এক ঝলক দেখলে চমকে যেতে হয়। চোখ কচলে আরও একবার ভালোভাবে দেখুন, তফাৎটা চোখে পড়বে ঠিকই। তবে প্রথম দেখায় পেলে বলে ভ্রম হতে পারে অধিকাংশ মানুষেরই।
Image Credit source: Twitter
স্যান্টোস: ফের শিরোনামে সদ্য প্রয়াত কিংবদন্তি ফুটবলার পেলের লুক অ্যালাইক (Pele’s Look Alike)। পেলের মতো হুবহু দেখতে ব্যক্তির নাম নিকানোর রিবেরিও। পেলেকে (Pele Death) শেষবার দেখার সুযোগ ছাড়েননি তিনি। স্যান্টোসে পেলেকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে গিয়েছিলেন রিবেরিও। তবে সংবাদমাধ্যমকে এড়াতে পারেননি। ভিলা বেলমিরোর (স্যান্টোসের স্টেডিয়াম) বাইরে তাঁকে দেখেই ক্যামেরা ঘুরে যায়। পরনে ছিল স্যান্টোসের সাদা-কালো জার্সি। ক্যামেরার সামনে বলেন, “ওনাকে এবং পুরো পরিবারকে আমার কৃতজ্ঞতা জানাতে এসেছিলাম। ঈশ্বর তাঁকে পরম স্নেহ নিয়ে গ্রহণ করুন। এই ব্যক্তি যিনি সাত বছর বয়স থেকে মানবতার জন্য কাজ করছেন।”
২০০২ সালে নিকানোর রিবেরিওকে নিয়ে ভীষণ হইচই হয়েছিল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গিয়েছিলেন তিনি। আমেরিকান লোকজন রিবেরিওকে পেলে ভেবে বসেছিলেন। কী ঘটেছিল? পেলের লুক-অ্যালাইক বলেছেন, “দাড়ি কামিয়ে, চশমা না পরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছেছিলাম। সদ্য চোখের ছানি অপারেশন হয়েছে। দেখলাম একজন আমেরিকান ছুটতে ছুটতে এসে বললেন, এক্সকিউজ মি, পেলে পেলে, ফটো প্লিজ। কখনও কখনও মানুষ আমাকে পেলে বলে ধরে নেয়। ঘটনার পর আমি অবসাদে চলে গিয়েছিলাম। ২০০২ সালের ৮ মার্চের ঘটনা সেটি।”
স্যান্টোসের স্টেডিয়ামে অনুরাগীরা শেষ শ্রদ্ধা জানানোর পর সেখানকারই মেমোরিয়াল নেক্রোপল একুমেনিকাতে তাঁর কফিনবন্দি দেহ সমাধিস্থ করা হয়েছে। যেখান থেকে স্যান্টোসের মাঠ খুব ভালোভাবে দেখা যায়। হাজারো অনুরাগী তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানান। ছুটে গিয়েছিলেন ফিফা প্রেসিডেন্ট জিয়ান্নি ইনফান্তিনো। পেলের পুরো পরিবার শেষকৃত্যে উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু অদ্ভুতভাবে পেলেকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে স্যান্টোসে যাননি দেশটির বর্তমান ও প্রাক্তন ফুটবলাররা। কাফু, রবার্তো কার্লোস, রোনাল্ডো বা নেইমার-সহ কাতার বিশ্বকাপে খেলা কোনও ফুটবলারকেই দেখা যায়নি। যা নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে।