হ্যাটট্রিকে ‘এই রাত’ ব়্যামোসের, শেষ আটে পর্তুগাল


FIFA World Cup Match Report, PORTUGAL vs SWITZERLAND : তবে এই রাত ব়্যামোসের। এ বারের বিশ্বকাপের প্রথম হ্যাটট্রিক এল তাঁর পা থেকেই। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই দ্বিতীয় গোল। ম্যাচের ৬৭ মিনিটে হ্যাটট্রিক সম্পূর্ণ করেন ব়্যামোস। প্রথম একাদেশে প্রথম সুযোগেই বিশ্বকাপে হ্যাটট্রিক! ২০০৬ বিশ্বকাপে মিরোস্লাভ ক্লোজের পর এই নজির গড়লেন ব়্যামোস। আর রোনাল্ডো?

Image Credit source: twitter

দোহা : কোন বিষয়টা নিয়ে বেশি ভাবা উচিত! রোনাল্ডো নাকি তাঁর পরিবর্তে প্রথম একাদশে জায়গা পাওয়া গন্সালো ব়্যামোস! এ বারের বিশ্বকাপে খুব কম দলই স্বস্তি নিয়ে বিরতিতে যেতে পেরেছে। পর্তুগাল তাদেরই এক দল। শেষ ষোলোর ম্যাচে সুইৎজারল্যান্ডের বিরুদ্ধে ২-০ এগিয়ে বিরতিতে গেল পর্তুগাল। তাও আবার ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোকে ছাড়াই! দলের প্রথম গোল এক তরুণ ফুটবলারের। রোনাল্ডোর পরিবর্তে যাকে প্রথম একাদশে নেওয়া হয়েছিল, গন্সালো ব়্যামোস। দ্বিতীয় গোল, দলের সবচেয়ে বেশি বয়সি ফুটবলার পেপের। অভিজ্ঞতা এবং তারুণ্যের মিশেল। তারকা ছাড়াও ভালো পারফরম্যান্স করা যায়, তারও যেন একটা উদাহরণ। রোনাল্ডোকে প্রথম একাদশে রাখা নিয়ে ধোঁয়াশা ছিলই। ম্যাচ প্রিভিউতেও লেখা হয়েছিল। শেষ অবধি সেটাই হল। তাঁকে ছাড়াই প্রথম একাদশ গড়লেন পর্তুগাল কোচ ফার্নান্দো স্যান্টোস। ম্যাচের বিস্তারিত রিপোর্ট TV9Bangla-য়।

ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোকে ছাড়া প্রথম একাদশ! কল্পনা করা কঠিন। সাম্প্রতিক পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে অবাক করার মতো নয়। ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডে তাঁকে নিয়ে অস্বস্তি ছিলই। রিজার্ভবেঞ্চেই মূলত কাটাতে হয়েছে। তাঁর আচরণ নিয়েও প্রশ্ন উঠেছিল। এ বার দেশের হয়েও একই পরিস্থিতিতে। দক্ষিণ কোরিয়ার বিরুদ্ধে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে ৬৫ মিনিটে তাঁকে তুলে নিতেই ক্ষোভ দেখান। তাঁর আচরণে অসন্তুষ্ট হয়েছিলেন কোচ। গ্রুপ পর্বে মাত্র ১ গোল। তাও পেনাল্টি থেকে। ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড বিতর্কের পর জাতীয় দলের সতীর্থদের মাঝেও যেন জায়গা হারাচ্ছিলেন। তবে ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো এমনই একজন, যে কোনও পরিস্থিতি, মুহূর্তেই তিনি নায়ক।

পর্তুগাল ৬ (ব়্যামোস ১৭’, ৫১’, ৬৭’, পেপে ৩৩’, গোরেরো ৫৫’, লিয়াও ৯০+২’)

সুইৎজারল্যান্ড ১ (আকাঞ্জি ৫৮’)

সুইৎজারল্যান্ড ম্যাচে অবশ্য রোনাল্ডোর চেয়ে বেশি শব্দ খরচ করতে হবে গন্সালো ব়্যামোসকে নিয়েই। কাতার বিশ্বকাপের প্রথম হ্যাটট্রিক এল তাঁর নামেই। প্রথম বার শুরু থেকে শুরু করলেন। তাও আবার রোনাল্ডোর জায়গায়। পারফরম্যান্সের বাড়তি চাপ ছিলই। সেটাই যেন আত্মবিশ্বাস হয়ে ঝরে পড়ল। ম্যাচের ১৭ মিনিটে দলকে এগিয়ে দিলেন গন্সালো ব়্যামোস। এমন একটা পজিশন থেকে গোল করলেন, অবিশ্বাস্য। বক্সের বাঁ-দিকে ব়্যামোস। সুইৎজারল্যান্ড গোলকিপার অ্যাঙ্গল ছোটো করে দিয়েছেন। সেখানেই শট নিলেন এবং গোলকিপারের মাথার উপর দিলে বল জালে জড়ালেন ব়্যামোস। দলের ব্যবধান বাড়ান পেপে। ম্যাচের ৩৩ মিনিটে ব্রুনো ফার্নান্ডেজের কর্নার থেকে হেডে গোল। বিশ্বকাপের নকআউট পর্বে সবচেয়ে বেশি বয়সে গোলের নজির গড়লেন পেপে। তবে এই রাত ব়্যামোসের। এ বারের বিশ্বকাপের প্রথম হ্যাটট্রিক এল তাঁর পা থেকেই। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই দ্বিতীয় গোল। ম্যাচের ৬৭ মিনিটে হ্যাটট্রিক সম্পূর্ণ করেন ব়্যামোস। প্রথম একাদেশে প্রথম সুযোগেই বিশ্বকাপে হ্যাটট্রিক! ২০০৬ বিশ্বকাপে মিরোস্লাভ ক্লোজের পর এই নজির গড়লেন ব়্যামোস। আর রোনাল্ডো?

ম্যাচের ৭৩ মিনিটে পরিবর্ত হিসেবে নামানো হল রোনাল্ডোকে। একটি ফ্রি-কিক প্রতিপক্ষের ওয়ালে আটকে গেল, একটি গোল-তবে তিনিও জানতেন অফসাইড, আর একটা গোলের হাফচান্স। ৬-১’র বড় ব্যবধানে জিতে শেষ আট নিশ্চিত করল পর্তুগাল। ২০০৬-র পর ফের এক বার কোয়ার্টার ফাইনালে। শেষ আটে পর্তুগালের প্রতিপক্ষ মরক্কো।

Leave a Reply