ফাইনাল ম্যাচ নিয়ে বাড়তি দুশ্চিন্তা করতে চাইছেন না দেশঁ। উল্টে মনোযোগ ধরে রাখায় জোর দিচ্ছেন এমবাপেদের কোচ।
“নেই কোনও দুশ্চিন্তা বা উদ্বেগ”, ঠাণ্ডা মাথায় মহারণের নকশা সাজাতে ব্যস্ত দেশঁ
দোহা: অপেক্ষার আর একটা রাত। কাতার বিশ্বকাপের (FIFA World Cup 2022) ফাইনাল ম্যাচটাই মাত্র বাকি। রাত পোহালেই বিশ্বকাপ ফাইনালের উত্তেজনায় টগ বগ করে ফুটে উঠবে গোটা বিশ্ব। লিওনেল মেসির হাতে উঠুক এ বারের বিশ্বকাপ, এমনটা চাইছেন আপামর আর্জেন্টাইন সমর্থক ও মেসি প্রেমীরা। অন্যদিকে রয়েছে ফ্রান্সের (France) একাধিক সমর্থক। যারা চায়, মেসির কাপ জয়ের স্বপ্ন ভেঙে দিক লেস ব্লুজরা। ব্রাজিলের পর ফ্রান্সের সামনে সুযোগ থাকছে টানা দ্বিতীয় বার বিশ্বকাপ জেতার। যদিও ফ্রান্সের এই জয়ের পথে সব চেয়ে বড় কাঁটা আর্জেন্টিনার (Argentina) অধিনায়ক লিওনেল মেসি। বিশ্বব্যাপী মেসির ভক্তদের এখন একটাই প্রার্থনা, কাপ উঠুক লা পুলগার হাতে। মেসিকে নিয়ে ফ্রান্সের মাথাব্যথা তো রয়েছেই। সঙ্গে বাড়তি দুশ্চিন্তা আছে ফরাসি কোচ দিদিয়ের দেশঁর (Didier Deschamps)। কারণটা ফুটবলারদের চোট ও অসুস্থতা। যদিও দেশঁ জানাচ্ছেন, তিনি চাপে নেই। বরং দুই লিওকে হুংকার দিচ্ছেন তিনি। আর কী বললেন এমবাপেদের কোচ? রইল তথ্য TV9 Bangla-র এই প্রতিবেদনে।
ফ্রান্সের সোনালি সময় কি ধরে রাখতে পারবেন কিলিয়ান এমবাপে? গত ২৪ বছরে লেস ব্লুজরা যত বার ফাইনালে উঠেছে, তত বার ফাইনালে আর কোনও দল ওঠেনি। এ বারের বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার সামনে ফ্রান্স শিবিরের বড় চ্যালেঞ্জ কিলিয়ান এমবাপে। বছর ২৩-এর এই ফুটবলার কেরিয়ারের দ্বিতীয় বিশ্বকাপ জয়ের সামনে দাঁড়িয়ে। অন্যদিকে আর্জেন্টাইন মহাতারকা লিওনেল মেসি ৩৫ বছরেও একটি বিশ্বকাপের স্বাদ পাননি।
ফাইনাল ম্যাচ নিয়ে বাড়তি দুশ্চিন্তা করতে চাইছেন না দেশঁ। উল্টে মনোযোগ ধরে রাখায় জোর দিচ্ছেন এমবাপেদের কোচ। তিনি বলেন, “ম্যাচ নিয়ে আমার বিশেষ কোনও দুশ্চিন্তা বা উদ্বেগ নেই। যখন আপনি এই ধরনের ম্যাচের জন্য প্রস্তুত হবেন, আপনাকে সব সময় মনোযোগ ধরে রাখতে হবে এবং সংযত থাকতে হবে। শান্ত থাকতে হবে।”
দেশঁর মতে, লিও এতটাই জনপ্রিয় যে অনেক ফরাসিও চাইবে মেসির হাতে বিশ্বকাপের সোনালি ট্রফি উঠুক। তিনি বলেন, “আমি জানি আর্জেন্টিনা, বিশ্বব্যাপী অনেক মানুষ এবং কিছু ফরাসিও সম্ভবত এটা প্রার্থনা করছে যে লিওনেল মেসি যেন বিশ্বকাপ জিততে পারে। তবে আমরাও টানা দ্বিতীয় বার বিশ্বকাপ জেতার জন্য সব কিছু চেষ্টা করব।”
ফরাসি শিবিরের কয়েক জন ফুটবলার ক্যামেল ফ্লু-তে আক্রান্ত হয়েছেন। কেউ কেউ আবার সুস্থও হয়ে উঠেছেন। দেশঁ এ ব্যপারে বলেন, “আমরা সর্বোচ্চ পর্যায়ের সতর্কতা অবলম্বন করার চেষ্টা করি। সব কিছুর সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার এবং মোকাবেলা করার চেষ্টা করে থাকি। এটা এমন এক পরিস্থিতি, যা ভালোভাবে আমাদের সামাল দিতে হবে।”