থামলেন একচল্লিশের ‘তরুণ’, রজারের অবসরে আবেগপ্রবণ টেনিস দুনিয়া


তিনি ফিরবেন রাজার মতোই। এই আশায় বুক বেঁধেছিলেন অনুরাগীরা। হিসেব উল্টে দিলেন ‘রাজা’ নিজেই। সামনেই লেভার কাপ। শেষবারের জন্য কোর্টে নামবেন রজার রাজা। তারপর বিদায়।

Image Credit source: Twitter

তিথিমালা মাজী

তিনি ফিরবেন,আশা ছিল। বয়স, চোটকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে ২১,২২, ২৩…গ্র্যান্ড স্ল্যামের ঝুলি আরও পূর্ণ হবে। বৃহস্পতিবারের সন্ধ্যের একটি টুইট বার্তা মন ভেঙে দিল গোটা টেনিস বিশ্বের। আর কয়েকদিন পর থেকে রজার ফেডারার নামক মহীরূহ ছাড়াই চলতে হবে টেনিস বিশ্বকে। টেনিস কোর্টে আর দেখা যাবে না ফেডেরার-নাদাল বা ফেডেরার-জকোভিচ দ্বৈরথ। নতুন প্রজন্মের টেনিস তারকার ছড়াছড়ি। তাঁদের অনেকেই এখন বিশ্ব টেনিস ক্রমতালিকায় ১ থেকে ১০-এর মধ্যে। এদিকে ২৫ বছরে প্রথমবার এটিপি তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন রজার ফেডেরার। তাতে থোড়াই কেয়ার ফেডারার অনুরাগীদের। তিনি ফিরবেন রাজার মতোই। এই আশায় বুক বেঁধেছিলেন অনুরাগীরা। হিসেব উল্টে দিলেন ‘রাজা’ নিজেই। সামনেই লেভার কাপ। শেষবারের জন্য কোর্টে নামবেন রজার রাজা। তারপর বিদায়।

কেরিয়ারের সবচেয়ে বেশি সংখ্যক গ্র্যান্ড স্লাম উইম্বলডন আটবার জিতেছেন। লন্ডনের সেন্টার কোর্টের সঙ্গে রজার ফেডেরারের সম্পর্ক অন্যরকম। তাই আজ আবেগী উইম্বলডন লিখল,

রজার,
কোথা থেকে আমরা শুরু করব বলতো? তোমাকে সত্যিকারের চ্যাম্পিয়ন হতে দেখেছি। তোমার যাত্রাপথের সাক্ষী থেকেছি। কোর্টে তোমার রাজার মতো প্রবেশের অভাববোধ করব। শুধু বলতে চাই, ধন্যবাদ। সেইসব স্মৃতি এবং খুশির মুহূর্তগুলির জন্য যেগুলি তুমি আমাদের দিয়েছো।

রোলা গ্যাঁরোর লাল মাটিতেও দাপট দেখিয়েছেন টেনিস জগতের কিংবদন্তি। একটিই ফরাসি ওপেনের খেতাব। ২০০৯ সালে। ফরাসি ওপেন কর্তৃপক্ষ লিখল, “টেনিসের লেজেন্ড।”

সোশ্যাল মিডিয়া আবেগের বানভাসি। একজন লিখলেন, “একমাত্র রজার ফেডেরারকে দেখে ছোট বয়সে টেনিস খেলতে শুরু করেছিলাম। হাইস্কুলে প্রথমবার টেনিস খেলা এই মানুষটিকে দেখে। নাদাল, জকোভিচ এবং মারের সঙ্গে তাঁর মহাকাব্যিক দ্বৈরথগুলি সবসময় উপভোগ্য। ওর মতো আর কেউ হবে না।”

অন্য একজন লিখলেন, “বিদায় নিলেন রজার। তাঁর কামব্যাকের অপেক্ষা করছিলাম। টেনিস জগতটা আর আগের মতো থাকবে না। তোমাকে ভীষণ মিস করব।”

ভগ্ন হৃদয়ে এক অনুরাগী লিখলেন, “ভেঙে গেল হৃদয়। তোমার শুভকামনা করি ফেডেরার। টেনিসকে বেছে নিতে আমাকে অনুপ্রেরিত করার জন্য ধন্যবাদ। টেনিসের প্রতি ভালোবাসা কোনওদিনও কমবে না।”



Leave a Reply