। বিরাট কোহলির শতরান।

মহম্মদ আজহারউদ্দিন: অনেকদিন পর কোহলির ব্যাটে শতরান। দারুণ ব্যাটিং।

মুশফিকুর রহিম: চ্যাম্পিয়নরা বোধহয় এভাবেই ফেরে। আমার চোখে সর্বকালের সেরা ক্রিকেটার বিরাট কোহলিকে শুভেচ্ছা। একটা জিনিস মিস করছিলাম। সেটাও স্টাইলের সঙ্গে করে দেখালেন।

হাসান আলি: ফিরলেন সেরার সেরা বিরাট কোহলি।

অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস: তোমাকে কুর্নিশ জানাই। ফর্ম সাময়িক, ক্লাস চিরকালীন। দারুণ সেঞ্চুরি।



Leave a Reply