সিরিজ হার, চোট নিয়ে অস্বস্তিতে টিম ইন্ডিয়া


INDIA vs BANGLADESH: গত ম্যাচে অক্ষর, এই ম্যাচে কুলদীপ। তৃতীয় ম্যাচে তিনজন বাইরে। এখনও সামনে টেস্ট সিরিজ রয়েছে। শিবিরে এত চোট থাকলে, রাস্তা কঠিন হবে সন্দেহ নেই। বিশ্বকাপেও এর ফল ভুগতে হয়েছে। শেষ মুহূর্তে ছিঁটকে গিয়েছিলেন জসপ্রীত বুমরা। ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্ট আদৌ কতটা হচ্ছে, বোঝা কঠিন।

Image Credit source: twitter

মিরপুর : বাংলাদেশের মাটিতে টানা দুটি ওয়ান ডে সিরিজ হার। ২০১৫ সালে মহেন্দ্র সিং ধোনির নেতৃত্বে। এ বার রোহিত শর্মা। প্রথম ওয়ান ডে-তে রুদ্ধশ্বাস পরিস্থিতিতে ম্যাচ নিয়েও ১ উইকেটে হেরেছিল ভারত। শেষ উইকেট জুটিতে ৫১ রান যোগ করেছিলেন মেহদি হাসান মিরাজ ও মুস্তাফিজুর রহমান। দ্বিতীয় ওয়ান ডে-তে মাত্র ৫ রানে হার ভারতের। সিরিজ হারের চেয়েও ভারতীয় শিবিরে অস্বস্তি চোটের ‘সিরিজে’। দ্বিতীয় ওয়ান ডে-তে ফিল্ডিংয়ের সময় হাতে চোট পান রোহিত শর্মা। এ দিন সেকেন্ড স্লিপে ফিল্ডিংয়ের সময় হাতে গুরুতর চোট পান অধিনায়ক রোহিত। তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়। ফিরে এসে ব্যাটিংও করেন। কার্যত এক হাতেই ব্যাটিং করতে হয়। দলকে জয়ের দোরগোড়ায় নিলেও সীমানা পেরোতে পারলেন না। তৃতীয় একদিনের ম্যাচ থেকে ছিটকে গিয়েছেন আরও দু-জন। বিস্তারিত TV9Bangla-য়।

ক্রিকেটারদের ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্ট নিয়ে কাজ করছে ভারতীয় বোর্ড। প্রতি সিরিজেই কাউকে না কাউকে বিশ্রাম দেওয়া হচ্ছে। বিশ্বকাপের পর নিউজিল্যান্ড সফরে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছিল রোহিত, বিরাট, লোকেশ রাহুলদের। বাংলাদেশ সফরে ফিরেছেন তারা। প্রথম একদিনের ম্যাচের আগেই চোটে ছিটকে গিয়েছেন ঋষভ পন্থ। তাঁকে টেস্ট সিরিজে পাওয়া যাবে, এমনটাই জানানো হয়েছে বোর্ডের তরফে। প্রথম ম্যাচে সামি, অক্ষর প্যাটেলদেরও পাওয়া যায়নি। অক্ষর দ্বিতীয় ওডিআইতে খেললেন। তৃতীয় ওয়ান ডে থেকে ছিঁটকে গিয়েছেন রোহিত, দীপক চাহার, কুলদীপ সেন। জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে প্লেয়ারদের রিহ্যাব প্রোগ্রামে কি কোনও সমস্যা হচ্ছে? নাকি আধা ফিট প্লেয়াররাও সুযোগ পাচ্ছেন! চোটের সিরিজ নিয়ে বিরক্ত অধিনায়ক রোহিত শর্মা। বলছেন, ‘এর কারণ গভীরে গিয়ে খুঁজতে হবে। আমিও জানি না ঠিক কী হচ্ছে। হয়তো ওরা অতিরিক্ত ক্রিকেট খেলছে। এই দিকটায় আমাদের নজর দিতে হবে। একটা বিষয় বুঝতে হবে, দেশের হয়ে খেলার সময় ১০০ শতাংশের বেশি দিতে হবে।’গত ম্যাচে অক্ষর, এই ম্যাচে কুলদীপ। তৃতীয় ম্যাচে তিনজন বাইরে। এখনও সামনে টেস্ট সিরিজ রয়েছে। শিবিরে এত চোট থাকলে, রাস্তা কঠিন হবে সন্দেহ নেই। বিশ্বকাপেও এর ফল ভুগতে হয়েছে। শেষ মুহূর্তে ছিঁটকে গিয়েছিলেন জসপ্রীত বুমরা। ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্ট আদৌ কতটা হচ্ছে, বোঝা কঠিন।

প্রথম ম্যাচে ব্য়াটিং ব্য়র্থতা। মাত্র ১৮৬ রানে অলআউট হয়েছিল ভারত। বোলারদের সৌজন্যে তবু জয়ের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। শেষ উইকেটে মেহদি হাসান অনবদ্য জুটি না গড়লে হয়তো বাংলাদেশ জিততে পারতো না। দ্বিতীয় ম্যাচে হারের কারণ খুঁজে পাওয়া কঠিন। প্রথমে ব্যাট করে ভারতকে ২৭২ রানের বড় টার্গেট দেয় বাংলাদেশ। মাত্র ৬৯ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে শেষ অবধি ৫০ ওভারে ৭ উইকেটে ২৭১ রান করে বাংলাদেশ। মাহমুদুল্লা ৭৭ রান করেন। পার্থক্য গড়ে দেন মিরাজই। মাত্র ৮৩ বলে ১০০ রানের অপরাজিত ইনিংস। ভারতীয় ইনিংস হোঁচট খায় রোহিতের চোটে। তাঁকে ব্যাট হাতে নামতে না হলেই ভালো হত। ওপেন করতে না পারায় ধাওয়ানের সঙ্গে নামেন বিরাট কোহলি। ২০১৪ সালে শেষ বার ওয়ান ডে-তে ওপেন করেছিলেন বিরাট। বোর্ডে ২৭২ রানের বিশাল লক্ষ্য। ভালো শুরু দিতে ব্যর্থ বিরাট-ধাওয়ান। দ্বিতীয় ওভারেই প্লেড অন বিরাট। মুস্তাফিজুরের বাড়তি বাউন্সে খেই হারালেন ধাওয়ান। শ্রেয়স আইয়ার ৮২ রানের ইনিংস খেলেন। অক্ষর প্যাটেল ৫৬ রান। ৯ নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামতে বাধ্য হলেন রোহিত। সঙ্গীর অভাবে তিনিও ম্যাচ জেতাতে পারলেন না। মাত্র ২৮ বলে ৫১ রানের অপরাজিত ইনিংস অধিনায়কের। সিরিজ হারের চেয়েও অস্বস্তির হয়ে দাঁড়িয়েছে শিবিরে একাধিক চোট।

Leave a Reply