Herve Renard: ফাইনালে আরও একবার আর্জেন্টাইনদের হারের স্বাদ দিতে এ বার কোমর বেঁধে নেমে পড়বে ফরাসিরা। রবিবাসরীয় ফাইনালের আগে ফরাসি শিবিরকে ‘মেসি-বধ’এর টিপস দিলেন হার্ভে রেনার্ড।
Image Credit source: Twitter
দোহা: “তোমরা কি মেসির সঙ্গে ছবি তুলতে এসেছো?” আর্জেন্টিনা বনাম সৌদি আরব ম্যাচের বিরতিতে সাজঘরে দলের সদস্যদের এই কথাগুলোই বলতে শোনা গিয়েছিল। গায়ে জ্বালা ধরানো সেই কথাগুলো শুনে সৌদি আরবের ফুটবলারদের উপর কি ভর করেছিল জানা নেই। ম্যাচের শেষ বাঁশি যখন বাজল, স্কোরলাইন বলছে সৌদি আরব ২-১ আর্জেন্টিনা। যাঁর জ্বালাময়ী ভাষণে অসাধ্য সাধন করার মতো কাতার বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচেই লিওনেল মেসি সমৃদ্ধ আর্জেন্টিনাকে হারিয়ে সৌদি, তিনি হলেন দলটির কোচ হার্ভে রেনার্ড। সৌদি কোচের ভাইরাল হওয়া ভিডিয়োর কথা মনে পড়ে? বিশ্বকাপ ফাইনালের আগে বিশ্বব্যপী যেন যুদ্ধ যুদ্ধ আবহ। ফাইনালে আরও একবার আর্জেন্টাইনদের হারের স্বাদ দিতে এ বার কোমর বেঁধে নেমে পড়বে ফরাসিরা। রবিবাসরীয় ফাইনালের আগে ফরাসি শিবিরকে ‘মেসি-বধ’এর টিপস দিলেন হার্ভে রেনার্ড। তিনটি উপায়ে আর্জেন্টাইন মহাতারকাকে আটকানোর পদ্ধতি বাতলেছেন তিনি।
রেনার্ড জন্মসূত্রে ফরাসি। তবে কেরিয়ারে সাফল্য পেয়েছেন আফ্রিকা ও এশিয়ার দেশগুলির জাতীয় দলে। নিজের দেশকে তৃতীয়বার বিশ্বকাপ জিততে দেখতে চান। “L’Equipe” সংবাদপত্রে মেসি অ্যান্ড কোম্পানিকে রুখে দেওয়ার উপায় বাতলেছেন রেনার্ড। প্রথমটি হল–
‘ইঞ্জিন’ বন্ধ করে দাও
রেনার্ডের মতে ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার রড্রিগো ডি পল আর্জেন্টিনার গেম সিস্টেমের জন্য ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। মাঠে মেসির অন্যতম সমর্থক এবং তাঁর জন্য দৌড়াতেও পারেন। রেনার্ড বলেছেন, “শুধু মেসির উপর ফোকাস করলে হবে না। ডি পলের উপর চাপ তৈরি করতে হবে। মেসিকে জন্য থালা সাজিয়ে দেওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি করেন। রাইট-ব্যাকের ক্ষতিপূরণ করে দেন। ”
মেসির সঙ্গে ফোটো নয়!
তবে ১০ নম্বর জার্সির মালিককে নিয়ে তো ভাবতেই হবে। মেসিকে বিরক্ত করতে হবে, একত্রিত হতে হবে, ওর পায়ে বল থাকলে শ্বাস নেওয়ার সময়ও দেওয়া যাবে না। আমি লেফট-ব্যাক এবং অন্তত একজন ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডারকে সচল রেখেছিলাম। মেসির আশেপাশে থাকতে হবে। গোলের ৩৫ থেকে ৪০ মিটার দূরে ওকে নিরস্ত্র করতে হবে। কোনওরকম স্বাধীনতা দেওয়া চলবে না।
স্কালোনির গোপনীয়তা
কোচ লিওনেল স্কালোনি টুর্নামেন্টে একবারও লাইন আপের পুনরাবৃত্তি করেননি। বললেন, “আমি স্কালোনির সামান্য গোপনীয়তাও পছন্দ করি না। পারেদেস শুরুর লাইন আপে ছিলেন। এনজো ফার্নান্ডেজ, ম্যাক অ্যালিস্টার, জুলিয়ান আলভারেজ— আর্জেন্টিনার অন্যতম চাবিকাঠি।”