দোহা: ৩৬ বছর ধরে অপেক্ষায় ওঁরা। ১৯৮৬-র পর আটটা বিশ্বকাপ পেরিয়ে গিয়েছে, কাপ আসেনি ঘরে। ২০১৪ সালে ফাইনালে উঠেও, স্বপ্নভঙ্গ হয়েছিল মারিও গোৎসের গোলে। এ বার ফের এসেছে সুযোগ। দুর্দান্ত ছন্দে লিওনেল মেসি। তাই, প্রায় ১৪,০০০ কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে ‘কাতারে কাতারে’ আর্জেন্টিনিয়রা ভিড় জমিয়েছেন কাতারে। বেসরকারি হিসেবে আজ ফাইনালে মাঠে উপস্থিত থাকবেন ৫০,০০০-এর বেশি আর্জেন্টিনিয় […]
৩৬ বছর ধরে অপেক্ষায় আর্জেন্টিনার সমর্থকরা
দোহা: ৩৬ বছর ধরে অপেক্ষায় ওঁরা। ১৯৮৬-র পর আটটা বিশ্বকাপ পেরিয়ে গিয়েছে, কাপ আসেনি ঘরে। ২০১৪ সালে ফাইনালে উঠেও, স্বপ্নভঙ্গ হয়েছিল মারিও গোৎসের গোলে। এ বার ফের এসেছে সুযোগ। দুর্দান্ত ছন্দে লিওনেল মেসি। তাই, প্রায় ১৪,০০০ কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে ‘কাতারে কাতারে’ আর্জেন্টিনিয়রা ভিড় জমিয়েছেন কাতারে। বেসরকারি হিসেবে আজ ফাইনালে মাঠে উপস্থিত থাকবেন ৫০,০০০-এর বেশি আর্জেন্টিনিয় দর্শক। বিশ্বকাপের ইতিহাসে এমনটা আগে কখনও দেখা যায়নি বলে জানা গিয়েছে। তবে, এর বাইরে অন্যান্য দেশেরও বহু মানুষ এ দিন স্টেডিয়ামে উপস্থিত থেকে গলা ফাটাবেন আর্জেন্টিনার হয়ে।
বর্তমানে দোহায় পা রাখলে কাতার না আর্জেন্টিনা বোঝা যাচ্ছে না। লুসেইল স্টেডিয়ামের দর্শকাসন সংখ্যা ৮৮,০০০। একাধিক সূত্রের দাবি, তার মধ্যে ৫০,০০০-এর বেশি আসন দখল করবেন আর্জেন্টিনিয় নাগরিকরাই। সেই সঙ্গে নীল-সাদা রঙে রেঙে মাঠে থাকবেন স্থানীয়রাও। কারণ, কাতারে মেসি এবং আর্জেন্টিনার বিপুল জনপ্রিয়তা রয়েছে। স্টেডিয়ামে থাকছে ৪০০০ নীল-সাদা বেলুন, ৬,০০০ আর্জেন্টিনার পতাকা এবং ২০০০ নীল-সাদা স্কার্ফ। সব মিলিয়ে আর্জেন্টিনাই যেন ফাইনালে কাতারের স্থানীয় দল।
আর্জেন্টিনার রাষ্ট্রীয় উড়ান সংস্থা জানিয়েছে, বিশ্বকাপের শুরু থেকে ১২টি উড়ানে আর্জেন্টিনার সমর্থকরা কাতারে এসেছেন। শনিবার, ফুটবল পাগল ভর্তি আরও এক বিমান দোহায় এসেছে বুয়েনস আইরেস থেকে। স্টেডিয়ামে যখন ৫০,০০০ আর্জেন্টিনিয় উপস্থিত থাকবেন, তখন স্টেডিয়ামের বাইরে থাকবেন হয়তো আরও বেশি আর্জেন্টিনিয়। শনিবারও ফিফার মূল টিকিট কাউন্টারে ভিড় জমিয়েছিলেন হাজার হাজার আর্জেন্টিনিয় সমর্থক। বেশিরভাগকেই ফিরতে হয়েছে খালি হাতে। টিকিট না পেয়ে হতাশ আর্জেন্টিনিয় সমর্থকদের। একাংশ তো টিকিট হাতে না পেলে, ওই স্থান থেকে নড়বেন না বলেও হুমকি দিয়েছিলেন।
ফিফার টিকিট কেনা-বেচার পদ্ধতি নিয়ে ক্ষুব্ধ তাঁরা। মাতিয়াস নামে এক আর্জেন্টিনিয় সমর্থক বলেছেন, “আমরা জানি, ব্রাজিল, পর্তুগাল এবং মরক্কোর বহু মানুষ তাদের দল ফাইনালে উঠতে না পারার পর টিকিট ফিরিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু, সেই সব টিকিট কোথায় গেল, তা জানি না।” টিকিট কাউন্টারের বাইরে প্রায় ৪ ঘণ্টা ধরে লাইন দিয়েছিলেন মাতিয়াস। কর্মকর্তারা টিকিট নেই বলে জানানোর পরও, সেই জায়গা থেকে নড়েননি। তাঁর মতো অসংখ্য সমর্থক মনে করছেন, টিকিট কাউন্টারের সামনে দাঁড়িয়ে থাকলে, তবেই এক-আধটা টিকিট মিলতে পারে।