Year Ender 2022: টেস্ট, দ্বিপাক্ষিক সিরিজে অনবদ্য পারফরম্য়ান্স থাকলেও আইসিসি টুর্নামেন্ট জিততে ব্যর্থ বিরাটের নেতৃত্বাধীন ভারত। তাঁর নেতৃত্ব ছাড়াতেও চিত্র বদলায়নি। গত এক বছর ঘুরিয়ে ফিরিয়ে সাত জন নেতৃত্ব দিয়েছেন। দ্বিপাক্ষিক সিরিজে ফল ভালো হলেও এশিয়া কাপ এবং আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, দুটি মাল্টিনেশন টুর্নামেন্টে খালি হাতেই ফিরতে হয়েছে।
Image Credit source: twitter
কলকাতা : ভারতীয় ক্রিকেট হোক বা বিশ্ব ক্রিকেট। সব সময়ই আলোচনায় থাকেন বিরাট কোহলি (Virat Kohli)। কখনও অনবদ্য পারফরম্যান্সে, কখনও বা বিস্ফোরক মন্তব্যে। এ বছর বিরাট বিতর্কের শুরুটা হয়েছিল গত বছরের শেষে। বিতর্কের ইতি হয়নি। ২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগেই বিরাট কোহলি ঘোষণা করেন, টুর্নামেন্ট শেষে এই ফর্ম্যাটে নেতৃত্ব ছেড়ে দেবেন। পাশাপাশি আইপিএলেও রয়্যালস চ্যালঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের নেতৃত্ব ছাড়ার কথা জানিয়েছিলেন বিরাট। ব্যাটিংয়ে মনসংযোগ করতে এমন সিদ্ধান্ত। ইচ্ছে প্রকাশ করেছিলেন, শুধুমাত্র টি-টোয়েন্টি থেকেই নেতৃত্ব ছাড়ছেন, ওয়ান ডে এবং টেস্টে নেতৃত্ব চালিয়ে যাবেন। তাঁর ইচ্ছেয় সব হবে না এমনটাই স্বাভাবিক। যদিও প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। এ বছরের অন্যতম বিতর্ক বিরাট কোহলিকে ঘিরেই। বিস্তারিত TV9Bangla-য়।
টি-টোয়েন্টি থেকে নেতৃত্ব ছাড়ার পর কোহলিকে ওয়ান ডে ক্য়াপ্টেন্সি থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। গত বছরের শেষে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে গিয়েছিল ভারত। সীমিত ওভারের পাশাপাশি টেস্ট সিরিজও ছিল। সফরে যাওয়ার আগেই বিস্ফোরক বিরাট কোহলি। সাংবাদিক সম্মেলনে ওয়ান ডে ক্যাপ্টেন্সি নিয়ে প্রশ্ন করতেই বিরাট খোলসা করেন, দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের দল ঘোষণার দেড় ঘণ্টা আগে ওয়ান ডে নেতৃত্ব থেকে সরানোর কথা জানানো হয় তাঁকে। দল নির্বাচন কমিটির প্রধান চেতন শর্মা জানিয়েছিলেন, বিরাটের সঙ্গে কথা বলেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা। সাদা বলে ভিন্ন অধিনায়ক চায় না বোর্ড। তৎকালীন বোর্ড প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় একটি সাক্ষাৎকারে দাবি করেছিলেন, বিরাট কোহলির সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে। এমনকি টি-টোয়েন্টি নেতৃত্ব না ছাড়তেও অনুরোধ করা হয়েছিল বিরাটকে! সাংবাদিক সম্মেলনে বোর্ড সভাপতি সৌরভকে কার্যত মিথ্যেবাদী বলেন। কোহলির দাবি ছিল, টি-টোয়েন্টি নেতৃত্ব ছাড়ার সময় বোর্ড কর্তারা তাঁর সিদ্ধান্তে সায় দিয়েছিল, কেউ তাঁকে নেতৃত্ব ছাড়তে মানা করেনি। আরও দাবি করেন, ওয়ান ডে ক্যাপ্টেন্সির ক্ষেত্রেও তাঁকে দেড় ঘণ্টার নোটিসেই নেতৃত্ব থেকে সরানো হয়।
দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে রোহিত শর্মাকে সাদা বলের পূর্ণ সময়ের অধিনায়ক ঘোষণা করা হয়। যদিও চোটের কারণে রোহিত যেতে পারেননি। ওয়ান ডে-তে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন লোকেশ রাহুল। বিরাট কোহলির নেতৃত্বে প্রথম টেস্ট জেতে ভারত। প্রত্যাশা ছিল, দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে হয়তো প্রথম বার টেস্ট সিরিজ জিতে ফিরবে। যদিও দ্বিতীয় টেস্টে চোটে খেলতে পারেননি বিরাট। নেতৃত্ব দেন লোকেশ রাহুল। সেই টেস্টে হার। শেষ টেস্টেও হারের ফলে ১-০ এগিয়ে থেকেও ১-২’এ টেস্ট সিরিজে হার। দক্ষিণ আফ্রিকা যাওয়ার আগে সাংবাদিক সম্মেলনে বিস্ফোরণের পর, দক্ষিণ আফ্রিকায় বিরাটকে সাংবাদিক সম্মেলনে পাওয়া যায়নি। কোচ রাহুল দ্রাবিড় বলেছিলেন, শততম টেস্টের আগে কথা বলবেন বিরাট। সব কিছু ঠিক থাকলে দক্ষিণ আফ্রিকাতেই কেরিয়ারের শততম টেস্ট খেলতেন বিরাট। যদিও সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট মিস করায় সেই সফরে শততম টেস্ট খেলা হয়নি। তবে সিরিজ শেষে ফের বিস্ফোরণ বিরাটের। সেটি এ বছরের শুরুর ঘটনা। হঠাৎই টেস্ট নেতৃত্বও ছাড়ার কথা ঘোষণা করেন বিরাট।
টেস্ট, দ্বিপাক্ষিক সিরিজে অনবদ্য পারফরম্য়ান্স থাকলেও আইসিসি টুর্নামেন্ট জিততে ব্যর্থ বিরাটের নেতৃত্বাধীন ভারত। তাঁর নেতৃত্ব ছাড়াতেও চিত্র বদলায়নি। গত এক বছর ঘুরিয়ে ফিরিয়ে সাত জন নেতৃত্ব দিয়েছেন। দ্বিপাক্ষিক সিরিজে ফল ভালো হলেও এশিয়া কাপ এবং আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, দুটি মাল্টিনেশন টুর্নামেন্টে খালি হাতেই ফিরতে হয়েছে।