কার উইকেট সেরা? অর্শদীপ সিং বেছে নিলেন…


India vs South Africa: এশিয়া কাপের আগে দলের তারকা ব্যাটসম্যান বিরাট কোহলিও এক মাসের বিরতি নিয়েছিলেন। মানসিকভাবে তরতাজা হয়ে ফিরেছেন। বিরতি হয়তো অনেকের ক্ষেত্রেই দারুণ প্রত্যাবর্তনের মঞ্চ গড়ে দেয়। যেমন অর্শদীপের ক্ষেত্রে। এশিয়া কাপের পর প্রথম ম্যাচে নেমেই তিন উইকেট।

শিল্প এবং শিল্পী। ইনসুংয়ে মিলারের উইকেট ছিটকে দেওয়া অর্শদীপকে ঘিরে সতীর্থদের উচ্ছ্বাস।

Image Credit source: PTI

তিরুবনন্তপুরম : এশিয়া কাপে একটা ক্যাচ মিস। তাও আবার পাকিস্তানের বিরুদ্ধে। ক্যাচটা ধরলেই ভারত ম্যাচ জিততোই তার গ্যারান্টি নেই। আবার অন্যভাবে দেখতে গেলে, হয়তো ওই ম্যাচ জিতে আত্মবিশ্বাস সঞ্চয় করে, পরবর্তী ম্যাচগুলো ভালো খেলতো ভারত। হয়তো ফাইনালে উঠত। মানুষ মাত্রই ভুল করে। অর্শদীপ সিংয়ের (Arshdeep Singh) ক্ষেত্রেও ভুল হয়েছিল। তার জন্য কম যন্ত্রণা বয়ে বেড়াতে হয়নি। একটা অন্ধকার সময়ে ছিলেন ভারতীয় দলের তরুণ বাঁ হাতি পেসার। গ্রিনফিল্ডে দক্ষিণ আফ্রিকার (India vs South Africa) বিরুদ্ধে নিজের প্রথম ওভারে (ইনিংসের দ্বিতীয়) মাত্র ৭ রান দিয়ে ৩ উইকেট। এশিয়া কাপের পর বিরতি কাটিয়ে ফিরে অনবদ্য প্রত্যাবর্তন। তিনটে উইকেট, অনবদ্য একটা ক্যাচ। ম্যাচের সেরার পুরস্কার, দলের জয়। সাময়িক হতাশা পেরিয়ে নতুন আলোয় ফিরেছেন অর্শদীপ। তাঁকে স্লগ ওভার স্পেশালিস্ট বলা হয়। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে প্রথম টি ২০ তে সিম, সুইং বোলিংয়ে দেখিয়ে দিলেন, নতুন বলেও কতটা ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারেন।

দীপক চাহার এবং অর্শদীপ সিংয়ের সৌজন্যে প্রথম ১৫ বলের মধ্যেই ৫ প্রোটিয়া ব্যাটার প্যাভিলিয়নে। দলও জিতেছে ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে। বুমরার মতো অভিজ্ঞ পেসারের অভাব এই ম্যাচে বুঝতেই দিলেন না। ম্যাচ শেষে সাংবাদিক সম্মেলনে তরুণ পেসার অর্শদীপ বলছেন, ‘দ্রুত উইকেট পাওয়া সবসময়ই আনন্দের। বল সুইং হচ্ছিল। আমার কাজ ছিল, সঠিক লাইন লেন্থে বল করা। সেটা করতে পেরেছি এবং তার ফলও এসেছে। ম্যাচ সিচুয়েশনের কথা ভেবেই আমরা প্র্যাক্টিস করি। দল আমাদের কাছে কী চায়, সে ভাবেই বোলিংয়ের চেষ্টা করি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ভিন্ন পরিস্থিতির সঙ্গে দ্রুত মানিয়ে নেওয়াটাই আসল। আমরা সেটা করতে পেরেছি। এই ম্যাচে নতুন বলে ডিসি ভাই (দীপক চাহার) জুটিতে ভালো বল করেছি। ওকেও কৃতিত্ব দিতে হবে।’ তিনটের মধ্যে সেরা উইকেট কোনটা? অর্শদীপ জানালেন, ডেভিড মিলারের উইকেটটাই সেরা। তার কারণ হিসেবে বলেন, ‘মিলার ভেবেছিল আউটসুইং হবে। তবে আমি ইনসুইংয়ে উইকেট ছিটকে দিই…।’

এশিয়া কাপের আগে দলের তারকা ব্যাটসম্যান বিরাট কোহলিও এক মাসের বিরতি নিয়েছিলেন। মানসিকভাবে তরতাজা হয়ে ফিরেছেন। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচে রান না পেলেও এশিয়া কাপ থেকে ধারাবাহিক ভালো খেলছেন। অস্ট্রেলিয়া সিরিজেও অনবদ্য খেলেছেন। বিরতি হয়তো অনেকের ক্ষেত্রেই দারুণ প্রত্যাবর্তনের মঞ্চ গড়ে দেয়। যেমন অর্শদীপের ক্ষেত্রে। এশিয়া কাপের পর প্রথম ম্যাচে নেমেই তিন উইকেট। অর্শদীপ বলছেন, ‘এশিয়া কাপের পর যে বিরতি পেয়েছিলাম, আমার লক্ষ্যই ছিল, আরও ফিট হয়ে, উন্নতি করে প্রত্যাবর্তন করা। আমি অনেক তরতাজা হয়ে নামতে পেরেছি। বোলিংয়ে সেটাই কাজে দিয়েছে। এই ছন্দটা ধরে রাখতে চাই।’ আগামী মাসে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। প্রস্তুতি প্রসঙ্গে তাঁর মত, ‘আমরা দল হিসেবে সমস্ত ঘাঁটতি মেটানোর চেষ্টা করছি। পরিকল্পনাগুলো মাঠে বাস্তবায়নের চেষ্টা থাকে। এই ম্যাচটা হয়তো তারই একটা উদাহরণ। পাওয়ার প্লে-তে দারুণ বোলিং হয়েছে। পরবর্তী ম্যাচে আমরা আরও ভালো পারফর্ম করার চেষ্টা করব।’

Leave a Reply