East Bengal: খেলার ৮১ মিনিটে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়লেন ক্লেটন সিলভা। ইস্টবেঙ্গলের অশনি সংকেত আরও যে বাড়ল তাতে সন্দেহ নেই। ১৩ তারিখ জামশেদপুরের বিরুদ্ধে ম্যাচেও তাঁকে পাওয়া নিয়ে সংশয় দেখা দিল। ১২ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে নবম স্থানে নেমে গেল ইস্টবেঙ্গল। কলকাতা হোক বা কলিঙ্গ, লাল-হলুদের ব্যর্থতার ছবি পাল্টায় না।
Image Credit source: twitter
ভুবনেশ্বর: নতুন বছর শুরু হতেই সেই পুরনো ইস্টবেঙ্গল ফিরে এল। এক রোগ, এক ফল। এককথায় জঘন্য ফুটবল। শেষ কয়েক বছরে ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে যে শব্দটা একেবারে লেপ্টে গিয়েছে। গত বছরের শেষ ম্যাচে বেঙ্গালুরু এফসিকে হারিয়ে জয় দিয়ে বছর শেষ করেছিল লাল-হলুদ। ক্লেটন সিলভার ব্যক্তিগত নৈপুণ্যের জোরেই ৩ পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছেড়েছিল ইস্টবেঙ্গল। তবে ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড একা কত করবেন! এ দিনও তাই-ই হল। ভুবনেশ্বরের কলিঙ্গ স্টেডিয়ামে ম্যাচের ১০ মিনিটে ক্লেটন সিলভার অসাধারণ গোলে ১-০ এগিয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল। কলিঙ্গ স্টেডিয়াম জুড়ে লাল-হলুদ সমর্থকদের তখন গগনভেদী চিৎকার। দেখে মনে হচ্ছিল, হোম ম্যাচেই খেলছে ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু কোথায় কি! প্রথমার্ধেই সেই পুরনো দেওয়াল লিখন পড়ে ফেললেন সমর্থকরা। মরিসিও, নন্দ কুমার, থইবা, ক্রেসপোদের আক্রমণে হাফলাইনের নীচে নেমে আসলেন লাল-হলুদ ফুটবলাররা। বলের জন্য উপরে হা পিত্যেস করে রইলেন ক্লেটন সিলভা। কিন্তু তাঁকে বল বাড়ানোর যোগ্য লোক নেই। রক্ষণশীল মানসিকতা ছেড়ে বেরোতেই পারলেন না লিমা, ডহার্তিরা। ম্যাচ রিপোর্ট TV9Bangla-য়।
ম্যাচের আগে কোচ স্টিফেন কনস্ট্যান্টাইন বলেছিলেন, ওড়িশা ম্যাচ জিতলেই প্লে অফের দৌড়ে চলে আসবে ইস্টবেঙ্গল। এই ম্যাচের পর অবশ্য প্রথম ছয়ের দৌড় থেকে অতল গভীরে তলিয়ে গেল সাহেব কোচের দল। ব্যর্থতার চাদর ছেড়ে বেরোতেই পারছে না মশাল ব্রিগেড। বছর পাল্টায়, ইস্টবেঙ্গলের রেজাল্ট পাল্টায় না। খেলার ১০ মিনিটে ক্লেটনকে বল বাড়ান লিমা। গোলকিপার অমরিন্দরকে এগিয়ে আসতে দেখেই মাথার উপর দিয়ে বল জালে জড়ান ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকার (১-০)। আইএসএলে ৮ গোল করে ফেললেন ক্লেটন সিলভা। এর ১২ মিনিটের মধ্যেই গোল হজম ইস্টবেঙ্গলের।
ওড়িশা এফসি ৩ (মরিসিও ২২’, ৫৩’, নন্দ ৪৫+২’)
ইস্টবেঙ্গল ১ (ক্লেটন ১০’)
খেলার ২২ মিনিটে রেইনিয়ার ফার্নান্ডেজের কর্নার থেকে ১-১ করেন দিয়েগো মরিসিও। লালচুংনুঙ্গার পায়ের সামনে থেকে টোকা দিয়ে গোল করে যান মরিসিও। গোলটির সময় ইস্টবেঙ্গল গোলকিপার শুভম সেন পোস্ট ছেড়ে বেরোলে বলটা হয়তো মরিসিওর কাছে পৌঁছতই না।
প্রথমার্ধের সংযুক্ত সময়ে ওড়িশা এফসিকে ২-১ এগিয়ে দেন নন্দ কুমার। বাঁ-প্রান্ত থেকে নন্দর কোনাকুনি শট সোজা শুভমের নাগাল এড়িয়ে ইস্টবেঙ্গলের জালে জড়িয়ে যায়। দ্বিতীয়ার্ধে আর ম্যাচে ফিরতেই পারেনি ইস্টবেঙ্গল। কিরিয়াকু, সুমিতদের নামালেন কনস্ট্যান্টাইন। তাতে অবশ্য কাজের কাজ কিছুই হয়নি। খেলার ৫৩ মিনিটে লাল-হলুদের কফিনে শেষ পেরেকটি পুঁতে দেন সেই মরিসিও। নন্দর বাড়ানো বল ধরে ইভানকে গতিতে পরাস্ত করেন ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকার। গোলকিপার শুভম সেনের প্রথম পোস্ট দিয়েই গোল করে যান মরিসিও (৩-১)। শেষ চার ম্যাচ জয়হীন থাকার পর অবশেষে জয়ে ফিরল ওড়িশা এফসি। অন্যদিকে ওড়িশার বিরুদ্ধে শেষ পাঁচটা ম্যাচেই হারল ইস্টবেঙ্গল।
খেলার ৮১ মিনিটে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়লেন ক্লেটন সিলভা। ইস্টবেঙ্গলের অশনি সংকেত আরও যে বাড়ল তাতে সন্দেহ নেই। ১৩ তারিখ জামশেদপুরের বিরুদ্ধে ম্যাচেও তাঁকে পাওয়া নিয়ে সংশয় দেখা দিল। ১২ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে নবম স্থানে নেমে গেল ইস্টবেঙ্গল। কলকাতা হোক বা কলিঙ্গ, লাল-হলুদের ব্যর্থতার ছবি পাল্টায় না।