Debraj Choudhury: ২০০৮ থেকে ময়দানের সঙ্গে যুক্ত। মার্কেটিং নিয়ে পড়াশোনা করেছি। আমার দেওয়া কোনও তথ্য যদি ফেডারেশন এবং ভারতীয় ফুটবলের কাজে লাগে, সবচেয়ে বেশি খুশি হব আমিই।
দেবরাজ চৌধুরী (ডান দিকে)
দীপঙ্কর ঘোষাল
পদত্যাগের জোয়ার উঠেছে কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন করতেই পারেন অনেকে। ফেডারেশনের (AIFF) নানা কমিটি থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন কেউ কেউ। কারণ যাই হোক না কেন, তাতে যে সর্বভারতীয় ফুটবল সংস্থা চাপে পড়ে গিয়েছে, সন্দেহ নেই। এই পরিস্থিতিতে আবার এক ঝলক টাটকা বাতাস হয়ে উঠেছেন কেউ কেউ। যাঁদের অন্তর্ভুক্তি স্বপ্ন দেখাতে পারে ফুটবল মহলকে। নতুন ফেডারেশন সভাপতি কল্যাণ চৌবের টিমে এমন নতুন মুখ বাংলারই এক কর্তা। যিনি ইস্টবেঙ্গলের (East Bengal) সঙ্গে জড়িয়ে ছিলেন দীর্ঘদিন। সেই দেবরাজ চৌধুরীই (Debraj Choudhury) বাংলা থেকে ফেডারেশনের মার্কেটিং কমিটির নতুন সদস্য।
এক দিন আগের ঘটনা। সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের তরফে একটি অফার লেটার পেলেন। এআইএফএফ তাঁকে মার্কেটিং টিমে চায়। কলকাতা ময়দান হোক কিংবা ভারতীয় ফুটবল, দেবরাজ চৌধুরী অতি পরিচিত মুখ। সেই ২০০৮ সাল থেকে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে ছিলেন। নিজের ব্যবসা সামলেও সময় বের করেছেন ফুটবলের জন্য, ময়দানের জন্য। এ বার ভারতীয় ফুটবলের উন্নতিতে কাজ করার সুযোগ এসেছে দেবরাজের সামনে। বাংলা থেকে তিনিই একমাত্র প্রতিনিধি হিসে যোগ দিচ্ছেন ফেডারেশনের মার্কেটিং টিমে। ভারতীয় ফুটবলে উন্নতিতে মার্কেটিং টিমের একজন সদস্য হিসেবে নিজের ‘গোল’ তুলে ধরেলেন TV9Bangla-কাছে।
নতুন দায়িত্ব প্রসঙ্গে দেবরাজ বলে দিলেন, ‘সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনে এখন সব দিক থেকেই অনেক পরিবর্তন এসেছে। কল্যাণদা (কল্যাণ চৌবে) সভাপতি হয়েছেন, শাজি (শাজি প্রভাকরণ) সচিব হয়েছেন। আরও অনেক কিছু নতুন করে হচ্ছে। বলা যেতে পারে, খোলনলচে পাল্টে গিয়েছে ফেডারেশনের। নতুন করে ভারতীয় ফুটবলকে একটা উচ্চতায় পৌঁছে দেওয়াই যে লক্ষ্য, তা পরিষ্কার। আমাকে মার্কেটিং টিমে যোগ দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। আমি সেই প্রস্তাব গ্রহণ করেছি। এখনও আমাদের মিটিং হয়নি। প্রথম মিটিংয়ের পর হয়তো ভিশনটা বুঝতে পারব। ফেডারেশন আমাদের কাছে কী চাইছে, সেই অনুযায়ী কাজ করব।’
টিম হিসেবে একটা লক্ষ্য নিশ্চয়ই থাকবে। ব্যক্তিগত ভাবে কী ভাবনা দেবরাজের? ‘আমি ফুটবল নিয়েই কাজ করতে ভালোবাসি। ২০০৮ সাল থেকে থেকে ময়দানের সঙ্গে যুক্ত। মার্কেটিং নিয়ে পড়াশোনা করেছি। আমার দেওয়া কোনও পরামর্শ যদি ফেডারেশন এবং ভারতীয় ফুটবলের কাজে লাগে, সবচেয়ে বেশি খুশি হব আমিই। আর একটা বিষয়, ভারতবর্ষে ক্রিকেট নিয়ে যত বেশি আলোচনা হয়, ফুটবল নিয়ে কিন্তু তা হয় না। ফেডারেশন যে ভাবে সব কিছু নতুন করে গোছানোর চেষ্টা করছে, তেমনই মার্কেটিংয়ের ক্ষেত্রে আমার লক্ষ্য থাকবে, আরও কী ভাবে এগিয়ে যাওয়া যায়। আমরা ১৪০ কোটির দেশ। ৪০ শতাংশ মানুষের মধ্যে যদি ফুটবল নিয়ে আলোচনা হয়, তাতেও সংখ্যাটা অনেক। তবে আবারও বলছি, ফেডারেশন আমাদের থেকে কী চাইছে, সেটা জানা সবচেয়ে জরুরি। চেয়ারম্যান যিনি থাকবেন, তিনিও নিশ্চয়ই কোনও পরিকল্পনা রাখবেন। যেমন পরিকল্পনা হবে, সেভাবেই কাজ করব। আসল হল, যে ভাবনাই নেওয়া হোক না কেন, মার্কেটিং টিম হিসেবে সেটাকে কার্যকর করাটাই হবে আমাদের লক্ষ্য।’
এতদিন ময়দান তাঁকে চিনত লাল-হলুদের দেবরাজ বলে। এ বার সেই তিনিই ভারতীয় ফুটবলের সামগ্রিক চেহারাটা বদলানোর মহাযজ্ঞে নেমে পড়বেন। দেবরাজ এবং তাঁর মার্কেটিং যদি সফল হয়, ভারতীয় ফুটবলের সাদা-কালো ছবিটা রঙিন হয়ে যাবে।