India W vs Sri Lanka W: ম্যাচের সেরা জেমিমা রডরিগজ বলেন, ‘মাঠে ফেরার জন্য মুখিয়ে ছিলাম। ছয় সপ্তাহ ব্যাট ছুঁতে পারিনি। পরিবার, কোচ, সাপোর্ট স্টাফরা আমাকে দ্রুত সেরে উঠতে সাহায্য করেছে। বাংলাদেশের পিচ স্লো এবং লো বাউন্স থাকবে এমনটাই প্রত্যাশিত। সেই পরিস্থিতির কথা ভেবেই প্রস্তুতি নিয়েছি।’
Image Credit source: TWITTER
সিলেট : আগামী বছর মেয়েদের টি ২০ বিশ্বকাপ। তার প্রস্তুতি শুরু করে দিল হরমনপ্রীত কৌরের নেতৃত্বাধীন ভারতীয় দল। শ্রীলঙ্কার (INDWvsSLW) বিরুদ্ধে ৪১ রানের বড় জয়ে এশিয়া কাপ (Women’s Asia Cup) অভিযান শুরু করল ভারতীয় মহিলা দল। দেড় মাস কম সময় নয়। কমনওয়েলথ গেমসে ভালো খেলেছিলেন জেমিমা। এরপর ইংল্যান্ডের দ্য হান্ড্রেড টুর্নামেন্ট খেলার সময় চোট পান জেমিমা। ইংল্যান্ড সফরে খেলতে পারেননি। চোটের জন্য এত দিন মাঠের বাইরে ছিলেন ভারতের মিডল অর্ডার ব্যাটার জেমিমা রডরিগজ (Jemimah Rodrigues)। এশিয়া কাপে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে প্রত্যাবর্তনেই অনবদ্য ইনিংস। জিতে নিলেন ম্যাচের সেরার পুরস্কারও। জেমিমার ইনিংসের পাশাপাশি বোলিংয়ে ভারতের জয়ে বড় ভূমিকা নিলেন দায়ালন হেমলতা এবং দীপ্তি শর্মা।
টসে জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় শ্রীলঙ্কা। ভারতের শুরু একেবারেই ভালো হয়নি। শেফালি ভার্মার অফ ফর্ম কাটল না। স্মৃতিও ফিরলেন দ্রুতই। মাত্র ২৩ রানে দুই ওপেনারকে হারায় ভারত। শেফালি (১০)। স্মৃতি করেন ৬ রান। ভারতকে ম্যাচে ফেরায় জেমিমা-হরমনপ্রীত জুটি। এক দিক থেকে জেমিমা বিধ্বংসী ব্যাটিং করেন। হরমনপ্রীত ইনিংস অ্যাঙ্কর করেন। একটা সময় মনে হয়েছিল জেমিমা শতরানেও পৌঁছতে পারেন। তবে অনেকটা নীচু হওয়া বলে বোল্ড হন জেমিমা। মাত্র ৫৩ বলে ৭৬ রানের প্রত্যাবর্তনের ইনিংস জেমিমার। ১১টি বাউন্ডারি এবং ১টি ওভার বাউন্ডারি মেরেছেন জেমিমা। হরমনপ্রীত ৩০ বলে ৩৩ রান করেন। লোয়ার অর্ডার অবশ্য বড় অবদান রাখতে ব্যর্থ। ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৫০ করে ভারত।
উপমহাদেশীয় পিচে এই রানও কম নয়। রান তাড়ায় নেমে টের পেল শ্রীলঙ্কা। তার উপর ভারতের অনবদ্য ফিল্ডিং। চতুর্থ ওভারে অধিনায়ক চামারি আতাপাত্তুকে ফেরান রেনুকা সিং। দীপ্তি শর্মার সরাসরি থ্রোয়ে রান আউট তিনে নামা মালশা শেহানি। শ্রীলঙ্কাকে কিছুটা ভরসা দেন হর্ষিতা সমরবিক্রম (২৬) এবং হাসিনি পেরেরা (৩০)। ভারতের স্পিনাররা নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট নিতে থাকেন। দীপ্তি শর্মা ৪ ওভারে মাত্র ১৫ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন। রাধা যাদব ১ উইকেট নিলেন ৩ ওভারে দেন মাত্র ১৫ রান। হেমলতা ১৪ বলে ১৫ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন। ম্যাচের সেরা জেমিমা রডরিগজ বলেন, ‘মাঠে ফেরার জন্য মুখিয়ে ছিলাম। ছয় সপ্তাহ ব্যাট ছুঁতে পারিনি। পরিবার, কোচ, সাপোর্ট স্টাফরা আমাকে দ্রুত সেরে উঠতে সাহায্য করেছে। বাংলাদেশের পিচ স্লো এবং লো বাউন্স থাকবে এমনটাই প্রত্যাশিত। সেই পরিস্থিতির কথা ভেবেই প্রস্তুতি নিয়েছি।’