চলতি বিশ্বকাপে একদিকে নতুন রেকর্ড যেমন গড়ে চলেছেন মেসি, তেমনই পুরনো রেকর্ড ভাঙছেনও এলএম টেন।
Lionel Messi: মনে পড়ে কাতালান ক্লাবে কীভাবে হয়েছিল লিও মেসির প্রথম চুক্তির সই?
দোহা: ফুটবল মাঠে প্রত্যেক ফুটবলারের নির্দিষ্ট ভূমিকা থাকে। কেউ গোল করার দায়িত্বে থাকেন, তো কেউ বা গোল আটকানোর। কিংবা কেউ গোল তৈরি করার দায়িত্ব পান। ফুটবল ইতিহাসে খুব অল্প কিছু ফুটবলারই রয়েছেন, যারা মাঠের মধ্যে বিভিন্ন ভূমিকায় নিজেকে মানিয়ে নিতে পারতেন। এই ফুটবলারদের তালিকায় যে নামটা না করলেই নয়, তিনি হলেন লিওনেল মেসি (Lionel Messi)। ৩৫-এর মেসি আজও ঠিক ততটাই চনমনে, যেমনটা ছিলেন আর্জেন্টিনার (Argentina) জার্সি গায়ে চাপিয়ে প্রথম ম্যাচে খেলার সময়। কিংবা বার্সার (Barcelona) জার্সিতে গোলের ফুল ফোটানোর সময়। ফুটবল মহলের মতে, বর্তমানে সম্ভবত বিশ্বের একমাত্র ফুটবলার হলেন মেসি, যিনি দিনের পর দিন একই সঙ্গে গোল করার ও গোল তৈরি করে দেওয়ার ভূমিকা পালন করে চলেছেন। দেশের জার্সিতে যেমন লাইমলাইটে থাকেন আর্জেন্টাইন সুপারস্টার লিওনেল মেসি, বার্সেলোনাতেও তাঁর সোনালি কেরিয়ার তেমন চর্চিত। কীভাবে ২২ বছর আগে বার্সার সঙ্গে মেসির চুক্তিপত্র তৈরি হয়েছিল, তা আজও আলোচনার বিষয়। ফিরে দেখা সেই তথ্য TV9Bangla-র এই প্রতিবেদনে।
২০০০ সালে আর্জেন্টিনার এক খুদে ফুটবলারের খেলা দেখে এতটাই মুগ্ধ হয়েছিলেন তৎকালীন বার্সেলোনার টেকনিক্যাল ডিরেক্টর রেস্যাক, যে অনেকের অমতেই সেই খুদেকে বার্সেলোনায় সই করানোর জেদ ধরে বসেন। সেই সময় কাতালান ক্লাবের সভাপতি একটু দেখেশুনে এগোতে চাইছিলেন। কারণ মাত্র ১৩ বছরের একটা বাচ্চাকে আর্জেন্টিনা থেকে বার্সেলোনায় উড়িয়ে আনার বিষয়ে তিনি সত্যিই আত্মবিশ্বাস পাচ্ছিলেন না। এদিকে টেকনিক্যাল ডিরেক্টরকে তাঁর মত থেকে আটকানো কঠিন। তিনি তো জেদ ধরে বসে আছেন ওই খুদেকে তাঁর চাই ই চাই। এমনকি তিনি সেই সময় বার্সার সভাপতিকে হুমকিও দিয়ে বসেছিলেন, যে ওই খুদেকে বার্সেলোনা না নিলে তিনি তাকে রিয়াল মাদ্রিদে পাঠিয়ে দেবেন। এই খুদে আর কেউ নয়, তিনিই লিও মেসি। যাকে কোটি কোটি ফুটবলপ্রেমী G.O.A.T (গ্রেটেস্ট অব অল টাইম) বলে থাকেন।
টেকনিক্যাল ডিরেক্টর এর ক্রমাগত চাপে শেষ মেশ রাজি হয়ে যান বার্সেলোনার তৎকালীন সভাপতি হুয়াও গাসপার্ট। তাও আবার হলেন তো হলেন রাজি, কোথায়? লাঞ্চ টেবলে। কিন্তু লাঞ্চ টেবিলের সেই বৈঠকে তো আর চুক্তি সই করা সম্ভব নয়। পরে সভাপতির মত পাল্টে যেতেই পারে। এই আশঙ্কায় টেকনিক্যাল ডিরেক্টর রেস্যাক লাঞ্চ টেবিল থেকেই একখানা টিস্যু পেপার তুলে নেন। আর তাতেই লিখে ফেললেন মেসির সঙ্গে বার্সার চুক্তি। দিনটা ছিল ১৪, ডিসেম্বর। আজ ২২ বছর পর মহাতারকা হিসেবে বিশ্বব্যাপী খ্যাতি অর্জন করে ফেলেছেন মেসি। বার্সায় যোগ দেওয়ার বছর চারের মধ্যে আর্জেন্টিনার জাতীয় দলে খেলার সুযোগ পেয়ে যান মেসি। আপাতত কাতার বিশ্বকাপে ব্যস্ত লিও মেসি। বিশ্বকাপের সোনালি ট্রফি দেশে নিয়ে আসার জন্য বাকি রয়েছে মেসিদের ফাইনাল ম্যাচটি। বর্তমানে তিনিই আলবিসেলেস্তেদের হয়ে বিশ্বকাপের মঞ্চে সর্বাধিক গোল স্কোরার। চলতি বিশ্বকাপে একদিকে নতুন রেকর্ড যেমন গড়ে চলেছেন মেসি, তেমনই পুরনো রেকর্ড ভাঙছেনও এলএম টেন।