খেলনা মাত্রই শিশুদের কাছে প্রিয়। প্রায় সব বাচ্চারাই খেলনা পেলে আর কিচ্ছুটি চায় না। তবে এ পৃথিবীতে একদল শিশু ছোটবেলা থেকেই পেয়ে যায় প্রয়োজনের অধীক খেলনা। আর একদল? তাদের হাত খালি। খেলনা নিয়ে খেলতে পারা তাদের কাছে স্বপ্নের মতো।
Image Credit source: Twitter
মাদ্রিদ: প্রত্যেক বারের মতো এ বারও দুস্থ শিশুদের মুখে হাসি ফোঁটাতে এগিয়ে এল রিয়াস বেতিস। লা লিগায় (La Liga) অ্যাথলেটিক বিলবাওয়ের মুখোমুখি হয়েছিল রিয়াল বেতিস। সেই ম্যাচেই নতুন বছরের আগে দুস্থ বাচ্চাদের হাতে খেলনা তুলে দিতে উদ্যোগ নিল রিয়াল বেতিস (Real Betis)। প্রত্যেকবারই নতুন বছরের আগে লা লিগার ম্যাচে এই উদ্যোগ নিয়ে থাকে তারা। সমর্থকরাও এই উদ্যোগকে সফল করেন। কী ভাবে খেলনা সংগ্রহ করে তারা? তুলে ধরল TV9 Bangla।
খেলনা মাত্রই শিশুদের কাছে প্রিয়। প্রায় সব বাচ্চাই খেলনা পেলে আর কিচ্ছুটি চায় না। তবে এ পৃথিবীতে একদল শিশু ছোটবেলা থেকেই পেয়ে যায় প্রয়োজনের অধীক খেলনা। আর একদল? তাদের হাত খালি। খেলনা নিয়ে খেলতে পারা তাদের কাছে স্বপ্নের মতো। অন্তত বর্ষবরণের আগে যেন সেই সব শিশুদের হাত যেন খালি না থাকে তার জন্যই প্রত্যেক বছর রিয়াল বেতিস তাদের জন্য খেলনা সংগ্রহ করে। স্পেনের ঘরোয়া লা লিগার ম্যাচ দেখতে, যে সব সমর্থকরা আসেন তারা পুরোনো খেলনা, অনেকে আবার নিজেদের মতো নতুন খেলনাও সঙ্গে করে নিয়ে মাঠে আসেন। অনেকের কাছে হয়তো সেগুলির প্রয়োজন নেই। ঘরে ফেলে রাখা থাকে। অনেকে আবার শিশুদের মুখো হাসি ফোটানোর সুযোগ হাতছাড়া করতে চান না বলেই খেলনা আনেন।
Real Betis’ annual toy donation is one of the finest sights in football ?
They do it so local disadvantaged children don’t go without a gift at Christmas ?
(via @realbetis_en)pic.twitter.com/P93qCY7rGl
— ESPN FC (@ESPNFC) December 30, 2022
ম্যাচের ব্রেক টাইমে নিয়ম মেনেই তাঁরা মাঠের মধ্যে খেলনা গুলো ছুড়ে ছুড়ে ফেলতে থাকেন। ম্যাচের সঙ্গে যুক্ত স্বেচ্ছাসেবকরা তা সংগ্রহ করেন। চারিদিক থেকে খেলনা আসতে থাকে মাঠে। তারপর সেই খেলনা গুলো তুলে দেওয়া হয় দুস্থ বাচ্চাদের হাতে। রিয়াল বেতিসের এই উদ্যোগ একদলের মুখে হাসি ফোটাতে এ ভাবে আরেক দলের এগিয়ে আসার উদ্যোগকে সাধুবাদ জানায় গোটা বিশ্ব।
দুস্থ শিশুদের ‘সান্টা’ হয়ে ওঠে রিয়াল বেতিস। নিস্পাপ মুখ গুলোতে হাসি দেখার জন্য বোধহয় এটুকু করাই যায়। বিলবাও ম্যাচে মোট ১৪ হাজার খেলনা সংগ্রহ হয়েছে। সংখ্যাটা নেহাৎ কম নয়।