Robert Lewandowski: আমি জানতাম লরিস পেনাল্টিটা বাঁচিয়ে দেবে…


Hugo Lloris: লেওয়ানডস্কির এমন মন্তব্য শুনে অবাক হয়েছেন সকলে। তবে তিনি আরও বললেন, “তবে শেষমেশ আমি স্কোর করেছি। আমার মনে হয় গোলটা আমারই প্রাপ্য ছিল। আমার এবং আমার দলের, উভয়েরই। কারণ আমরা চেষ্টা করেছি।”

Image Credit source: twitter

দোহা: রবিবার আল থুমামা স্টেডিয়ামে রাউন্ড অব সিক্সটিন ম্যাচে ফের দেখা গেল ফরাসি তাণ্ডব। এর আগে আন্তর্জাতিক মঞ্চে দুই টিমের দেখা হয়েছে ১৬ বার। তার মধ্যে ৩টি ম্যাচে জয় হয়েছে পোল্যান্ডের (Poland)। ড্র হয়েছে ৫টি ম্যাচ। ৮টি ম্যাচ জিতেছে ফ্রান্স (France)। রবিবার ৩-১ গোলে জিতে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে পড়ল ফ্রান্স। পোল্যান্ডের একটা গোল এসেছে লেওয়ানডস্কির পেনাল্টি থেকে। তবে প্রথম সুযোগে গোল করতে পারেননি তিনি। লেওয়ানডস্কির প্রথম কিকটা থামিয়েছিলেন ফ্রান্সের গোলকিপার হুগো লরিস। তবে মুহূর্তের মধ্যে তা বাতিল করেন ভেনেজুয়েলার রেফারি জিসাস ভেনেজুয়েলা। তাঁর নির্দেশ আর একবার পেনাল্টি কিক নেওয়ার। দ্বিতীয়বার পেনাল্টি কিকে গোল করেন পোল্যান্ড অধিনায়ক রবার্ট লেওয়ানডস্কি (Robert Lewandowski)

প্রথমবার কিক নেওয়ার আগে পোলিশ অধিনায়ক ৩ বার লাফ দিয়ে বলের দিকে এগিয়ে যান। সঙ্গে সঙ্গে বাতিল করা হয় পেনাল্টি। নির্দেশ দেন আবার শুট করার। বাতিল করার পর রিপ্লে দেখা হয়। বোঝা যায় যে একাধিক ফ্রেঞ্চ খেলোয়াড় এগিয়ে অনেকটা এগিয়ে এসেছিলেন লেওয়ানডস্কি পেনাল্টি কিক নেওয়ার আগেই। দেখা গিয়েছিল গোলকিপার লরিসও এগিয়ে এসেছিলেন কয়েক পা।

পেনাল্টিতে গোল না করতে পেরে যথেষ্ট বিব্রত হয়েছিলেন লেওয়ানডস্কি। তবে সেটা বাতিল হওয়ার পিছনে কারণ ছিল। তিনি বলে কিক করার আগেই বাকি খেলোয়াড়রা অনেকটা ঢুকে এসেছিলেন পেনাল্টি বক্স এরিয়ায়। তা ছাড়া ফরাসি গোলকিপার হুগো লরিস গোল লাইন ছেড়ে বেরিয়ে এসেছিলেন অনেকটাই। তাই পেনাল্টি বাতিল করেন রেফারি জিসাস ভেনেজুয়েলা। সুযোগ দেন দ্বিতীয়বার পেনাল্টি শুট করার।

বক্সে দ্বিতীয়বার বল সাজানো হলে শুট করার জন্য প্রস্তুত হন রবার্ট। রেফারির বাঁশি বাজার সঙ্গে সঙ্গে কিক নেন লেওয়ানডস্কি। এ বার আর ঠেকানো যায়নি তাঁকে। লরিসের ডাইভ যে দিকে ছিল লেওয়ানডস্কিও কিক নেন সেই দিকে। চোখের পলক পড়তে না পড়তেই জালে জড়িয়ে গেল বল। তবে লেওয়ানডস্কি চমকে দিলেন ম্যাচের শেষে। বললেন, তিনি জানতেন লরিস তাঁর প্রথম শট আটকে দেবেন। বললেন, “আমি ঠিক করে কিক করিনি। আমি আগে থেকেই জানতাম, লরিস পেনাল্টিটা সেভ করে দেবে।” লেওয়ানডস্কির এমন মন্তব্য শুনে অবাক হয়েছেন সকলে। তবে তিনি আরও বললেন, “তবে শেষমেশ আমি স্কোর করেছি। আমার মনে হয় গোলটা আমারই প্রাপ্য ছিল। আমার এবং আমার দলের, উভয়েরই। কারণ আমরা চেষ্টা করেছি।” বিপক্ষ দলের প্রতি সম্মান দেখিয়ে তিনি বলেছেন যে গত বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়নদের বিরুদ্ধে ম্যাচটা বেশ কঠিন ছিল।

৩৪ বছরের রবার্ট লেওয়ানডস্কি জাতীয় দলের হয়ে আর খেলবেন কিনা, তা নিয়ে যথেষ্ট দ্বিধায় আছেন। তিনি এই বিষয়ে বলেছেন, “খেলা উপভোগ করা খুবই জরুরী। ভবিষ্যতের জন্য এটা জরুরী। ডিফেন্সিভ খেলায় তেমন মজা নেই। যখন আমরা অ্যাটাকিং খেলি, বিষয়টা অন্যরকম হয়। অনেক বেশি উপভোগ করি। দলের কিছু বিষয়ই ঠিক করবে ভবিষ্যতে আমি পোল্যান্ডের হয়ে খেলব কি না। ” পোল্যান্ডের হয়ে লেওয়ান্ডস্কির মোট ৭৮টি গোল আছে। বিশ্বের ফুটবল ইতিহাসে তিনি অষ্টম সর্বোচ্চ স্কোরার। ছাপিয়ে গেছেন ব্রাজিলিয়ান মহাতারকা পেলে কেও।

Leave a Reply