ডিজিটাল বাংলাদেশ কি (What is digital bangladesh) এই সম্পর্কে অনেকে জানতে চাচ্ছেন। তাছাড়া বর্তমানে আমাদের সবার মুখে একটাই কথা Digital Bangladesh.
তাই আজকের আর্টিকেলে আমরা জানবো ডিজিটাল বাংলাদেশ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য। আমাদের সোনার বাংলাদেশে বর্তমানে উন্নতির ছোয়া লাগছে।
তার উল্লেখ যোগ্য কিছু উদাহরণ হলো – পদ্মা সেতু, ঢাকা মেট্রোরেল, কর্ণফূলী ট্যানেল সহ আরো বড় বড় প্রকল্প তৈরি হচ্ছে।
ইতিমধ্যে বাংলাদেশ সারা বিশ্বে একটি বৃহত্তর রেকর্ড সৃষ্টি করেছে নিজের দেশের টাকায় স্বপ্নের পদ্মা সেতু নির্মাণের কাজ শেষ করে।
বাংলাদেশ যে উন্নয়নশীল দেশ এবং উন্নয়ন হচ্ছে এটাই তার বড় প্রমান। পদ্মা সেতু ছাড়াও আরো বিভিন্ন বড় বড় প্রকল্প হাতে নিয়েছে বাংলাদেশ।
তাহলে চলুন নিচে থেকে জেনে আসি Digital Bangladesh ki, এর প্রবর্তক কে এবং লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য গুলোর সম্পর্কে।
ডিজিটাল বাংলাদেশ কি? (What is digital bangladesh)
বর্তমান সময়ে ডিজিটাল বাংলাদেশ একটি আলোচিত বিষয়। এর মূল উদ্দেশ্য ছিলো ২০২১ সালের মধ্যে দেশকে একটি উন্নত তথ্য প্রযুক্তি রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তোলা।
১৯৭১ সালে বাংলাদেশ পাকিস্তানের কাছ থেকে স্বাধীনতা অর্জন করেন। সেই সময় থেকে শুরু করে ২০২১ সালে আমাদের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালনের ৫০ বছর পূর্ণ হয়।
ডিজিটাল বাংলাদেশ এই কথাটি প্রথম তুলে ধরা হয় ২০০৮ সালে। তখন বাংলাদেশ বিরোধী দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে শেখ হাসিনা বলেন স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালনের ৫০ বছর পূর্ণ হবে ২০২১ সালে এবং এই সময়ের মধ্যে তিনি দেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশে রূপান্তরিত করবেন।
২০০৯ সালে ১২-১৭ নভেম্বর ডিজিটাল বাংলাদেশ সামিট নামে প্রথম শীর্ষ সম্মেলন করা হয়। সেখানে উল্লেখ করা হয় ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করার জন্য কি কি গুলো অগ্রাঅধিকার দেওয়া হবে।
ডিজিটাল বাংলাদেশ কাকে বলে?
Digital Bangladesh প্রতিষ্ঠা করার প্রথম পদক্ষেপ হলো বিজ্ঞানভিত্তির সমাজ গঠন করা। এর মাধ্যমে উন্নত সমৃদ্ধিশীল বাংলাদেশ তৈরি করা।
ডিজিটাল বাংলাদেশ হলো সুখী, শিক্ষিত, ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্য মুক্ত এবং দুর্নীতি মুক্তি একটি দেশ যা সম্পূর্ণ ভাবে জনগণের রাষ্ট্র এবং যার মুখ্য চালিকাশক্তি হলো ডিজিটাল প্রযুক্তি।
বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে ধনী দেশে বানানোর জন্য মাথাপিছু আয় এবং জাতীয় আয় বৃদ্ধি করা। আর এটাই হবে একুশ শকতের বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলাদেশ।
ডিজিটাল বাংলাদেশ কবে ঘোষণা করা হয়?
২০০৮ সালের ১২ ডিসেম্বর সেই সময়ের বিরোধী দল আওয়ামী লীগ তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে ঘোষণা করেন ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালনের ৫০ বছর উপলক্ষে বাংলাদেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশে রুপান্তরিত করা হবে।
এরপর ২০০৯ সালে বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি ১২-১৭ নভেম্বর ডিজিটাল বাংলাদেশে সামিট (Digital Bangladesh Smmit) নামক একটি শীর্ষ সম্মেলন আয়োজন করে।
ডিজিটাল বাংলাদেশের চার স্তম্ভ কি কি?
ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনের জন্য চারটি মূল স্তম্ভ ঘোষণা করা হয়। এই চার (৪) টি স্তম্ভ হলো –
- মানবসম্পদ উন্নয়ন করা
- ইন্টারনেট সংযোগ দেওয়া
- ই-প্রশাসন
- তথ্য প্রযুক্তি শিল্পখাত গতে তোলা
ডিজিটাল বাংলাদেশের প্রবর্তক কে?
ডিজিটাল বাংলাদেশের প্রবর্তক হলেন বর্তমান বাংলাদেশের প্রধান মন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগের নির্বচনী ইশতেহারে ঘোষণা দেন বাংলাদেশ ২০২১ সারের মধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশে রুপান্তরিত করবে।
তার সেই নির্বচনী ইশতেহার অনুযায়ী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলাদেশ গড়ার কাজ শুরু করেন।
ডিজিটাল বাংলাদেশের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রধান লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হলো বাংলাদেশেকে স্বল্প উন্নত দেশ থেকে মধ্যম আয়ের দেশে রুপান্তর করা।
ডিজিটাল দেশে কোনো মানুষ না খেয়ে থাকবে না। দেশের দরিদ্র্যতা সম্পূর্ণ ভাবে দূর হয়ে যাবে। এর অন্তর্ভুক্ত আরো বিভিন্ন লক্ষ্য গুলো নিচে উল্লেখ করা হয়েছে।
- দুর্নীতি মুক্ত সমাজ গঠন করা।
- ক্ষমতায়ন।
- মহিলাদের সমান অধিকার নিশ্চিত।
- গণতন্ত্র ও কার্যকর সংসদ।
- আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সুশাসন।
- রাজনৈতিক পক্ষপাতিত্ব এড়ানো।
- রাজনৈতিক কাঠামো, ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ ও জনগণের অংশগ্রহণ।
- রাজনৈতিক সংস্কৃতির রুপান্তর।
- সারাবিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান – পররাষ্ট্র নীতি, মুক্তি অর্জন, ভালো ধর্ম এবং সংস্কৃতি।
- অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও উদ্যোগ।
ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস কত তারিখে পালন করা হয়?
১২ ডিসেম্বর জাতীয় ভাবে সারা বাংলাদেশে ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস পালন করা হয়। ২০২১ সালে পঞ্চম বারের মতো পালন করা হয় ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস।
এবার ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসের ১২ তারিখ রোজ সোমবার পালন করা হবে ষষ্ঠ (৬) বারের মতো ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস।
শেষ কথা
আজকে আমরা জানলাম ডিজিটাল বাংলাদেশ কি এবং এর প্রবর্তক কে এর সম্পর্কে। ডিজিটাল বাংলাদেশ রুপকল্প সম্পর্কে আরো জানতে চাইলে নিচে কমেন্টে লিখে জানাবেন।
আমাদের সোনার বাংলার ডিজিটাল বাংলাদেশ আপনার কাছে কেমন লাগছে সেটা অবশ্যই কমেন্টে জানাবেন এবং ভালো লাগলে বন্ধুদের জন্য শেয়ার করবেন।