১৮ ডিসেম্বর লুসেইল স্টেডিয়ামে আর্জেন্টিনার বাধা টপকালেই দ্বিতীয়বার বিশ্বকাপ ঢুকবে আইফেল টাওয়ারের দেশে। চোট পেয়ে ছিটকে যাওয়া লুকাসের জন্যই বিশ্বকাপ জিততে চান ভাই থিও।
Image Credit source: Twitter
দোহা: ফ্রান্সের ডিফেন্ডার লুকাস হার্নান্ডেজ। ফুটবল বিশ্বকাপে (Qatar World Cup 2022) ফ্রান্সের চোটগ্রস্ত ফুটবলারদের তালিকার একটা নাম। কাতারে টুর্নামেন্ট শুরুর আগে থেকে মিনি হাসপাতালে পরিণত হয় ফ্রান্স শিবির। পল পোগবা, এনগালো কান্তে, করিম বেঞ্জেমা…। তালিকাটা দীর্ঘ হয়েছে। সেই ধাক্কা কাটিয়ে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করে ফ্রান্স (France)। ম্যাচটি ৪-১ গোলে বড় ব্যবধানে জিতলেও চোট আতঙ্ক তাড়া করেছিল দিদিয়ের দেশঁর দলকে। ম্যাচের প্রথমার্ধে পায়ে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন লুকাস হার্নান্ডেজ। তাঁর পরিবর্তে সেদিন মাঠে নেমেছিলেন ভাই থিও হার্নান্ডেজ। ম্যাচের পর জানা যায়, পায়ের লিগামেন্ট ছিঁড়ে যাওয়ায় বিশ্বকাপ অভিযান শেষ লুকাসের (Lukas Harnandez)। একজন ফুটবলারকে এমন ঘটনা যন্ত্রণা দেয় বইকি। টানা দ্বিতীয়বার বিশ্বকাপ জয়ের দোরগোড়ায় ফ্রান্স। ১৮ ডিসেম্বর লুসেইল স্টেডিয়ামে আর্জেন্টিনার বাধা টপকালেই দ্বিতীয়বার বিশ্বকাপ ঢুকবে আইফেল টাওয়ারের দেশে। চোট পেয়ে ছিটকে যাওয়া লুকাসের জন্যই বিশ্বকাপ জিততে চান ভাই থিও।
অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সেদিন লুকাসের পরিবর্ত হিসেবে মাঠে নেমেই অবদান রাখেন ভাই থিও। ফ্রান্স তখন ০-১ গোলে পিছিয়ে। থিও হার্নান্ডেজের সেন্টার থেকে অনবদ্য হেডে ম্যাচের ২৭ মিনিটে সমতা ফেরান আদ্রিয়েন ব়্যাবিয়ট। পরে গোটা ম্যাচে দাদার অভাব বুঝতে দেননি। মরক্কোর বিরুদ্ধে বুধবার রাতের সেমিফাইনাল ম্যাচেও অনবদ্য ছিলেন থিও। মাত্র ৪ মিনিট ৩৯ সেকেন্ডে গোল করে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নদের এগিয়ে দেন থিও। একইসঙ্গে রেকর্ডবুকেও নাম লিখিয়ে ফেলেন। ১৯৫৮ সালের পর বিশ্বকাপ সেমিফাইনালের দ্রুততম গোল এটি। দ্বিতীয়ার্ধে আরও একটি গোলের সাহায্যে ২-০ ব্যবধানে সেমিফাইনাল জিতে ফাইনালে পা রেখেছে ফ্রান্স। ফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ আর্জেন্টিনা।
ম্যাচের পর ২৫ বছরের থিও-র দাদার কথা মনে পড়ছে। দু’জনের বয়সের পার্থক্য মাত্র ১ বছরের। থিও বলেন, “ওর (লুকাস) চোট পাওয়া আমাদের সকলের কাছে খারাপ খবর। এটা ওর জন্য একেবারেই সহজ ছিল না। লিগামেন্টের চোট থেকে সেরে উঠতে সময় লাগে। লুকাস কাতার ছাড়ার পর ফোনে রোজ কথা হয়। বিশ্বকাপের প্রতিটি ম্যাচে খেলতে চেয়েছি। লুকাসের জন্যই বিশ্বকাপ জিতে বাড়ি ফিরতে চাই।”