ফাইনালের বল গড়ানোর অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় ফুটবলপ্রেমীরা। মেসির কেরিয়ারের শেষটা কি সোনালি হবে? ৩৬ বছর পর বুয়েনস আইরেসে ঢুকবে বিশ্বকাপ ট্রফি নাকি শেষ হাসি হাসবে ফ্রান্স? জল্পনা অনেক।
Image Credit source: Twitter
দোহা: বিশ্বকাপ সেমিফাইনাল, ডিফেন্ডারের গোল আর দলটির নাম ফ্রান্স (France)। সেই ১৯৭৮ সালে ফ্রান্সের প্রথম বিশ্বকাপ জয় থেকে এই ট্র্যাডিশন চলে আসছে। অতীত ইতিহাস বলছে এই তিনটি সূত্র মিলে গেলেই বিশ্বকাপ ট্রফি ওঠে ফ্রান্সের হাতে। ১৯৭৮ ও ২০১৮ সালের ফ্রান্সের বিশ্বকাপ জয় সেই কথাই বলছে। ১৮ ডিসেম্বর লুসেইল স্টেডিয়ামে কাতার বিশ্বকাপের (Qatar World Cup 2022) ফাইনালের বল গড়ানোর অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় ফুটবলপ্রেমীরা। মেসির কেরিয়ারের শেষটা কি সোনালি হবে? ৩৬ বছর পর বুয়েনস আইরেসে ঢুকবে বিশ্বকাপ ট্রফি নাকি শেষ হাসি হাসবে ফ্রান্স? জল্পনা অনেক। উত্তর মিলবে রবি রাতে। তার আগে ফ্রান্স সমর্থকরা অতীত ইতিহাস টেনে ফাইনালে নিজেদের এগিয়ে রাখছে। কী সেই ইতিহাস? জানাবে TV9 Bangla।
গোটা টুর্নামেন্ট জুড়ে ফুটবল সমর্থকদের আচ্ছন্ন করে রেখেছেন কিলিয়ান এমবাপে। ২৩ বছরের ফরাসি স্ট্রাইকারের গোল সংখ্যা ৫। মরক্কোর বিরুদ্ধে সেমিফাইনালে সংখ্যাটা ৫ কিংবা ৬ বা ৭ হয়ে যেতেই পারত। এমবাপে না পারলে অলিভিয়ের জিরো রয়েছেন। নিদেনপক্ষে মরোক্কানদের বিরুদ্ধে ফ্রান্সকে এগিয়ে দিতে পারতেন আতোঁয়া গ্রিজম্যান। কিন্তু হল কই। বরং অতীতের ধারা বজায় রেখে ম্যাচের ৫ মিনিটেই ডিফেন্ডার থিও হার্নান্ডেজের গোলে এগিয়ে যায় ফ্রান্স। এরপর হাজারো চেষ্টাতেও ম্যাচে ফিরতে পারেনি মরক্কো। ফ্রান্সের বিশ্বকাপ ইতিহাস বলছে, ১৯৭৮ ও ২০১৮ সালে ফ্রান্সের বিশ্বকাপ জয়ের বছরগুলিতেও সেমিফাইনালে গোল করেছিলেন ডিফেন্ডাররা। চার বছর আগে বেলজিয়ামের বিরুদ্ধে কর্নার থেকে সেন্টার ব্যাক স্যামুয়েল উমতিতির জোরালো হেড ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। প্রাক্তন বার্সেলোনা ফুটবলারের গোলে রাশিয়া বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠবে ফ্রান্স, দেশটির অতি বড় সমর্থকও ভাবেননি। ফাইনালে ক্রোয়েশিয়াকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়নের খেতাব ওঠে ফরাসিদের মাথায়।
ফ্রান্সের কাছে এমন সারপ্রাইজ নতুন নয়। উমতিতির ২০ বছর এবং থিও হার্নান্ডেজের কীর্তির ২৪ বছর আগে লিলিয়ান থুরাম এই ট্র্যাডিশন শুরু করেছিলেন। ১৯৭৮ সালের বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ক্রোয়েশিয়াকে ২-১ গোলে হারিয়েছিলেন দিদিয়ের দেশঁ, জিনেদিন জিদানরা। ম্যাচে জোড়া গোল করেন লিলিয়ান থুরাম। সে বার প্রথম বিশ্বকাপ জেতে ফ্রান্স। এ বারও ঠিক তাই হয়েছে। অর্থাৎ, সেমিফাইনালে ডিফেন্ডাররা গোল করলেই চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ফ্রান্স। ট্র্যাডিশন কি এ বারও বজায় থাকবে? ইতিহাস ঝুঁকে ফ্রান্সের দিকে। বাকিটা নির্ভর করবে ৯০ মিনিটের লড়াইয়ের উপর।