৩৮ বছর আগে জাকুইয়ার হয়ে পেলে একটি পদক জিতেছিলেন। সেখানে পেলের বাবার নামে সমাধিও রয়েছে। পেলে তাঁর শহরকে সম্মানিত করেছিলেন তাই সাওলোর বাসিন্দা হয়ে তাঁকে শেষ সম্মান দেওয়াটা তাঁর কর্তব্য।
Image Credit source: Twitter
সাও পাওলো: শেষ বারের মতো ঘরের ছেলে ঘরে ফিরছে। তাই ব্রাজিলে (Brazil) এখন প্রস্তুতি তুঙ্গে। পেলেকে (Pele) শেষ শ্রদ্ধা জানাতে তৈরি ব্রাজিল। সোমবার ব্রাজিলের সময় সকাল ১০ টায় পেলের পুরনো ঠিকানা স্যান্টোসের (Santos) ভিলা বেলমিরো স্টেডিয়ামে শায়িত থাকবে ফুটবল সম্রাটের দেহ।। বেলা ১০ টা থেকে তাঁকে শ্রদ্ধা জানাতে পারবে সাধারণ মানুষ। রাজাকে শেষ বারের মতো শ্রদ্ধা জানাতে শনিবার রাত থেকেই স্টেডিয়ামের সামনে ভিড় জমাচ্ছেন অনুরাগীরা। তাঁর তিন অনুরাগী সাওলো দুয়ার্তে, ইমিলিও কার্মো ও অ্যান্তোনিও দে পাজ সবার আগে সেখানে পৌঁছে গিয়েছেন। স্বপ্নের নায়ককে শেষ বারের মতো দেখার আশায়। ব্রাজিলের একটি সংবাদমাধ্যমকে তাঁদের মনের কথা ব্য়ক্ত করেছেন তাঁরা। কী বলছেন পেলের এই তিন ভক্ত? তুলে ধরল TV9 Bangla।
ব্রাজিলের সংবাদ মাধ্যমের খবর অনুযায়ী সোমবার সকাল ১০ টা থেকে পেলের ঘরের মাঠ স্যান্টোসের ভিলা বেলমিরো স্টেডিয়ামে রাখা থাকবে তাঁর দেহ। সেই খবর পেয়ে, সবার আগে সেখানে উপস্থিত হয়েছেন তাঁর তিন বড় ভক্ত সাওলো, কার্মো ও অ্যান্তোনিও। তাঁরা স্টেডিয়ামের বাইরে বসে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন, কখন তাঁদের প্রিয় নায়ককে শেষ দেখা দেখতে পাবেন। কাতার বিশ্বকাপের মাঝেই ২৯ নভেম্বর একাধিক সমস্যা নিয়ে সাও পাওলোর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন ৮২ বছরের পেলে। তখন থেকেই নিয়মিত হাসপাতালে যেতেন অ্যান্তোনিও। একটাই প্রার্থনা ছিল, সুস্থ হয়ে ফিরে আসুক তাঁর সম্রাট। পেলের আরেক ফ্যান সাওলো, ফুটবল সম্রাটের একাধিক প্ল্যাকার্ড নিয়ে ভিলা বেলমিরো স্টেডিয়ামের বাইরে অপেক্ষা করছেন তাঁর জন্য। তাঁর মতে, পেলের মতো মানুষ হয় না। তিনি শুধু বিশ্বের সেরা ফুটবলারই নন, সবার আগে তিনি একজন ভালো মানুষ ছিলেন।
সাওলোর শহর জাকুইয়ার সঙ্গে পেলের একটা পুরনো সম্পর্ক ছিল। ৩৮ বছর আগে জাকুইয়ার হয়ে পেলে একটি পদক জিতেছিলেন। সেখানে পেলের বাবার নামে সমাধিও রয়েছে। পেলে তাঁর শহরকে সম্মানিত করেছিলেন, তাই সাওলোর বাসিন্দা হয়ে তাঁকে শেষ সম্মান দেওয়াটা তাঁর কর্তব্য। তাই শেষ বারের মতো সম্রাটকে শ্রদ্ধা জানাতে স্যান্টোসে উপস্থিত হয়েছেন সাওলো। ব্রাজিল আজ শোক স্তব্ধ। শেষ বারের মতো ব্রাজিলের রাস্তা দিয়ে যাবেন ঘরের ছেলে, যাঁর জন্য ব্রাজিলকে চিনেছে ফুটবল বিশ্ব। স্ত্রী, সন্তান ও ব্রাজিলের ফুটবলকে অভিভাবকহীন করেই বিদায় নিয়েছেন রাজা।