সৌদি আরবের কাছে হেরে যে টিম তীব্র আতঙ্কে ভুগছিল, সেই নীল-সাদা জার্সিই এখন দুরন্ত খেলছে। একঝাঁক তরুণ ফুটবলার যেন মেসির বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্নে বিভোর। আলেক্সিস তাঁদেরই একজন।
Image Credit source: Twitter
দোহা: তাঁর ফ্লিক গোলটা এখন চর্চার বিষয় কাতার বিশ্বকাপের (Qatar World Cup 2022)। পোলিশ কিপার ওয়েচেক সেজনি অপ্রতিরোধ্য তখন। একের পর এক গোল সেভ করে দিচ্ছেন। পোল্যান্ডের অর্ধে খেললেও কোনও ভাবেই গোল তুলতে পারছে না আর্জেন্টিনা। বিরতির ঠিক পরেই হঠাৎই ছবি পাল্টে দিলেন ২৩ বছরের এক ফুটবলার। আলেক্সিস ম্যাক আলিস্টার (Alexis Mac Allister)। ফ্লিকে ১-০ করে দেন। তার পর আর লেওয়ানডস্কিরা থামাতে পারেননি লিও মেসির টিমকে। সৌদি আরবের কাছে হেরে যে টিম তীব্র আতঙ্কে ভুগছিল, সেই নীল-সাদা জার্সিই এখন দুরন্ত খেলছে। একঝাঁক তরুণ ফুটবলার যেন মেসির বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্নে বিভোর। আলেক্সিস তাঁদেরই একজন। সান্ত্রা রোসার ছেলে কী বলছেন? তুলে ধরল TV9 Bangla।
আর্জেন্টিনোস জুনিয়র থেকে উত্থান আলেক্সিসের। যুব টিম থেকেই পা রাখেন মারাদোনার ক্লাব বোকা জুনিয়র্সে। সেখান থেকেই প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব ব্রাইটনে যোগ দিয়েছেন ২০১৯ সালে। চলতি মরসুমে ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড, ওয়েস্টহ্যাম, ফুলহ্যামের মতো টিমকে ব্রাইটন হারিয়েছে। ইপিএলের টিমের চমৎকার খেলার পিছনে এই তরুণ সেন্ট্রাল মিডফিল্ডার। এই মরসুমে মোট পাঁচটা গোল করেছেন, যার তিনটেই এসেছে পেনাল্টি থেকে। এখনই অনেক পরিণত। বিশ্বকাপে ভরসাও দিচ্ছেন টিমকে। আলেক্সি, জুলিয়ান আলভারাস, এনজো ফের্নান্ডেজরাই পরবর্তী প্রজন্ম আর্জেন্টিনার।
এই আলেক্সিস কিন্তু বলে দিচ্ছেন, সৌদির কাছে হারের পর রীতিমতো আতঙ্কের মধ্যে পড়ে গিয়েছিল আর্জেন্টিনা। বিশ্বকাপ যাত্রা যে ব্যাপক ধাক্কা খেয়েছিল, সন্দেহ নেই। সেখান থেকে কী ভাবে ঘুরে দাঁড়ানো যায়, রাস্তা খোঁজার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছিল লিওনেল স্কালোনির টিম। পোল্যান্ডকে হারানোর পর আলেক্সিস বলেছেন, ‘ওই হারে যে ক্ষত তৈরি হয়েছিল, যে কোনও ভাবে সেটা পূরণ করার জন্য মরিয়া ছিলাম আমরা। যে কারণে মেক্সিকোর বিরুদ্ধে দ্বিতীয় ম্যাচে সেরাটা দিতে ঝাঁপিয়েছিলাম।’
পোল্যান্ডের বিরুদ্ধে ম্যাচে সেরা হয়েছেন আলেক্সিস। আর্জেন্টিনার হয়ে কেরিয়ারের প্রথম গোলও পেয়েছেন। ২৩ বছরের ফুটবলার বলছেন, ‘আমরা একটা দুরন্ত টিম গেম খেলেছি। গ্রুপের সেরা ম্যাচও বলতে পারেন। এই জয়টা নিশ্চিত ভাবেই পুরো টিমকে ভরপুর আত্মবিশ্বাস দিয়েছে। এতে ভর করেই আগামী ম্যাচগুলোতেও আমরা ভালো খেলব। দেশের হয়ে প্রথম গোলটা করে আমি আবেগতাড়িত হয়ে পড়েছিলাম। ওটা টিমেরও প্রথম গোল ছিল। আমার এত দিনের স্বপ্নপূরণ হল। আর্জেন্টিনার হয়ে খেলাটাই বিরাট গর্বের। ‘
মেসি পেনাল্টি মিস করার পরও চাপে পড়েনি আর্জেন্টিনা। আলেক্সিসের কথায়, ‘যাই ঘটুক না কেন, পজিটিভ থাকব, ঠিক করেই আমরা মাঠে নেমেছিলাম। যে কারণে লিওর পেনাল্টি মিসের জন্য আমরা হতাশ হইনি।’