বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার হয়ে এত দিন সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলার রেকর্ড ছিল দিয়েগো মারাদোনার। তাঁকে টপকে গিয়েছেন মেসি।
Image Credit source: Twitter
দোহা: পেনাল্টি মিস করেছেন তিনি। তা দিলেও আরও দুটো গোল করতে পারতেন। পোল্যান্ডের বিরুদ্ধে হ্যাটট্রিক মিস করলেও লিওনেল মেসি (Lionel Messi) দুরন্ত পারফর্ম করেছেন। তাঁকে আটকাতে গিয়েই কার্যত সব অঙ্ক ঘেঁটে গিয়েছে লেওয়ানডস্কিদের। দি মারিয়া, আলেক্সিস অ্যালিস্টার, জুলিয়ান আলভেরাসরা আরও ফ্রি খেলার সুযোগ পেয়েছেন। পোল্যান্ডকে ২-০ হারিয়ে শেষ ষোলো নিশ্চিত করেছেন আর্জেন্টিনা (Argentina)। সৌদি আরবের কাছে প্রথম ম্যাচ হেরেও মেসিদের দুরন্ত প্রত্যাবর্তন দেখে উচ্ছ্বসিত ফুটবল বিশ্ব। কাতারেই (Qatar World Cup 2022) শেষ বিশ্বকাপ খেলবেন মেসি। এই বিশ্বকাপটা জিতে স্বপ্নপূরণ করতে চান এলএম টেন। নক আউটে পা দেওয়ার পর মেসি কী কী বললেন, তুলে ধরল TV9 Bangla।
বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার হয়ে এত দিন সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলার রেকর্ড ছিল দিয়েগো মারাদোনার। তাঁকে টপকে গিয়েছেন মেসি। বিশ্বকাপে ২২টা ম্যাচ খেলে ফেলেছেন তিনি। এই প্রথম কোনও বিশ্বকাপে মারাদোনা নেই। কিন্তু তিনি গ্যালারিতে সমর্থকদের মনে ঠিক রয়েছেন। মেসি বলছেন, ‘মারাদোনার বিশ্বকাপে খেলা ম্যাচের সংখ্যা যে আমি টপকে গিয়েছি, আগে জানতাম না। ওঁর রেকর্ড ভাঙা সব সময় তৃপ্তির। আমার মনে হয়, আজ যদি মারাদোনা থাকতেন, আর্জেন্টিনাকে শেষ ষোলোয় যেতে দেখে খুশি হতেন খুব। আমার জন্যও খুব খুশি হতেন। উনি বরাবরই আমার প্রতি বাড়তি স্নেহ দেখিয়েছেন। আমি যখন ভালো কিছু করেছি, উনি উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন ঠিক।’
মেসির পেনাল্টি মিস করা কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না ভক্তরা। কেরিয়ারে ৩৯তম পেনাল্টি মিস করেছেন তিনি। মেসি অবশ্য নিজের ব্যর্থতাকে খুব বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন না। টিমের পারফরম্যান্সে দারুণ খুশি। ‘প্রথম লক্ষ্য যেটা সামনে রেখে এগিয়েছিলাম আমরা, সেটা ছুঁতে পেরেছি। প্রথম ম্যাচে হারের পরও যে ভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছি, সেটা কৃতিত্বের। পেনাল্টি মিস করলে আমার খারাপ লাগে। হতাশ হই। কারণ একটা গোল পুরো ম্যাচ বদলে দিতে পারে। কিন্তু আমি পেনাল্টি মিস করার পরও কিন্তু টিম দারুণ ভাবে পারফর্ম করেছে।’
কেরিয়ারে বিশ্বকাপ জেতাটাই একমাত্র লক্ষ্য মেসির। খুব কাছে পৌঁছেও শেষ পর্যন্ত সেই স্বপ্নপূরণ হয়নি। কাতারে ধীরে ধীরে সেই লক্ষ্যের দিকে এগোতে চান। তাঁর কথায়, ‘প্রথম গোলটা পেয়ে যাওয়ার পর ম্যাচটা আমাদের নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছিল। বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচ থেকে এটাই করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু পারিনি। সেটাই পোল্যান্ডের বিরুদ্ধে করে দেখাতে পেরেছি। এই জয়টা নিশ্চিত ভাবেই আমাদের বাড়তি আত্মবিশ্বাস দিয়ে যাবে।’
আগামী রবিবার অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে প্রি-কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচ আর্জেন্টিনার। নক আউটের সব ম্যাচই যে কঠিন হবে, ভালো করেই জানেন মেসি। বলেও দিচ্ছেন, ‘নক আউটে কিন্তু সব ম্যাচই কঠিন। যেই প্রতিপক্ষ হোক না কেন, কঠিন লড়াইয়ের মুখেই পড়তে হবে। সম্প্রতি কিন্তু আমাদের এমন অভিজ্ঞতা হয়েছে। যে কোনও টিমই যে কোনও দিন দারুণ ফুটবল খেলে দিতে পারে।’