Virat Kohli: ‘সূর্য যে কোনও পরিস্থিতিতেই ম্যাচের রং বদলে দিতে পারে। ইংল্যান্ডে সেঞ্চুরি করেছে, এশিয়া কাপে অনবদ্য খেলেছে। গত ছ মাসে ওকে দারুণ কিছু ইনিংস খেলতে দেখেছি। সঠিক সময়ে সঠিক শট খেলার দক্ষতা রয়েছে।’
Image Credit source: PTI
হায়দরাবাদ : ঠিক কী বিশেষণ দেওয়া যেতে পারে! বোর্ডে ১৮৭ রানের বিশাল লক্ষ্য। পাওয়ার প্লে-তে ফিরেছেন দুই ওপেনার। ক্রিজে এলেন সূর্যকুমার যাদব (Suryakumar Yadav)। উল্টো প্রান্তে রয়েছেন বিরাট কোহলি। ওভার প্রতি ১০-র বেশি রান প্রয়োজন। বিরাট কোহলি (Virat Kohli) সর্বকালের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান। এখন কিন্তু অ্যাঙ্করের ভূমিকাতেই দেখা যায় তাঁকে। উল্টো প্রান্ত থেকে রানের গতি না বাড়ানো গেলে, এত বড় লক্ষ্য তাড়া হবে কী করে! রানের গতি বাড়ানোর দায়িত্ব নিলেন সূর্যকুমার যাদব। এ বছর টি ২০ ফরম্যাটে ভারতীয়দের (Team India) মধ্যে সবচেয়ে বেশি রান সূর্যরই। বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধেও হতাশ করেননি। বিরাটের সঙ্গে তাঁর জুটিই ম্যাচের রং বদলে দেয়। মাত্র ৩৬ বলে ৬৯ রানের ইনিংস। ৫টি করে বাউন্ডারি এব ওভার বাউন্ডারি। এত সুন্দর একটা খেলেও আউট হওয়ায় হতাশ সূর্য। ব্যাটে বলে ঠিকঠাক সংযোগ হলে…। বিরাট কোহলি তাঁকে সাবাশি দিয়ে বুঝিয়ে দেন, এই ইনিংস কতটা দামি।
ভারত ম্যাচ এবং সিরিজ জিতল। সূর্যর ব্যাটে যেমন জয়ের ভিত, তেমনই কানায় কানায় পূর্ণ গ্যালারির বিনোদনও। আউট হওয়ার হতাশা কিছুটা হলেও ঢাকলো সিরিজ জয়ে। ম্যাচের সেরা সূর্য নিজের আউট নিয়ে বলছেন, ‘সে সময় রানের গতি ধরে রাখা জরুরি ছিল। তাই নিয়মিত শট খেলছিলাম। ওই ডেলিভারিতে (আউট হওয়ার) অনেক গুলো শটের ভাবনা মাথায় ছিল। ভেবেছিলাম, মিড অফের উপর দিয়ে মারব। প্র্যাকটিস সেশনেও ম্যাচ সিচুয়েশনের কথা ভেবেই শট খেলি।’ চার নম্বরে ব্যাট করা প্রসঙ্গে বলেন, ‘চার নম্বরে ব্যাটিং উপভোগ করছি। টি ২০ বিশ্বকাপে অনেক দায়িত্ব রয়েছে। সামনে অনেক চ্যালেঞ্জও থাকবে। নিজের স্বভাবসিদ্ধ খেলা খেলতে হবে। তবে বুদ্ধি দিয়ে।’
সূর্য বড় শট খেলায় প্রয়োজনীয় রানের গতি নিয়ন্ত্রণে থাকে। বিরাট কোহলিরও সুবিধা হয় অ্যাঙ্কর ইনিংস খেলতে। ম্যাচ শেষে সূর্যকে প্রশংসায় ভরিয়ে দেন বিরাট। এশিয়া কাপেও নন স্ট্রাইকার প্রান্ত থেকে সূর্যর একটা অসাধারণ ইনিংস দেখেছেন। বিরাট বলেন, ‘ডাগআউট থেকে রোহিত-রাহুল দুজনেই বার্তা দেন, আমাকে আমার মতো ব্যাটিং চালিয়ে যেতে। সূর্য যে কোনও পরিস্থিতিতেই ম্যাচের রং বদলে দিতে পারে। ইংল্যান্ডে সেঞ্চুরি করেছে, এশিয়া কাপে অনবদ্য খেলেছে। গত ছ মাসে ওকে দারুণ কিছু ইনিংস খেলতে দেখেছি। সঠিক সময়ে সঠিক শট খেলার দক্ষতা রয়েছে। মনস্থির করি, জাম্পাকে আমি সামলাবো। জাম্পা দক্ষ বোলার, আমাকে অনেকবার সমস্যায় ফেলেছে। জানতাম, আমার উইকেটের জন্য মরিয়া থাকবে। সে কারণেই ওর বোলিংয়ে আক্রমণ করার সিদ্ধান্ত নিই।’ ১ বল বাকি থাকতে ম্যাচ জেতে ভারত। বিরাট মনে করছেন, আরে আগেই জেতা উচিত ছিল।